গত ৫ আগস্ট জুমার নামাজের পর ’ ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই হামলায় পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন এবং নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত হন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নুরাল পাগলের আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার আস্তানায় (দরবার শরিফ) তৌহিদী জনতার ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দাফন শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দেওয়া হয়েছে, তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করেন—এমন অভিযোগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে আস্তানায় (দরবার শরিফ) হামলা হয়। এতে একজন নিহত এবং ১০-১২ জন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।