অনলাইন ডেস্ক
আফ্রিকার শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ লেসোথোর রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পুরো পোশাকশিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী মোখেথি শেলিলে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে কর্মসংস্থান হারাতে পারেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে জানান, সরকার ইতিমধ্যে দেশটিতে ‘জাতীয় দুর্যোগ অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। তাদের লক্ষ্য, যাতে আগামী দুই বছরে অন্যান্য খাতে দ্রুত ৬০ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে বলেন, ‘আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি যুক্তরাষ্ট্র যেন আমাদের জন্য একটি সহনীয় শুল্কহার নির্ধারণ করে। এই হার অবশ্যই ১০ শতাংশের নিচে হতে হবে। এর বেশি হলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রমুখী গার্মেন্টস রপ্তানি হয় অন্য বাজারে যেতে বাধ্য হবে, না হয় বন্ধ হয়ে যাবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়ঘেরা ক্ষুদ্র রাজ্য লেসোথো (জনসংখ্যা ২৩ লাখ) ২৫ বছর ধরে ‘আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট’ (AGOA)-এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানি করে আসছিল। এই সুযোগেই তারা লেভিস, র্যাঙ্গলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা ব্র্যান্ডে পোশাক সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছরের এপ্রিলে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়— যা কোনো দেশের ওপর নির্ধারিত সর্বোচ্চ শুল্কের একটি।
লেসোথোর রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্টস খাত দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি নিয়োগদাতা, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কাজ করতেন। তবে শুল্ক ঘোষণার পর থেকে শত শত শ্রমিক ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি ইউএসএআইডির অর্থ কাটছাঁটের কারণে আরও অনেকেই বিভিন্ন বেসরকারি খাত থেকে চাকরি হারিয়েছেন।
দেশটির মোট ২ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশই পোশাক রপ্তানি থেকে আসে। কিন্তু এই খাত মূলত ক্ষীণ মুনাফার ওপর চলে, ফলে সামান্য ধাক্কাতেই অনেক কারখানা ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
দেশটির অন্যতম বৃহৎ পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আফ্রি এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা তেবোহো কোবেলি বলেন, ‘যেসব কারখানা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশে পোশাক রপ্তানি করছে না, তারা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা কিছুটা সৌভাগ্যবান, তারা এখন শুধু আগের প্রক্রিয়াধীন অর্ডার শেষ করছে। তবে নতুন কোনো অর্ডার আসছে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে জানান, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে সরকার আর দশটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কৃষি ও নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থান তৈরির কাজ করছে। সরকার ইতিমধ্যে সব মন্ত্রণালয়কে তাদের বাজেটের ৩ শতাংশ ২২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলে জমা দিতে বলেছে, যা দিয়ে যুবকদের জন্য অনুদান ও উদ্যোক্তা ঋণ দেওয়া হবে। দেশটির যুব বেকারত্বের হার প্রায় ৪৮ শতাংশ।
শেলিলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ছোট ও প্রান্তিক দেশগুলোর সঙ্গে আচরণ করছে, তা পুরোনো ক্ষতের ওপর নতুন আঘাত। টিউলিপ কনসালটিংয়ের প্রধান নির্বাহী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ কোলে ভ্যান ডার ভেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র ০ দশমিক ০২ শতাংশ আসে লেসোথো থেকে। সে ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ একেবারেই যুক্তিহীন। তিনি আরও বলেন, পোশাকশিল্প একটি খণ্ডিত ভ্যালু চেইন খাত। এর বেশির ভাগ মূল্য লেসোথোতে সংযোজন হয় না। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র যদি ঘাটতি কমাতে চায়, তবে লেসোথো ভুল টার্গেট।
শেলিলে বর্তমানে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত একটি ফ্যাশন বায়ার্স ইভেন্টে রয়েছেন, যেখানে লেসোথোর রপ্তানিকারকেরা তাঁদের পোশাক প্রদর্শন করছেন। তিনি বলেন, ‘এই সংকটই সরকারকে মার্কেট বৈচিত্র্যায়ণের পথে জোর দিতে বাধ্য করেছে। আমরা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছি, যাতে অন্তত কিছু পণ্য সেদিকে রপ্তানি করা যায়।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আফ্রিকান বাজারে মার্কিন বাজারের বিকল্প খোঁজা খুব সহজ হবে না। জোহানেসবার্গভিত্তিক এক্সএ গ্লোবাল ট্রেড অ্যাডভাইজার্সের প্রধান নির্বাহী ডোনাল্ড ম্যাককেই বলেন, ‘অন্য আফ্রিকান দেশগুলো সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের মতো পোশাক বা পণ্য ব্যবহার করে না। ফলে আপনি যুক্তরাষ্ট্রকে আফ্রিকার মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
আফ্রিকার শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ লেসোথোর রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পুরো পোশাকশিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী মোখেথি শেলিলে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে কর্মসংস্থান হারাতে পারেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে জানান, সরকার ইতিমধ্যে দেশটিতে ‘জাতীয় দুর্যোগ অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। তাদের লক্ষ্য, যাতে আগামী দুই বছরে অন্যান্য খাতে দ্রুত ৬০ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে বলেন, ‘আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি যুক্তরাষ্ট্র যেন আমাদের জন্য একটি সহনীয় শুল্কহার নির্ধারণ করে। এই হার অবশ্যই ১০ শতাংশের নিচে হতে হবে। এর বেশি হলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রমুখী গার্মেন্টস রপ্তানি হয় অন্য বাজারে যেতে বাধ্য হবে, না হয় বন্ধ হয়ে যাবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়ঘেরা ক্ষুদ্র রাজ্য লেসোথো (জনসংখ্যা ২৩ লাখ) ২৫ বছর ধরে ‘আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট’ (AGOA)-এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানি করে আসছিল। এই সুযোগেই তারা লেভিস, র্যাঙ্গলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা ব্র্যান্ডে পোশাক সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছরের এপ্রিলে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়— যা কোনো দেশের ওপর নির্ধারিত সর্বোচ্চ শুল্কের একটি।
লেসোথোর রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্টস খাত দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি নিয়োগদাতা, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কাজ করতেন। তবে শুল্ক ঘোষণার পর থেকে শত শত শ্রমিক ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি ইউএসএআইডির অর্থ কাটছাঁটের কারণে আরও অনেকেই বিভিন্ন বেসরকারি খাত থেকে চাকরি হারিয়েছেন।
দেশটির মোট ২ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশই পোশাক রপ্তানি থেকে আসে। কিন্তু এই খাত মূলত ক্ষীণ মুনাফার ওপর চলে, ফলে সামান্য ধাক্কাতেই অনেক কারখানা ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
দেশটির অন্যতম বৃহৎ পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আফ্রি এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা তেবোহো কোবেলি বলেন, ‘যেসব কারখানা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশে পোশাক রপ্তানি করছে না, তারা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যারা কিছুটা সৌভাগ্যবান, তারা এখন শুধু আগের প্রক্রিয়াধীন অর্ডার শেষ করছে। তবে নতুন কোনো অর্ডার আসছে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী শেলিলে জানান, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে সরকার আর দশটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কৃষি ও নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থান তৈরির কাজ করছে। সরকার ইতিমধ্যে সব মন্ত্রণালয়কে তাদের বাজেটের ৩ শতাংশ ২২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলে জমা দিতে বলেছে, যা দিয়ে যুবকদের জন্য অনুদান ও উদ্যোক্তা ঋণ দেওয়া হবে। দেশটির যুব বেকারত্বের হার প্রায় ৪৮ শতাংশ।
শেলিলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ছোট ও প্রান্তিক দেশগুলোর সঙ্গে আচরণ করছে, তা পুরোনো ক্ষতের ওপর নতুন আঘাত। টিউলিপ কনসালটিংয়ের প্রধান নির্বাহী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ কোলে ভ্যান ডার ভেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র ০ দশমিক ০২ শতাংশ আসে লেসোথো থেকে। সে ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ একেবারেই যুক্তিহীন। তিনি আরও বলেন, পোশাকশিল্প একটি খণ্ডিত ভ্যালু চেইন খাত। এর বেশির ভাগ মূল্য লেসোথোতে সংযোজন হয় না। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র যদি ঘাটতি কমাতে চায়, তবে লেসোথো ভুল টার্গেট।
শেলিলে বর্তমানে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত একটি ফ্যাশন বায়ার্স ইভেন্টে রয়েছেন, যেখানে লেসোথোর রপ্তানিকারকেরা তাঁদের পোশাক প্রদর্শন করছেন। তিনি বলেন, ‘এই সংকটই সরকারকে মার্কেট বৈচিত্র্যায়ণের পথে জোর দিতে বাধ্য করেছে। আমরা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছি, যাতে অন্তত কিছু পণ্য সেদিকে রপ্তানি করা যায়।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আফ্রিকান বাজারে মার্কিন বাজারের বিকল্প খোঁজা খুব সহজ হবে না। জোহানেসবার্গভিত্তিক এক্সএ গ্লোবাল ট্রেড অ্যাডভাইজার্সের প্রধান নির্বাহী ডোনাল্ড ম্যাককেই বলেন, ‘অন্য আফ্রিকান দেশগুলো সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের মতো পোশাক বা পণ্য ব্যবহার করে না। ফলে আপনি যুক্তরাষ্ট্রকে আফ্রিকার মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
শুধু সুপারিশে অর্থনীতি পাল্টায় না; প্রয়োজন হয় সাহস, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা। গণ-আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য যে সাতটি বড় ধরনের সংস্কারের সুপারিশ করেছিল শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এক বছর পার হলেও তার বেশির ভাগ এখন ফাইলের নিচে চাপা। তিনটি শুরু হয়েছে অর্ধেকমুখীভাবে, চারটি একটুও
৩৭ মিনিট আগেযাত্রীদের শতভাগ নিরাপত্তা হচ্ছে বেসামরিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর অন্যতম অগ্রাধিকার। তবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় বেসামরিক ফ্লাইটগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকিগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে অ্যাভিয়েশন খাত ন
২ ঘণ্টা আগেজ্বালানির ওপর জীবাশ্মনির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে মসজিদ-মাদ্রাসার ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের অন্যতম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ পোশাকে দিচ্ছে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়। এ অফারের আওতায় ক্রেতারা ঢাকার ভেতর ও বাইরে অবস্থিত মোট ১৫টি আউটলেট থেকে কেনাকাটার সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে