শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের তাড়ুয়া দ্বীপে অবৈধভাবে খুঁটিজাল দিয়ে মাছ ধরছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই জালে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ ধরা পড়েছে। এতে মাছের প্রজনন যাচ্ছে কমে। একই সঙ্গে এই খুঁটি জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, খুঁটিজালে মাছ ধরা অবৈধ। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তাড়ুয়া দ্বীপ উপজেলা চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নে। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির একদিকে বালুর সৈকত, অন্যদিকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। নয়নাভিরাম এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত মানুষ এ দ্বীপে আসছেন। দ্বীপটি জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে দ্বীপে ঘুরতে যান অসংখ্য পর্যটক। এ ছাড়া শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে তাড়ুয়া দ্বীপ।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় অসাধু কিছু জেলে দ্বীপে মাইলের পর মাইল এলাকাজুড়ে বিছিয়ে দিয়েছে খুঁটি জাল। এতে একদিকে পর্যটকদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি এবং নদী ও সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নষ্ট হচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য।
ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা জানান, তাড়ুয়ার দ্বীপের নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে এসে খুঁটিজালের কারণে অবাধে চলাচল অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় স্থানীয় জেলে আবু তাহের, শফি মাঝি, আকবর, মান্নানসহ কিছু অসাধু জেলে তাড়ুয়ার দ্বীপের বিছিয়ে রেখেছেন অবৈধ খুঁটিজাল। এতে ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি ও মাছ। ওই জালে আটকে পড়ে ইতিমধ্যে অতিথি পাখি মারা গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অচিন্ত মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদে কিছু অসাধু জেলে তাড়ুয়ার দ্বীপে খুঁটিজাল ফেলে দ্বীপের পরিবেশ যেমন বিনষ্ট করছেন, তেমনি অবৈধভাবে খুঁটিজালে ধরা পড়ছে অতিথি পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধা বিবি মরিয়ম বলেন, ‘চেয়ারম্যান ছালাম হাওলাদারের ওয়ার্ডারে পুরা গাঙে জাইল্যারা খুডা জাল দিয়া মাছ ধরে। জোয়ারে মাছ আটকাইলে ভাডার সময় আতাইয়া মাছ ধরে।’
আরেক বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, ‘এলাকার চেয়ারম্যান জেলেগোরে দাদন দেন। আর জাইল্যারা মাছ ধইর্যা চেয়ারম্যানের মাছের গদিতে দেন।’ চেয়ারম্যানের নির্দেশ ছাড়া এলাকায় কিছু হয় না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলে আবু তাহের বলেন, ‘খুটা জাল অবৈধ না। এটা সব জায়গায় চলে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান-সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সবাই জানেন। তাঁরা কিছু বলেন না।’
এ ব্যাপারে ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. ছালাম হাওলাদার বলেন, ‘এখানে জেলেরা খুঁটিজাল ফেললে দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ জালে রাতের অন্ধকারে দু-একটা পাখি আটকা পড়লেও তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।’
চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নদীগুলোতে খুঁটিজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারুয়া দ্বীপে এ ধরনের অবৈধ কোনো খুঁটিজাল ফেললে অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে ভোলা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এম এ কায়সার সোমবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমরা এর আগেও অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন পাখিচোর ধরেছি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।’
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের তাড়ুয়া দ্বীপে অবৈধভাবে খুঁটিজাল দিয়ে মাছ ধরছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই জালে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ ধরা পড়েছে। এতে মাছের প্রজনন যাচ্ছে কমে। একই সঙ্গে এই খুঁটি জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, খুঁটিজালে মাছ ধরা অবৈধ। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তাড়ুয়া দ্বীপ উপজেলা চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নে। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির একদিকে বালুর সৈকত, অন্যদিকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। নয়নাভিরাম এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত মানুষ এ দ্বীপে আসছেন। দ্বীপটি জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে দ্বীপে ঘুরতে যান অসংখ্য পর্যটক। এ ছাড়া শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে তাড়ুয়া দ্বীপ।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় অসাধু কিছু জেলে দ্বীপে মাইলের পর মাইল এলাকাজুড়ে বিছিয়ে দিয়েছে খুঁটি জাল। এতে একদিকে পর্যটকদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি এবং নদী ও সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নষ্ট হচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য।
ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা জানান, তাড়ুয়ার দ্বীপের নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে এসে খুঁটিজালের কারণে অবাধে চলাচল অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় স্থানীয় জেলে আবু তাহের, শফি মাঝি, আকবর, মান্নানসহ কিছু অসাধু জেলে তাড়ুয়ার দ্বীপের বিছিয়ে রেখেছেন অবৈধ খুঁটিজাল। এতে ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে অতিথি পাখি ও মাছ। ওই জালে আটকে পড়ে ইতিমধ্যে অতিথি পাখি মারা গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অচিন্ত মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদে কিছু অসাধু জেলে তাড়ুয়ার দ্বীপে খুঁটিজাল ফেলে দ্বীপের পরিবেশ যেমন বিনষ্ট করছেন, তেমনি অবৈধভাবে খুঁটিজালে ধরা পড়ছে অতিথি পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধা বিবি মরিয়ম বলেন, ‘চেয়ারম্যান ছালাম হাওলাদারের ওয়ার্ডারে পুরা গাঙে জাইল্যারা খুডা জাল দিয়া মাছ ধরে। জোয়ারে মাছ আটকাইলে ভাডার সময় আতাইয়া মাছ ধরে।’
আরেক বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, ‘এলাকার চেয়ারম্যান জেলেগোরে দাদন দেন। আর জাইল্যারা মাছ ধইর্যা চেয়ারম্যানের মাছের গদিতে দেন।’ চেয়ারম্যানের নির্দেশ ছাড়া এলাকায় কিছু হয় না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলে আবু তাহের বলেন, ‘খুটা জাল অবৈধ না। এটা সব জায়গায় চলে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান-সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সবাই জানেন। তাঁরা কিছু বলেন না।’
এ ব্যাপারে ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. ছালাম হাওলাদার বলেন, ‘এখানে জেলেরা খুঁটিজাল ফেললে দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ জালে রাতের অন্ধকারে দু-একটা পাখি আটকা পড়লেও তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।’
চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নদীগুলোতে খুঁটিজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারুয়া দ্বীপে এ ধরনের অবৈধ কোনো খুঁটিজাল ফেললে অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে ভোলা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এম এ কায়সার সোমবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমরা এর আগেও অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন পাখিচোর ধরেছি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।’
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
২ ঘণ্টা আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৫ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২২ দিন আগে