Ajker Patrika

ঈদের আগে ৩ মাসের বেতন-বোনাস বকেয়া, টি অ্যান্ড জেড পরিচালকের বাসার সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থান

উত্তরা প্রতিনিধি, ঢাকা 
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৫, ০১: ১৫
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কের ৩০ নম্বর বাসার সামনে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা থেকে জড়ো হওয়া শুরু করেন শ্রমিকরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কের ৩০ নম্বর বাসার সামনে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা থেকে জড়ো হওয়া শুরু করেন শ্রমিকরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঈদুল আজহার আগমুহূর্তে তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস না পেয়ে রাজধানীর উত্তরায় গার্মেন্টস পরিচালকের বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন গাজীপুরের ‘টি অ্যান্ড জেড গ্রুপ’-এর পোশাক কারখানা ‘অ্যাপারেলস প্লাস ইকো’র কয়েক শ শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত ৩০ নম্বর বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করেন তাঁরা। গার্মেন্টসটির পরিচালক শাহীন আহমেদ ওই ভবনের ছয়তলায় থাকেন। শ্রমিকদের ভাষ্য, তিনি প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করতেন। গ্রুপটির মালিক শাহাদাৎ হোসেন শামীম বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।

শ্রমিকেরা জানান, প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। তবে বকেয়া পাওনার মধ্যে থাকা কয়েক শ শ্রমিক ছাড়া অন্য কেউ এখনো বেতন-বোনাস পাননি। তাঁদের ভাষায়, ২৯ মে’র মধ্যে সবার পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। পরে ৫ জুনের আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

গার্মেন্টসটির রক্ষণাবেক্ষণ শাখার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজানে কোনো নোটিশ ছাড়াই গার্মেন্টসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই বেতন বকেয়া। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই এখানে চাকরি করি। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার কথা ছিল, এখন বসে আছি পরিচালকের বাড়ির সামনে।’

শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজনসহ প্রায় ২০০-২৫০ জনকে বেতন দেওয়া হলেও অধিকাংশ শ্রমিক এখনো বঞ্চিত। অপারেটর হিসেবে কাজ করা মো. হাসান বলেন, ‘আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা পাওনা। ঈদের আগে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনো অর্ধেকের বেশি বকেয়া পড়ে আছে।’

তাঁরা আরও জানান, এর আগেও শ্রম ভবন ও উপদেষ্টার বাড়িতে গিয়েছেন আন্দোলনের অংশ হিসেবে। তখনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর ফল আসেনি।

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও বোনাস বকেয়া। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে সমস্যা হয়েছে। ব্যাংক খুললে টাকা পরিশোধ করা হবে।’

মধ্যরাত পর্যন্ত শ্রমিকদের সড়কে অবস্থান করতে দেখা গেছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়ির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত