নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংক খাতে খেলাপি কমাতে এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ধরতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই রোডম্যাপে খেলাপিদের নতুন করে জমি, বাড়ি ও গাড়ি কিনতে নিষেধাজ্ঞা, নতুন ব্যবসা বা কোম্পানি খোলার সুযোগ না দেওয়াসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রোডম্যাপ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, গত ৩০ বছরের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতিমালা জারি ও পরিবর্তন করেছে। তারপরও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফেরেনি।
কারণ, নীতিমালা, গাইডলাইন ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে সব সময় সমন্বয়হীনতা ছিল। এবার খেলাপিদের ধরতে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে, তা কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব, এ নিয়ে আস্থার সংকট আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ দিনের মাথায় খেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করেন। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রেণীকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে এই ছাড় দেওয়া হয়। ওই নীতিমালায় খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে বলে জানানো হয়, যা আগে ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এসব ঋণ ৫ থেকে ৮ বছরে পরিশোধ করার সুযোগও দেওয়া হয় নীতিমালায়। আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় দেওয়া হতো। এই খেলাপিদের নতুন করে ঋণ দিতেও বলা হয় ব্যাংকগুলোকে। এত সুবিধা দিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা যায়নি। উল্টো এই নীতিমালা জারির পরের প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৯ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শুধু বারবার নীতি পরিবর্তন করলেই খেলাপি ঋণ কমবে না; নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি এর বাস্তবায়নও জরুরি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকার ও হাইকোর্টেরও সদিচ্ছা দরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, উন্নত দেশগুলোতে অর্থঋণের বিষয়ে উচ্চ আদালত কোনো সিদ্ধান্ত জানান না। বাংলাদেশে এ ধরনের চর্চা থাকার কারণে খেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করার সুযোগ নিচ্ছে। তাই খেলাপি কমাতে আদালত, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ সমন্বয় না থাকলে খেলাপিদের দৌরাত্ম্য কমানো যাবে না। তিনি বলেন, আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এবং ব্যাংক খাত শক্তিশালী করতে নতুন রোডম্যাপ অপরিহার্য ছিল। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ ব্যাংক তা কতটা কার্যকর করতে পারে।
নতুন রোডম্যাপে খেলাপি ঋণের লাগাম টানার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালা শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) দেখানোর জন্যই করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই নীতিমালায় খেলাপি ঋণের লাগাম টানার সম্ভাবনা কম। তবে খেলাপি কমানো গেলে তা হবে ব্যাংক খাতের জন্য সুখবর।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, অতীতে এ ধরনের যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ছিল কাগুজে। এটাও তেমন হবে কি না, তা নির্ভর করবে বাস্তবায়নে তারা সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে কি না তার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংক শক্ত হাতে কোনো পদক্ষেপই বাস্তবায়ন করতে পারে না। কৌশলে অবলোপনের সময় কমানো হচ্ছে। আবার ঋণখেলাপির সময়সীমা ৯ মাস থেকে ৩ মাসে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এগুলো করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। খেলাপি ঋণ না কমে আরও বাড়বে। ব্যাংকগুলোকে কিছু করতে বললেই তারা সময়ক্ষেপণ করে, যা নতুন কোনো রোগ নয়। তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, খেলাপিদের ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, এটা ভালো দিক; বিশেষ করে খেলাপিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার ঘোষণার কারণে খেলাপিরা ভয় পাবেন। এখন দেখার বিষয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এটা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারে। তারা যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সবুজসংকেত থাকে, তবে খেলাপি কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে নীতির সঠিক বাস্তবায়নের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই।
ব্যাংক খাতে খেলাপি কমাতে এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ধরতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই রোডম্যাপে খেলাপিদের নতুন করে জমি, বাড়ি ও গাড়ি কিনতে নিষেধাজ্ঞা, নতুন ব্যবসা বা কোম্পানি খোলার সুযোগ না দেওয়াসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রোডম্যাপ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, গত ৩০ বছরের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতিমালা জারি ও পরিবর্তন করেছে। তারপরও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফেরেনি।
কারণ, নীতিমালা, গাইডলাইন ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে সব সময় সমন্বয়হীনতা ছিল। এবার খেলাপিদের ধরতে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে, তা কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব, এ নিয়ে আস্থার সংকট আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ দিনের মাথায় খেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করেন। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রেণীকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে এই ছাড় দেওয়া হয়। ওই নীতিমালায় খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে বলে জানানো হয়, যা আগে ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এসব ঋণ ৫ থেকে ৮ বছরে পরিশোধ করার সুযোগও দেওয়া হয় নীতিমালায়। আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় দেওয়া হতো। এই খেলাপিদের নতুন করে ঋণ দিতেও বলা হয় ব্যাংকগুলোকে। এত সুবিধা দিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা যায়নি। উল্টো এই নীতিমালা জারির পরের প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৯ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শুধু বারবার নীতি পরিবর্তন করলেই খেলাপি ঋণ কমবে না; নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি এর বাস্তবায়নও জরুরি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকার ও হাইকোর্টেরও সদিচ্ছা দরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, উন্নত দেশগুলোতে অর্থঋণের বিষয়ে উচ্চ আদালত কোনো সিদ্ধান্ত জানান না। বাংলাদেশে এ ধরনের চর্চা থাকার কারণে খেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করার সুযোগ নিচ্ছে। তাই খেলাপি কমাতে আদালত, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ সমন্বয় না থাকলে খেলাপিদের দৌরাত্ম্য কমানো যাবে না। তিনি বলেন, আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এবং ব্যাংক খাত শক্তিশালী করতে নতুন রোডম্যাপ অপরিহার্য ছিল। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ ব্যাংক তা কতটা কার্যকর করতে পারে।
নতুন রোডম্যাপে খেলাপি ঋণের লাগাম টানার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালা শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) দেখানোর জন্যই করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই নীতিমালায় খেলাপি ঋণের লাগাম টানার সম্ভাবনা কম। তবে খেলাপি কমানো গেলে তা হবে ব্যাংক খাতের জন্য সুখবর।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, অতীতে এ ধরনের যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ছিল কাগুজে। এটাও তেমন হবে কি না, তা নির্ভর করবে বাস্তবায়নে তারা সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে কি না তার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংক শক্ত হাতে কোনো পদক্ষেপই বাস্তবায়ন করতে পারে না। কৌশলে অবলোপনের সময় কমানো হচ্ছে। আবার ঋণখেলাপির সময়সীমা ৯ মাস থেকে ৩ মাসে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এগুলো করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। খেলাপি ঋণ না কমে আরও বাড়বে। ব্যাংকগুলোকে কিছু করতে বললেই তারা সময়ক্ষেপণ করে, যা নতুন কোনো রোগ নয়। তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, খেলাপিদের ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, এটা ভালো দিক; বিশেষ করে খেলাপিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার ঘোষণার কারণে খেলাপিরা ভয় পাবেন। এখন দেখার বিষয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এটা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারে। তারা যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সবুজসংকেত থাকে, তবে খেলাপি কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে নীতির সঠিক বাস্তবায়নের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
২৩ মিনিট আগেপদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য পূবালী, যমুনা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
১০ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
১০ ঘণ্টা আগে