নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বাজার দখলচেষ্টার তদন্ত ও বিচার ‘প্রতিযোগিতা কমিশনে’ চলতে কোনো বাধা নেই। আজ সোমবার এ রায় দিয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
‘অস্বাভাবিক কম দামে’ সিম বিক্রি করে গ্রামীণফোন অন্যায্যভাবে বাজার দখলের চেষ্টা করছে বলে প্রতিযোগিতা কমিশনে অভিযোগ করেছিল মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি ও বাংলালিংক। এ নিয়ে শুনানি করে কমিশন। তবে গ্রামীণফোন সেখানে আপত্তি জানায়। গ্রামীণফোনের দাবি, মোবাইল অপারেটরদের বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন নয়, বিটিআরসি ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এ জন্য রবি ও বাংলালিংকের অভিযোগ প্রত্যাহার করার দাবি জানায় গ্রামীণফোন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নেন গ্রামীণফোন ও রবির কর্মকর্তা এবং আইনজীবীরা। কমিশন চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের নেতৃত্বে দুই পক্ষের যুক্তি শোনেন তিনজন সদস্য। এরপর আজ সোমবার রায় ঘোষণা করে কমিশন।
সেখানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতা লঙ্ঘন করার বিষয় প্রতিযোগিতা কমিশনই গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। তদন্ত অনুযায়ী মামলা ও বিচারকাজ চালিয়ে যেতে কমিশনের আইনগত কোনো বাধা নেই।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রায়ে আমরা বলেছি, রবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্তও শুরু করেছিলাম। কিন্তু গ্রামীণফোন কাগজপত্র দিয়ে সহায়তা করছিল না। তারা বলছিল, এটা প্রতিযোগিতা কমিশনের বিষয় নয়, বিটিআরসির বিষয়। আমরা রায়ে বলেছি, বিটিআরসি রেগুলেটরের (নিয়ন্ত্রক) ভূমিকা পালন করবে। আর প্রতিযোগিতা কমিশন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এখানে আইনত বাধা নেই।’
চেয়ারম্যান জানান, খুব শিগগির শুনানির পরবর্তী তারিখ দেওয়া হবে। অভিযোগের তদন্তও শুরু হবে।
রায়ের পর এক বার্তায় গ্রামীণফোন বলে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, একটি আদেশ জারি হয়েছে। তবে আমরা এখনো আদেশের কোনো প্রত্যয়িত অনুলিপি পাইনি, তাই এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও আমরা দৃঢ়ভাবে আবারও বলতে চাই, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের প্রচলিত প্রতিযোগিতা আইন মেনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রামীণফোন কোনোভাবেই প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত নয়। মূল্য নির্ধারণ, বিপণন ও বিতরণ-সম্পর্কিত সব অভিযোগ আমরা সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করি।’
অন্যদিকে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘বাজারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। উদ্ভাবন ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা গ্রাহকদের এবং সামগ্রিকভাবে শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। প্রতিযোগিতা কমিশনকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনে অভিযোগে বলা হয়, সরকার প্রতিটি সিমে ৩০০ টাকা কর ধার্য করায় অপারেটররা বাজার দখলের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে। রবি প্রতিটি সিম ১৯৯ টাকায় বিক্রি করেছে, যেখানে গ্রামীণফোন বিক্রি করেছে ১৬৯ টাকায়। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন বিক্রেতাদের ১২২ টাকা কমিশন দিয়েছে, যা রবির দেওয়া সর্বোচ্চ ৮৯ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে কমিশন বাদ দিলে গ্রামীণফোনের সিমের প্রকৃত মূল্য দাঁড়ায় মাত্র ৪৭ টাকা, যা রবির তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম। এটা অন্যায্যভাবে বাজার দখলের চেষ্টা বলে মনে করে রবি।
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বাজার দখলচেষ্টার তদন্ত ও বিচার ‘প্রতিযোগিতা কমিশনে’ চলতে কোনো বাধা নেই। আজ সোমবার এ রায় দিয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
‘অস্বাভাবিক কম দামে’ সিম বিক্রি করে গ্রামীণফোন অন্যায্যভাবে বাজার দখলের চেষ্টা করছে বলে প্রতিযোগিতা কমিশনে অভিযোগ করেছিল মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি ও বাংলালিংক। এ নিয়ে শুনানি করে কমিশন। তবে গ্রামীণফোন সেখানে আপত্তি জানায়। গ্রামীণফোনের দাবি, মোবাইল অপারেটরদের বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন নয়, বিটিআরসি ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এ জন্য রবি ও বাংলালিংকের অভিযোগ প্রত্যাহার করার দাবি জানায় গ্রামীণফোন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নেন গ্রামীণফোন ও রবির কর্মকর্তা এবং আইনজীবীরা। কমিশন চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের নেতৃত্বে দুই পক্ষের যুক্তি শোনেন তিনজন সদস্য। এরপর আজ সোমবার রায় ঘোষণা করে কমিশন।
সেখানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতা লঙ্ঘন করার বিষয় প্রতিযোগিতা কমিশনই গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। তদন্ত অনুযায়ী মামলা ও বিচারকাজ চালিয়ে যেতে কমিশনের আইনগত কোনো বাধা নেই।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রায়ে আমরা বলেছি, রবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্তও শুরু করেছিলাম। কিন্তু গ্রামীণফোন কাগজপত্র দিয়ে সহায়তা করছিল না। তারা বলছিল, এটা প্রতিযোগিতা কমিশনের বিষয় নয়, বিটিআরসির বিষয়। আমরা রায়ে বলেছি, বিটিআরসি রেগুলেটরের (নিয়ন্ত্রক) ভূমিকা পালন করবে। আর প্রতিযোগিতা কমিশন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এখানে আইনত বাধা নেই।’
চেয়ারম্যান জানান, খুব শিগগির শুনানির পরবর্তী তারিখ দেওয়া হবে। অভিযোগের তদন্তও শুরু হবে।
রায়ের পর এক বার্তায় গ্রামীণফোন বলে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, একটি আদেশ জারি হয়েছে। তবে আমরা এখনো আদেশের কোনো প্রত্যয়িত অনুলিপি পাইনি, তাই এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও আমরা দৃঢ়ভাবে আবারও বলতে চাই, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের প্রচলিত প্রতিযোগিতা আইন মেনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রামীণফোন কোনোভাবেই প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত নয়। মূল্য নির্ধারণ, বিপণন ও বিতরণ-সম্পর্কিত সব অভিযোগ আমরা সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করি।’
অন্যদিকে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘বাজারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। উদ্ভাবন ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা গ্রাহকদের এবং সামগ্রিকভাবে শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। প্রতিযোগিতা কমিশনকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনে অভিযোগে বলা হয়, সরকার প্রতিটি সিমে ৩০০ টাকা কর ধার্য করায় অপারেটররা বাজার দখলের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে। রবি প্রতিটি সিম ১৯৯ টাকায় বিক্রি করেছে, যেখানে গ্রামীণফোন বিক্রি করেছে ১৬৯ টাকায়। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন বিক্রেতাদের ১২২ টাকা কমিশন দিয়েছে, যা রবির দেওয়া সর্বোচ্চ ৮৯ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে কমিশন বাদ দিলে গ্রামীণফোনের সিমের প্রকৃত মূল্য দাঁড়ায় মাত্র ৪৭ টাকা, যা রবির তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম। এটা অন্যায্যভাবে বাজার দখলের চেষ্টা বলে মনে করে রবি।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পাম তেল) দাম বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র বলছে, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চায়। তবে সরকার এক টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। বৈঠক শেষ হয়েছে সিদ্ধান্ত...
৪ ঘণ্টা আগেমার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) মধ্যে গ্রাহকসেবা-সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেফার্নিচার শিল্পের সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ সেশনের সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের সুপরিচিত ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল। ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে সুপারব্র্যান্ড বাংলাদেশের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাতিলের পরিচালক (বিপণন) মশিউর রহমান পুরস্কার গ্রহ
৫ ঘণ্টা আগেঅর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাইরের দেশে বেশি ট্যাক্স দিতে হলেও সরকারের পক্ষ থেকে ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, কিন্তু সেবা পায় না। তাহলে লোকজন তো একটু গোস্সা করবেই।’
৬ ঘণ্টা আগে