বিডা ও বেজার আট মাস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত আট মাসে তিনটি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। প্রকল্পগুলোয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি করা হবে অন্তত ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।
নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি গার্মেন্টস কোম্পানি, একটি এয়ারলাইনস অ্যামেনিটি কিট প্রস্তুতকারী এবং একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। সব কটি প্রতিষ্ঠানই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন চালু করবে, যা সরাসরি কর্মসংস্থান ও শিল্প বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
এই বিনিয়োগ অগ্রগতির পেছনে রয়েছেন বিডা ও বেজার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি একটি ‘সলিড ইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইন’ তৈরির কথা জানিয়েছেন, যেখান থেকে আগামী কয়েক মাসে আরও ১৫টি প্রকল্প চূড়ান্ত হতে পারে।
চৌধুরী আশিক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এই অগ্রগতিকে অভিহিত করেছেন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে। ১১৩৮ শব্দের দীর্ঘ পোস্টে তিনি তুলে ধরেছেন বিগত আট মাসে দেশি-বিদেশি ২০০-এর বেশি উদ্যোক্তা ও সিইওর সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত ৩০টি সংস্কারমূলক উদ্যোগের কথা। এর মধ্যে ১৮টি উদ্যোগে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে, ৭টি পরিকল্পনা সময় অনুযায়ী এগোচ্ছে এবং মাত্র ৫টি নির্ধারিত সময়ের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বললে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যা বলার, ফেসবুকে বলেছি। সেটাই আমার বক্তব্য।’
ফেসবুকে আশিক চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এক দিনে আসে না। সামিটে কেউ আবেগে পড়ে হুট করে ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে দেয় না। যাঁরা এই খাতে কাজ করেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন এর বাস্তবতা। তবু সৌভাগ্যক্রমে আমরা তিনটি একেবারে নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট নিয়ে যতটা হাইপ তৈরি হয়েছিল, সেটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধু আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রোগ্রাম আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। বাহবা পাওয়ার জন্য না, বরং কাজটা যেন সময়মতো এবং টেকসই হয়, সেটাই ছিল লক্ষ্য।’
নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ তিনটি খাতে—বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে নীতিগত ও বাস্তবায়নভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ, বর্তমানে যেসব বিনিয়োগকারী দেশে আছেন তাঁদের প্রতিটি সমস্যার কেস বাই কেস সমাধান এবং একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পাইপলাইন গঠন।’
বিডা ও বেজা যৌথভাবে যে বিনিয়োগ নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে, তাতে সরকারি সেবা সহজীকরণ, অনুমোদনপ্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রেগুলেটরি জটিলতা নিরসনের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে আরও বড় বিনিয়োগ নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত আট মাসে তিনটি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। প্রকল্পগুলোয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি করা হবে অন্তত ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।
নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি গার্মেন্টস কোম্পানি, একটি এয়ারলাইনস অ্যামেনিটি কিট প্রস্তুতকারী এবং একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। সব কটি প্রতিষ্ঠানই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন চালু করবে, যা সরাসরি কর্মসংস্থান ও শিল্প বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
এই বিনিয়োগ অগ্রগতির পেছনে রয়েছেন বিডা ও বেজার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি একটি ‘সলিড ইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইন’ তৈরির কথা জানিয়েছেন, যেখান থেকে আগামী কয়েক মাসে আরও ১৫টি প্রকল্প চূড়ান্ত হতে পারে।
চৌধুরী আশিক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এই অগ্রগতিকে অভিহিত করেছেন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে। ১১৩৮ শব্দের দীর্ঘ পোস্টে তিনি তুলে ধরেছেন বিগত আট মাসে দেশি-বিদেশি ২০০-এর বেশি উদ্যোক্তা ও সিইওর সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত ৩০টি সংস্কারমূলক উদ্যোগের কথা। এর মধ্যে ১৮টি উদ্যোগে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে, ৭টি পরিকল্পনা সময় অনুযায়ী এগোচ্ছে এবং মাত্র ৫টি নির্ধারিত সময়ের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বললে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যা বলার, ফেসবুকে বলেছি। সেটাই আমার বক্তব্য।’
ফেসবুকে আশিক চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এক দিনে আসে না। সামিটে কেউ আবেগে পড়ে হুট করে ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে দেয় না। যাঁরা এই খাতে কাজ করেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন এর বাস্তবতা। তবু সৌভাগ্যক্রমে আমরা তিনটি একেবারে নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট নিয়ে যতটা হাইপ তৈরি হয়েছিল, সেটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধু আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রোগ্রাম আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। বাহবা পাওয়ার জন্য না, বরং কাজটা যেন সময়মতো এবং টেকসই হয়, সেটাই ছিল লক্ষ্য।’
নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ তিনটি খাতে—বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে নীতিগত ও বাস্তবায়নভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ, বর্তমানে যেসব বিনিয়োগকারী দেশে আছেন তাঁদের প্রতিটি সমস্যার কেস বাই কেস সমাধান এবং একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পাইপলাইন গঠন।’
বিডা ও বেজা যৌথভাবে যে বিনিয়োগ নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে, তাতে সরকারি সেবা সহজীকরণ, অনুমোদনপ্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রেগুলেটরি জটিলতা নিরসনের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে আরও বড় বিনিয়োগ নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
৬ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুরোপুরি না পাল্টাতে পারলেও অন্তত কিছুটা স্বস্তির জায়গায় আনতে পেরেছেন তাঁরা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও মনে করেন, নানা দিক সামলে তুলনামূলকভাবে একটি স্থিতিশীল অবস্থা গড়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিশ্রুতি ও প্রচারণা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ আসেনি। আগের তুলনায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে এসেছে ছন্দ এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু অর্থনীতির অন্যতম প্রাণ—বিনিয়োগ খাতে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। বরং বাস্তবতা বলছে, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা আরও ঘনীভূত হয়েছে। রা
৭ ঘণ্টা আগে