Ajker Patrika

স্থায়ী ক্যাম্পাস পাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গণ-অনশন প্রত্যাহার শিক্ষার্থীদের

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ২৬
অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপির একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের চোখেমুখে আনন্দ দেখা যায়।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলনের ফল পেয়েছি। আমাদের পাশে যারা ছিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া গণ-অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।

গত ২৬ জুলাই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’-এর কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে টানা কয়েক দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে পথনাটক, প্রতীকী ক্লাস ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। পরবর্তী সময় হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ, রেলপথ অবরোধ এবং যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান তাঁরা। অবশেষে সরকারের অনুমোদন পেয়ে আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে ওয়ার্কশপে অগ্নিকাণ্ড: মোটরসাইকেলে এসে আগুন দেয় দুজন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এক ওয়ার্কশপের সামনে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখান থেকে বিস্ফোরণে পাশে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপ ভ্যানও পুড়ে যায়। মোটরসাইকেল করে দুই ব্যক্তি এসে গাড়িতে আগুন দেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গতকাল শনবির (৮ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের বাম পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকঘেঁষে কয়েকটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। সামনে খালি জায়গা এবং গাবতলী-সদরঘাট বেড়িবাঁধ সড়ক। খালি জায়গায় বিভিন্ন মালিক পিকআপ ভ্যান রাখেন এবং নষ্ট গাড়ি রেখে মেরামত করেন মেকানিকরা। শনিবার রাতের আগুনে পোড়া গাড়িগুলোর কাঠামো সেখানেই দেখা যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্নিকাণ্ডের সময় ওয়ার্কশপের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন লোকমান হাকিম। লোকমান জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি এবং জুয়েল নামে একজন গাড়িচালক দক্ষিণ পাশে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় বেড়িবাঁধের পাশে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ওঠে। তাঁরা দুজন দৌড়ে গিয়ে দেখেন, ক্যাপ ও মাস্ক পরা এক ব্যক্তি দৌড়ে মোটরসাইকেলে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে সে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে যে অপেক্ষা করেছিল সে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার দিকে দ্রুত চলে যায়। আর মাস্ক পরা ব্যক্তি দৌড়ে গাবতলীর দিকে যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লোকমান আরও জানান, তখন তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ছাদ ও যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। এ পর্যায়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন তাঁরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন বলেও জানান লোকমান। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে তিনটি গাড়ি পুড়ে যায়।

পোড়া অ্যাম্বুলেন্সের পাশে কাঁদতে দেখা যায় এর মালিক মো. সাগরকে। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে গাড়িটি মেরামতের জন্য সেবা অটোমোবাইল নামে একটি গ্যারেজে দেন। তারা গাড়িটি বেড়িবাঁধের পাশে রেখেই মেরামতের কাজ করেছে। আমি তখন তাদের নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু তারা শোনেনি। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় এই অ্যাম্বুলেন্স কিনেছি। মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।’

‘সেবা অটোমোবাইল’ গ্যারেজের মালিক মো. জসীম জানান, সব সময় গাড়ি গ্যারেজের সামনে রেখেই মেরামত করেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল কারা, কেন টার্গেট করে এই আগুন দিয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না। ঘটনার পর থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, একটি মোটরসাইকেলে দুজন ছিল। এই মোটরসাইকেল থেকে কিছু একটা ছুড়ে মারার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ছুড়ে মারা বস্তুটি পেট্রল বোমা বলে ধারণা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের।’

ওসি আরও বলেন, ‘আমরা একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেখানে একজনকে দৌড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। মাথায় সাদা ক্যাপ। আমরা আশপাশের আরও কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি।’ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তাঁকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ‘হৃদ্‌রোগে’ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার চলার সময় তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মী হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আবিদ ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেলের অনুসারী। তাঁরা বাবা দক্ষিণ জেলা উলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দেওয়ান মো. আবুল হোসেন।

আজ (৯ নভেম্বর) বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের বিএনপির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে একপক্ষ হলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন সমর্থক। অপর পক্ষ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থক।

গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তালুকদার আকাশ বলেন, ইকবাল হোসাইনের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আবিদ। এ সময় তাঁকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরে না আসায় তাঁকে দ্রুত অটোরিকশায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টফেল করে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো আঘাতে আবিদ মারা যায়নি। সংঘর্ষের সময় হার্টফেল করে তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিসি অফিসে অবস্থান অপসো স্যালাইনের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা অপসো স্যালাইন কারখানায় অবস্থান নেন।

বেলা ১১টার দিকে ডিসি অফিসের সামনে কয়েক শ শ্রমিককে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অফিসের মূল ফটক অনেকটা অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। এ সময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন দেখা যায়।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শ্রমিক মো. খোকন বলেন, ‘শ্রমিকের করের টাকায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার বেতন হয়। ৫৭০ জনের চাকরি এক কলমের খোঁচায় চলে গেল। এখন এদের পেট চলবে কী করে, পরিবার-পরিজন চলবে কী করে? তারা কি না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা কি চান, এই শ্রমিকেরা ছিনতাইকারী হোক। ডিসি হিসেবে আপনি সরকারের প্রতিনিধি। মানবিক দিক দিয়ে আপনি তাদের কথা বিবেচনা করেন। না হয় প্রতিদিন কর্মসূচি আসবে।’

পরে দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ৩ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে ফের অপসো স্যালাইন কারখানায় অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে আন্দোলনে সংহতি জানানো বাসদের সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসক আগামী ১২ নভেম্বর মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রমিকদের পুনর্বহাল করা না হলে ১২ নভেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে যুবদল কর্মী নিহত: মেয়রের ক্ষোভ ঝাড়া সেই ওসিকে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এক যুবদল কর্মী নিহতের ঘটনায় বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়ী করে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। রোববার সেই ওসি ইখতিয়ার উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁকে বদলি করা হয়। আদেশ বলা হয়, ওসি ইখতিয়ারকে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে বন্দর থানার বর্তমান ওসি মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিনকে বাকলিয়া থানার দায়িত্বে এবং পরিদর্শক মোস্তফা আহমেদকে বন্দর থানার নতুন ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পরিদর্শক ইখতিয়ারকে বাকলিয়া থানার ওসি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে ৩০ জুলাই বন্দর থানার ওসি পদে দায়িত্ব পান তৎকালীন চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক মো. আফতাব উদ্দিন।

জানা গেছে, গত আট মাসে বাকলিয়া থানা এলাকায় গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ২৯ মার্চ গভীর রাতে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোডে প্রাইভেট কার ধাওয়ার পর গুলি করে দুজনকে হত্যা করা হয়। সবশেষ ২৭ অক্টোবর একই থানা এলাকার বাকলিয়া এক্সেস রোডসংলগ্ন সৈয়দ শাহ রোডে মেয়র শাহাদাত হোসেনের ব্যানার টানানো নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে সাজ্জাদ নামের এক যুবদল কর্মী নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পাশাপাশি বাকলিয়া থানা-পুলিশকে দোষারোপ করেন শাহাদাত।

ঘটনার পরদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সান্ত্বনা ও আহত ব্যক্তিদের দেখতে এসে শাহাদাত বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়ীরা সন্ত্রাসী গ্রুপের। তারা আগে ছাত্রলীগ–যুবলীগ করত। তারা আজকে এখানে এসে কারও না কারও শেল্টারে আছে। আমি এক সপ্তাহ আগে বাকলিয়া থানার ওসিকে বলেছিলাম এই ছেলেদের গ্রেপ্তারের জন্য। পোস্টার–ব্যানার নামিয়ে ফেলার কথাও বলেছি। তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য আমি পুলিশ কমিশনার সাহেবকে বলেছি। আমি বলেছি, যদি আমার দলেরও কেউ তাদের শেল্টার দিয়ে থাকে, দরকার হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, তাকেও গ্রেপ্তার করেন। এটা কিন্তু ওসিকে আমি বলেছি। কিন্তু ওসি কেন জানি তাদের গ্রেপ্তার করছেন না।’ এ সময় বাকলিয়া থানা-পুলিশ নিয়েও নানা সমালোচনা করেন মেয়র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত