নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে প্রায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে বিপরীত চিত্র অপ্রচলিত বাজারগুলোতে। জাপান, চীন, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরেরে জুলাই-নভেম্বরে এ দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম সম্ভাবনাময় নতুন দেশ হচ্ছে জাপান। দূরপ্রাচ্যের এ দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭২৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সংস্থাটি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এটার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
জাপানে প্রধান পণ্য নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৭৯ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। ওভেন গার্মেন্টস হয়েছে ৩০৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা উল্লেখযোগ্য।
রপ্তানি খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পর চীন থেকে অনেক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আগে যেসব দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, সেসব দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন, যার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের সুনাম বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে বেড়েছে, যেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নতুন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়া।
জাপানের পর চীনেও রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের। চীন পণ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এখনো। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে চীনে ৩৫০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের এ সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে এখন অন্যতম দেশ হচ্ছে তুরস্ক। এই দেশটিতে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুরস্কে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পণ্য রপ্তানি বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়ও। এই দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাশিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৪০ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার, সেটা এই অর্থবছরের পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে প্রায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে বিপরীত চিত্র অপ্রচলিত বাজারগুলোতে। জাপান, চীন, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরেরে জুলাই-নভেম্বরে এ দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম সম্ভাবনাময় নতুন দেশ হচ্ছে জাপান। দূরপ্রাচ্যের এ দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭২৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সংস্থাটি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এটার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
জাপানে প্রধান পণ্য নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৭৯ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। ওভেন গার্মেন্টস হয়েছে ৩০৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা উল্লেখযোগ্য।
রপ্তানি খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পর চীন থেকে অনেক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আগে যেসব দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, সেসব দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন, যার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের সুনাম বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে বেড়েছে, যেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নতুন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়া।
জাপানের পর চীনেও রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের। চীন পণ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এখনো। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে চীনে ৩৫০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের এ সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে এখন অন্যতম দেশ হচ্ছে তুরস্ক। এই দেশটিতে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুরস্কে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পণ্য রপ্তানি বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়ও। এই দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাশিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৪০ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার, সেটা এই অর্থবছরের পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।
৮ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোনো সংকট নেই, যথেষ্ট মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক না হলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেব।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ আবেদন পড়েছে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসলে আমদানি অনুমোদন ইস্যু করা হবে।’
এ সময় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুমের শেষ, হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টি, পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় শুকিয়ে যাওয়ার পরে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ।’
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মজুতদার বা সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে মজুতদার বা সিন্ডিকেটের খবর নেই। সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে যদি ১০ শতাংশও অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে বাজার পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে যাবে। কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ জন্য আমরা সামগ্রিক বিবেচনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোনো সংকট নেই, যথেষ্ট মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক না হলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেব।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ আবেদন পড়েছে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসলে আমদানি অনুমোদন ইস্যু করা হবে।’
এ সময় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুমের শেষ, হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টি, পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় শুকিয়ে যাওয়ার পরে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ।’
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মজুতদার বা সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে মজুতদার বা সিন্ডিকেটের খবর নেই। সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে যদি ১০ শতাংশও অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে বাজার পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে যাবে। কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ জন্য আমরা সামগ্রিক বিবেচনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে ঋণের নামে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ইতিহাসে আর্থিক কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় মামলা এটি।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-ঢাকা-১ এ মামলাটি করা হয়। মামলায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ছাড়াও গ্রুপের বেশ কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ইসলামী ব্যাংকের কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর বিপুল অঙ্কের এই অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে ঋণের নামে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ইতিহাসে আর্থিক কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় মামলা এটি।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-ঢাকা-১ এ মামলাটি করা হয়। মামলায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ছাড়াও গ্রুপের বেশ কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ইসলামী ব্যাংকের কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর বিপুল অঙ্কের এই অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।
৮ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ আমদানি করে মোটা মুনাফা বাগাতে একটি পক্ষ কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ট্যারিফ কমিশন কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি স্বীকার করলেও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমানোর যুক্তি দিয়ে ‘স্বল্প পরিসরে’ আমদানির সুপারিশ করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে বর্তমানে আগের মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে চলতি মাসেই নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চলতি মাসে ১ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। আগামী মাসে আসবে এ জাতেরই আরও ২ লাখ ৫ হাজার টন। এমন পরিস্থিতিতে আমদানির পথ খুলে দেওয়া হলে নতুন পেঁয়াজ নিয়ে কৃষক লোকসানে পড়বেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমে কেজিপ্রতি ৮ রুপিতে (প্রায় ১২ টাকা) নেমেছে। এখন আমদানির অনুমোদন দিলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। ক্ষতি হবে আমাদের কৃষকের। ভারতের ব্যবসায়ীদের লাভের জন্য দেশের কৃষকের ক্ষতি করতে পারি না। এ কারণে বাণিজ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ যৌথ কমিটির গত সপ্তাহের বৈঠকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কয়েকটি টিম ফরিদপুর, পাবনাসহ পেঁয়াজের উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার থেকে এই অভিযান শুরুর পর পাইকারি পর্যায়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মণপ্রতি দাম ২৫০ টাকার বেশি কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত। তারপরও দাম বেড়েছে কারসাজিতে। মনিটরিং টিমগুলো পেঁয়াজের উৎস বাজারগুলোতে কাজ শুরু করেছে। এতে পাইকারি পর্যায়ে দাম কমেছে। খুচরায় কেন কমেনি, সেটাও আমরা দেখছি। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করব।’
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘এখন আমদানির অনুমোদন দিলে আমাদের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এটা আমরা করতে পারি না।’
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬-২৭ লাখ টন। গত মৌসুমে উৎপাদিত হয়েছিল ৩৮ লাখ টনের কিছু বেশি। তবে উৎপাদন-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে প্রতিবছর উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশের বেশি নষ্ট হয়ে যায়। এতে মৌসুম শেষে আমদানি করে চাহিদা পূরণ করা হয় এবং দামের ভারসাম্য রাখতে হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ৭০-৮০ টাকা।
পেঁয়াজের এমন চড়া দামের পেছনের কারণ হিসেবে সরকারের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) কৃত্রিম সংকটের কথা বলছে। তবে একই সঙ্গে দাম কমাতে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘স্বল্প পরিসরে’ আমদানির সুপারিশও করেছে। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে কমিশন বলেছে, পেঁয়াজের বাড়তি দামের সুবিধা কৃষক পাচ্ছেন না। বাজারের মধ্যস্বত্বভোগীরাই এর সুযোগ নিচ্ছেন। আমদানির সুযোগ দিলে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে যাবে। তাতে ভোক্তারা যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা আর পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে আমদানির অনুমতিসহ শুল্কছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ট্যারিফ কমিশন।
চিঠিতে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেছেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এই সময়ে ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা, কিন্তু তা বেড়ে এখন ১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মতে, প্রতিবছর এই সময়টাতে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। তাই আমদানি করতে হলে পরিকল্পনা আরও আগেই করার প্রয়োজন ছিল। তাহলেই দাম এই পর্যায়ে আসত না।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত মজুত আছে বললেও আমাদের বাজারের চিত্র ভিন্ন। দাম কমাতে কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা যেতে পারে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ আমদানি করে মোটা মুনাফা বাগাতে একটি পক্ষ কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ট্যারিফ কমিশন কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি স্বীকার করলেও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমানোর যুক্তি দিয়ে ‘স্বল্প পরিসরে’ আমদানির সুপারিশ করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে বর্তমানে আগের মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে চলতি মাসেই নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চলতি মাসে ১ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। আগামী মাসে আসবে এ জাতেরই আরও ২ লাখ ৫ হাজার টন। এমন পরিস্থিতিতে আমদানির পথ খুলে দেওয়া হলে নতুন পেঁয়াজ নিয়ে কৃষক লোকসানে পড়বেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমে কেজিপ্রতি ৮ রুপিতে (প্রায় ১২ টাকা) নেমেছে। এখন আমদানির অনুমোদন দিলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। ক্ষতি হবে আমাদের কৃষকের। ভারতের ব্যবসায়ীদের লাভের জন্য দেশের কৃষকের ক্ষতি করতে পারি না। এ কারণে বাণিজ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ যৌথ কমিটির গত সপ্তাহের বৈঠকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কয়েকটি টিম ফরিদপুর, পাবনাসহ পেঁয়াজের উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার থেকে এই অভিযান শুরুর পর পাইকারি পর্যায়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মণপ্রতি দাম ২৫০ টাকার বেশি কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত। তারপরও দাম বেড়েছে কারসাজিতে। মনিটরিং টিমগুলো পেঁয়াজের উৎস বাজারগুলোতে কাজ শুরু করেছে। এতে পাইকারি পর্যায়ে দাম কমেছে। খুচরায় কেন কমেনি, সেটাও আমরা দেখছি। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করব।’
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘এখন আমদানির অনুমোদন দিলে আমাদের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এটা আমরা করতে পারি না।’
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬-২৭ লাখ টন। গত মৌসুমে উৎপাদিত হয়েছিল ৩৮ লাখ টনের কিছু বেশি। তবে উৎপাদন-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে প্রতিবছর উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশের বেশি নষ্ট হয়ে যায়। এতে মৌসুম শেষে আমদানি করে চাহিদা পূরণ করা হয় এবং দামের ভারসাম্য রাখতে হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ৭০-৮০ টাকা।
পেঁয়াজের এমন চড়া দামের পেছনের কারণ হিসেবে সরকারের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) কৃত্রিম সংকটের কথা বলছে। তবে একই সঙ্গে দাম কমাতে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘স্বল্প পরিসরে’ আমদানির সুপারিশও করেছে। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে কমিশন বলেছে, পেঁয়াজের বাড়তি দামের সুবিধা কৃষক পাচ্ছেন না। বাজারের মধ্যস্বত্বভোগীরাই এর সুযোগ নিচ্ছেন। আমদানির সুযোগ দিলে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে যাবে। তাতে ভোক্তারা যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা আর পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে আমদানির অনুমতিসহ শুল্কছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ট্যারিফ কমিশন।
চিঠিতে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেছেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এই সময়ে ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা, কিন্তু তা বেড়ে এখন ১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মতে, প্রতিবছর এই সময়টাতে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। তাই আমদানি করতে হলে পরিকল্পনা আরও আগেই করার প্রয়োজন ছিল। তাহলেই দাম এই পর্যায়ে আসত না।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত মজুত আছে বললেও আমাদের বাজারের চিত্র ভিন্ন। দাম কমাতে কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা যেতে পারে।’

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।

শেয়ারবাজারে মুনাফা করতে হলে জানতে হবে কিছু মৌলিক দিক। এখানে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো জ্ঞান, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে বাজার হয়ে উঠতে পারে বড় অর্থ আয়ের অসাধারণ ক্ষেত্র।

রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া ও প্রভাবিত ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। পরবর্তীতে এর একটি অংশ সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে পাচার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে কৃষিপণ্যটির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর ওপারে কাছাকাছি প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে