Ajker Patrika

৫ আগস্টের মতো আবারও রাস্তায় নামতে হবে, নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৩৩
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির জনসভায় মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির জনসভায় মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৫ আগস্টে সবাই মিলে যেভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন, তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য; ভাতের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সামাজিক অধিকার পাওয়ার জন্য।

আজ সোমবার তাঁর নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও সদরের শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সদর উপজেলা বিএনপির এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কি সত্যি সত্যিই পরিবর্তন চান? নাকি আবারও সেই আওয়ামী লীগের নৌকাতে ফিরে যেতে চান?’ তখন উপস্থিত সবাই না সূচক উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ‘ওই যে ৫ আগস্টে সবাই মিলে যেভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন, তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে অধিকার আদায়ের জন্য, ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। ভাতের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সামাজিক অধিকার পাওয়ার জন্য।’

ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, অনেক কষ্ট করেছি এবং অনেক কষ্ট ভোগ করেছি। তাই আজকে আমাদের কাছে সবচেয়ে যেটা বড় প্রয়োজন আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, আমরা শান্তিতে একটি নির্বাচন করতে চাই। সে নির্বাচনে আমরা ভোট দিয়ে আমাদের যাকে পছন্দ তাকে নির্বাচিত করতে চাই।’

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন আর জেলে যেতে হবে না। আমরা এখন ওই শান্তিতে আছি যে রাত হলে পুলিশ বাড়ি আক্রমণ করবে না। অন্তত এটুকু শান্তিতে আছি, আমাদের ওই খেত বাড়িতে–ধান বাড়িতে অথবা গাছের ওপরে বসে থাকতে হবে না রাতে। যেটা আমাদের গত ১৫ বছর ধরে থাকতে হয়েছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম যুদ্ধ করে। বুকের রক্ত দিয়ে লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। হিন্দু–মুসলমান ভাইয়েরা ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন। আমরা সেটা ভুলি নাই। আমরা যে ভারতে গেলাম, উদ্বাস্তু হয়ে গেলাম, দেশে আমাদের বাড়িঘর পাক হানাদার বাহিনী লুট করে নিয়ে গিয়েছিল।

‘পরবর্তীতে আমরা স্বাধীন হলাম যুদ্ধ করে এবং একটি দেশ পেলাম। আমাদের মনে আশা ছিল যে শেখ মুজিবুর রহমান বড় নেতা। তিনি আমাদের একটি সুন্দর দেশ দেবেন, শান্তির দেশ। যেখানে আমরা পরস্পর ভাই ভাইয়ের মতো বাস করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা সেটা পাই নাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে হানাহানি–কাটাকাটি খুন-জখম-হিংসা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার, যে নেতাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) এত মানুষ ভালোবাসল, যে দলটাকে ভালোবাসত (আওয়ামী লীগ) সে দলটাই এ দেশের মানুষের ওপর চড়াও হলো।

রব সাহেবের (আ স ম আব্দুর রব) জাসদ আওয়ামী লীগ থেকে সেই সময় বের হয়ে আসছিল। দলটা মনে করেছিল, আওয়ামী লীগ সেই সময় ঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারছিল না। ওই সময় আওয়ামী লীগ দুর্নীতি-চুরি-লুটতরাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। স্বাধীনতার পরপরই জাসদের প্রায় ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে আওয়ামী লীগ হত্যা করে।’

বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘গত ৫০ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, শান্তির দেশ–ভালোবাসার দেশ–উন্নয়নের দেশ গড়ার জন্য। দুর্ভাগ্য আমাদের, আওয়ামী লীগের হাতে যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসল ২০০৮ সালে এরপর আবার শুরু হলো অত্যাচার–নির্যাতন।

‘এবারের কায়দাটা ভিন্ন, কয়েকটি দল রাখল গণতন্ত্রের একটা ফ্যাসাদ থাকল। আবার শুরু করল বাকশালি একদলীয় ব্যবস্থা। পরে ২০১২ সালে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তিনবার ভোট দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ ভোটের ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একটা দাবি উঠেছে যে আমরা একাই সব করে ফেলেছি, আর আমরা যে ১৫ বছর ধরে মাইর খেলাম, মামলা খেলাম, গাইবি মামলা হলো জেল–জুলুমের শিকার হলাম।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির জনসভায় মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির জনসভায় মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি বলেন, ‘শুধু আপনারাই হামলা-হামলার শিকার হন নাই, একই সঙ্গে সদরের প্রায় সাত হাজার আসামি ১০০টি ওপরে মামলা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ। ৭০০ মানুষকে গুম করে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দেশটা কারও বাপের না। আমাদের রক্ত পানি করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা সবাই জান দিয়ে পেয়েছি বাংলা। কারও দানে পাওয়া নয়। এই দেশটা আপনাদের, এই মাটি আপনাদের। এই মানুষগুলো আপনাদের। আপনাদেরকেই রক্ষা করতে হবে এ মাটি ও দেশ।

‘আমরা কারও ওপর প্রতিহিংসা চালাতে চাই না, কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়ে ভালোবেসে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আসুন আমরা সবাই মিলে সে লক্ষ্যে কাজ করি।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের অনুমোদন

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণ এবং একটি হল পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন ও সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে ছাত্রদের জন্য তিনটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, শেরেবাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী ভবনসহ কয়েকটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ, ইনোভেশন হাব নির্মাণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব হল ও ডরমিটরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি উন্নত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

এদিকে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি ও মেয়েদের ৬টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৩২ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দুটি নতুন হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জাকসু নেতাদের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকা 
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে ‘শহীদ আলিফ যেই গেটে, ছাত্রলীগ কেন সেই গেটে’, ‘ছাত্রলীগ মিছিল করে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও তাদের কিছু সদস্য উপস্থিত হয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সুযোগ বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে আজও আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সতর্ক করছি, আপনারা কি ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করতে চান, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট রক্ষা করতে চান? বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কেমন হতে পারে, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন।’

জাকসুর সহসভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত হয়েছি, যখন দেখেছি গতকাল রাতে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব ব্যক্তি বসে আছেন, এটা কিন্তু আপনাদের জন্য অনেকটা লজ্জার।’

এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাখা ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে শামসুল আলম-জামাল উদ্দিন

জাবি প্রতিনিধি 
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সভাপতি এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ পদের মধ্যে ৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খন্দকার শরিফুল হুদা ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহসভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা। এই পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

এ ছাড়া অন্য পদগুলোতে শিক্ষকেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আল-আমিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক পদে একই বিভাগের এস এম মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইনস্টিটিউড অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, পরিবেশ ও গবেষণা সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম এবং নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শামছুন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক নাহিদ আখতার, কামরুন নেছা খন্দকার, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক এ কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার ও অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নির্বাচিত হয়ে আমি আনন্দিত এবং সেই সঙ্গে এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জয়ী-পরাজিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত