নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার, আগের মাসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার গত এক যুগে সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছে। আগস্টে এর হার ছিল ৯.৫ শতাংশের বেশি এবং সেপ্টেম্বরে যা হয়েছে ৯.১ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। এটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। মাঝে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের কয়েক মাস এটি সাত থেকে আট শতাংশে উঠেছিল। আবার ধীরে ধীরে সাড়ে ৫ শতাংশের আশপাশে স্থির হয়। তবে গত অর্থবছরের শেষের দিকে আবারও বাড়তে থাকে। গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবার তা এক যুগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
এ পরিমাণ মূল্যস্ফীতির অর্থ হচ্ছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় কিনতে পারত গত আগস্টে তার জন্য তাকে প্রায় ১১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তি রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এতে মে থেকে তিন মাস মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৭ শতাংশ। তবে আগস্টের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ে, একবারে দাম বৃদ্ধির দিক দিয়ে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে বাড়ন্ত মূল্যস্ফীতি আরও প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণ। গত বছরের এমন সময়েও মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের নিচে ছিল।
যদিও এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরেও প্রথমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং তা ৫ দশমিক ৮ শতাংশে রাখার কথা ছিল। কিন্তু অর্থবছর শেষে তা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৬ দশমিক ১৫ হয়েছিল।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম একবারেই বেশি বেড়ে যাওয়ায় তা মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আগস্টে তা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি হয়েছে। তবে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯.১ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার আগে থেকেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে নিত্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের আমদানি সহজ করা হয়েছে। আবার বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম কমে আসছে।
তবে, সাধারণত কোন মাসের প্রথম সপ্তাহেই আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য তৈরি করে পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটা চলে গেলেও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেনি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মাসের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার, আগের মাসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার গত এক যুগে সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছে। আগস্টে এর হার ছিল ৯.৫ শতাংশের বেশি এবং সেপ্টেম্বরে যা হয়েছে ৯.১ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। এটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। মাঝে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের কয়েক মাস এটি সাত থেকে আট শতাংশে উঠেছিল। আবার ধীরে ধীরে সাড়ে ৫ শতাংশের আশপাশে স্থির হয়। তবে গত অর্থবছরের শেষের দিকে আবারও বাড়তে থাকে। গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবার তা এক যুগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
এ পরিমাণ মূল্যস্ফীতির অর্থ হচ্ছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় কিনতে পারত গত আগস্টে তার জন্য তাকে প্রায় ১১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তি রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এতে মে থেকে তিন মাস মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৭ শতাংশ। তবে আগস্টের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ে, একবারে দাম বৃদ্ধির দিক দিয়ে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে বাড়ন্ত মূল্যস্ফীতি আরও প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণ। গত বছরের এমন সময়েও মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের নিচে ছিল।
যদিও এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরেও প্রথমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং তা ৫ দশমিক ৮ শতাংশে রাখার কথা ছিল। কিন্তু অর্থবছর শেষে তা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৬ দশমিক ১৫ হয়েছিল।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম একবারেই বেশি বেড়ে যাওয়ায় তা মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আগস্টে তা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি হয়েছে। তবে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯.১ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার আগে থেকেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে নিত্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের আমদানি সহজ করা হয়েছে। আবার বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম কমে আসছে।
তবে, সাধারণত কোন মাসের প্রথম সপ্তাহেই আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য তৈরি করে পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটা চলে গেলেও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেনি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মাসের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
৩ ঘণ্টা আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
১৪ ঘণ্টা আগে