যেই সময় নারীদের উচ্চশিক্ষার কথা শুনলেই মানুষ ভ্রু কুঁচকে তাকাত, সেই সময় প্রকৌশলী হয়েছেন সুধা মূর্তি। ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্ম ভূষণ’ পেয়েছেন তিনি।
সুধা মূর্তি ছিলেন টেলকো (বর্তমান টাটা মোটরস) কোম্পানির প্রথম নারী প্রকৌশলী। বর্তমানে ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
ষাটের দশকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র নারী শিক্ষার্থী ছিলেন সুধা। শুধু আগ্রহ আছে বলে খোলস ভেঙে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয় পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনফোসিসের শত কোটি টাকার প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার পথ খুলে দিয়েছিল এই সুধা মূর্তির ১০ হাজার রুপি।
শুধু লিঙ্গভেদের দেয়াল ভেঙে ফেলাই তাঁর লক্ষ্য ছিল না। সম্ভবত তিনি ভারতের সেরা বিনিয়োগকারীও। এমনকি তাঁকে বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারীও বলা যেতে পারে। কারণ খুব কম মানুষই বিনিয়োগ থেকে এমন বড় অঙ্ক ফেরত পেয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাঁর স্বামী নারায়ণ মূর্তি এবং প্রযুক্তি নিয়ে তাঁর ভাবনার ওপর সুধার ছিল অগাধ আস্থা। ভারতে তখনো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার ধারণাই আসেনি।
যেভাবে শুরু
কলেজের বন্ধু প্রসন্নের মাধ্যমে নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে পরিচয় হয় সুধার। তখন নারায়ণ কয়েকটি বইয়ের লেখকমাত্র। সুধার প্রাথমিক প্রত্যাশায় তিনি ছিলেন শুধুই এক সুদর্শন পাত্র। কিন্তু দেখা হওয়ার পর জানতে পারেন আকাশসম স্বপ্ন দেখা এক পুরুষ নারায়ণ। এরপর সময়ের স্রোতে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে। কে জানত এই জুটির হাতেই লেখা আছে প্রযুক্তির পুনর্গঠন?
সময় তখন ১৯৮১ সাল। ইনফোসিস তখন এক নতুন ধারণামাত্র। নারায়ণ মূর্তির চোখে ছিল সম্ভাবনার ঝলকানি। এই ফুলকি আগুনের শিখায় রূপ নেয় এক যুগান্তকারী বিনিয়োগে। এই বিনিয়োগ ছিল সুধা মূর্তির ব্যক্তিগত আপৎকালীন তহবিল, তাঁর বিচক্ষণ সঞ্চয়।
ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান কপিল শর্মা শো অনুষ্ঠানে সুধার অর্থনীতির প্রায়োগিক জ্ঞানের এক ঝলক দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণ মূর্তির জীবন যখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ডুবে যাচ্ছিল তখন আশ্বাসের নোঙর রূপে উদয় হন স্ত্রী সুধা। মানি কন্ট্রোলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুধা মূর্তি বলেন, নারায়ণ মূর্তি তাঁকে সফটওয়্যার বিপ্লবের গুরুত্ব ও ভারত ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে থাকার কারণ বোঝান। তাঁদের ভাগ্যে কী লেখা আছে তা নিয়ে সুধা নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি স্বামীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।
নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, ‘ভারতের সফটওয়্যার বিপ্লব প্রয়োজন ছিল।’ এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠার ভিত স্থাপন করেন। তাঁরা ছিলেন একেবারে একটি গোছানো মধ্যবিত্ত পরিবার। তার মানে সম্পদও সীমিত। মায়ের বুদ্ধিতে সুধার সঞ্চয় হয় মোট ১০ হাজার ২৫০ রুপি। এই অর্থ থেকেই শুরু হয় পরিবর্তনের প্রারম্ভ।
স্বামীকে ধার দেওয়া সুধার ১০ হাজার রুপি হয়ে ওঠে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর। ১৯৮১ সারের এক কক্ষের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আইটি করপোরেশন। সুধা তাঁর এই ঝুঁকি ও আস্থার নাম দিয়েছেন ‘সেরা বিনিয়োগ’। কয়েক বছর পর এই ‘ক্ষুদ্রঋণ’ ফেরত এসেছে কয়েকশ কোটি হয়ে।
এই পথ খুব মসৃণ ছিল না। সুধা মূর্তি বলেন, শুরুর দিনগুলোতে তার উপার্জনই ছিল পরিবারের প্রধান আয়। আর তাঁর স্বামী ব্যস্ত ছিলেন স্বপ্নপূরণে!
যেই সময় নারীদের উচ্চশিক্ষার কথা শুনলেই মানুষ ভ্রু কুঁচকে তাকাত, সেই সময় প্রকৌশলী হয়েছেন সুধা মূর্তি। ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্ম ভূষণ’ পেয়েছেন তিনি।
সুধা মূর্তি ছিলেন টেলকো (বর্তমান টাটা মোটরস) কোম্পানির প্রথম নারী প্রকৌশলী। বর্তমানে ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
ষাটের দশকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র নারী শিক্ষার্থী ছিলেন সুধা। শুধু আগ্রহ আছে বলে খোলস ভেঙে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয় পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনফোসিসের শত কোটি টাকার প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার পথ খুলে দিয়েছিল এই সুধা মূর্তির ১০ হাজার রুপি।
শুধু লিঙ্গভেদের দেয়াল ভেঙে ফেলাই তাঁর লক্ষ্য ছিল না। সম্ভবত তিনি ভারতের সেরা বিনিয়োগকারীও। এমনকি তাঁকে বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারীও বলা যেতে পারে। কারণ খুব কম মানুষই বিনিয়োগ থেকে এমন বড় অঙ্ক ফেরত পেয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাঁর স্বামী নারায়ণ মূর্তি এবং প্রযুক্তি নিয়ে তাঁর ভাবনার ওপর সুধার ছিল অগাধ আস্থা। ভারতে তখনো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার ধারণাই আসেনি।
যেভাবে শুরু
কলেজের বন্ধু প্রসন্নের মাধ্যমে নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে পরিচয় হয় সুধার। তখন নারায়ণ কয়েকটি বইয়ের লেখকমাত্র। সুধার প্রাথমিক প্রত্যাশায় তিনি ছিলেন শুধুই এক সুদর্শন পাত্র। কিন্তু দেখা হওয়ার পর জানতে পারেন আকাশসম স্বপ্ন দেখা এক পুরুষ নারায়ণ। এরপর সময়ের স্রোতে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে। কে জানত এই জুটির হাতেই লেখা আছে প্রযুক্তির পুনর্গঠন?
সময় তখন ১৯৮১ সাল। ইনফোসিস তখন এক নতুন ধারণামাত্র। নারায়ণ মূর্তির চোখে ছিল সম্ভাবনার ঝলকানি। এই ফুলকি আগুনের শিখায় রূপ নেয় এক যুগান্তকারী বিনিয়োগে। এই বিনিয়োগ ছিল সুধা মূর্তির ব্যক্তিগত আপৎকালীন তহবিল, তাঁর বিচক্ষণ সঞ্চয়।
ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান কপিল শর্মা শো অনুষ্ঠানে সুধার অর্থনীতির প্রায়োগিক জ্ঞানের এক ঝলক দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণ মূর্তির জীবন যখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ডুবে যাচ্ছিল তখন আশ্বাসের নোঙর রূপে উদয় হন স্ত্রী সুধা। মানি কন্ট্রোলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুধা মূর্তি বলেন, নারায়ণ মূর্তি তাঁকে সফটওয়্যার বিপ্লবের গুরুত্ব ও ভারত ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে থাকার কারণ বোঝান। তাঁদের ভাগ্যে কী লেখা আছে তা নিয়ে সুধা নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি স্বামীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।
নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, ‘ভারতের সফটওয়্যার বিপ্লব প্রয়োজন ছিল।’ এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠার ভিত স্থাপন করেন। তাঁরা ছিলেন একেবারে একটি গোছানো মধ্যবিত্ত পরিবার। তার মানে সম্পদও সীমিত। মায়ের বুদ্ধিতে সুধার সঞ্চয় হয় মোট ১০ হাজার ২৫০ রুপি। এই অর্থ থেকেই শুরু হয় পরিবর্তনের প্রারম্ভ।
স্বামীকে ধার দেওয়া সুধার ১০ হাজার রুপি হয়ে ওঠে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর। ১৯৮১ সারের এক কক্ষের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আইটি করপোরেশন। সুধা তাঁর এই ঝুঁকি ও আস্থার নাম দিয়েছেন ‘সেরা বিনিয়োগ’। কয়েক বছর পর এই ‘ক্ষুদ্রঋণ’ ফেরত এসেছে কয়েকশ কোটি হয়ে।
এই পথ খুব মসৃণ ছিল না। সুধা মূর্তি বলেন, শুরুর দিনগুলোতে তার উপার্জনই ছিল পরিবারের প্রধান আয়। আর তাঁর স্বামী ব্যস্ত ছিলেন স্বপ্নপূরণে!
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে