রংপুর প্রতিনিধি
স্বামীর চাহিদা মতো বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় রংপুরের তারাগঞ্জে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজীপুর মাঝাপাড়া গ্রামের খাদিমুল ইসলামের মেয়ে মৌসুমী আক্তারের (২৫) সঙ্গে একই উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুজ্জামানের (২৮)। তখন যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র দাবি করে ছেলের পরিবার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ের সময়ই তা পরিশোধ করেন খাদিমুল ইসলাম।
এদিকে বিয়ের ৬ মাস না পেরোতেই যৌতুকের জন্য আরও দুই লাখ টাকা আনার চাপ দেওয়া শুরু করেন নুরুজ্জামান। এতে মৌসুমী অস্বীকৃতি জানালে করা হতো নির্যাতন। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে ব্যবসা করার জন্য মৌসুমীকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা আনতে বলেন। এতে মৌসুমী রাজি না হলে তাঁকে বেদম মারধর করেন নুরুজ্জামান। মারধরে সহায়তা করেন দেবর রোকন, শ্বশুর মজির উদ্দিন ও শাশুড়ি রুপালী বেগম। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন মৌসুমীকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মারধরের ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে মৌসুমী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী নুরুজ্জামান, দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার সকালে নুরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় বলে জানিয়েছে তারাগঞ্জ থানা-পুলিশ।
গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘বিয়ের সময় স্বামীকে দেড় লাখ নগদ টাকা আর ঘরের আসবাবপত্র দেন বাবা। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই আরও দুই লাখ টাকা আনতে চাপ দেন স্বামী। আমি রাজি না হওয়ায় প্রায় মারধর করতেন। শনিবার সকালে তো মেরেই ফেলত। আল্লাহ সহায় ছিল বলে বেঁচে গেছি।’
থানা হাজতে থাকার সময় নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামান্য বিষয়ে কথাকাটাকাটি হওয়ায় একটু থাপ্পড় মেরেছি। এটা ভুল বোঝাবুঝি।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
স্বামীর চাহিদা মতো বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় রংপুরের তারাগঞ্জে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজীপুর মাঝাপাড়া গ্রামের খাদিমুল ইসলামের মেয়ে মৌসুমী আক্তারের (২৫) সঙ্গে একই উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুজ্জামানের (২৮)। তখন যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র দাবি করে ছেলের পরিবার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ের সময়ই তা পরিশোধ করেন খাদিমুল ইসলাম।
এদিকে বিয়ের ৬ মাস না পেরোতেই যৌতুকের জন্য আরও দুই লাখ টাকা আনার চাপ দেওয়া শুরু করেন নুরুজ্জামান। এতে মৌসুমী অস্বীকৃতি জানালে করা হতো নির্যাতন। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে ব্যবসা করার জন্য মৌসুমীকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা আনতে বলেন। এতে মৌসুমী রাজি না হলে তাঁকে বেদম মারধর করেন নুরুজ্জামান। মারধরে সহায়তা করেন দেবর রোকন, শ্বশুর মজির উদ্দিন ও শাশুড়ি রুপালী বেগম। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন মৌসুমীকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মারধরের ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে মৌসুমী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী নুরুজ্জামান, দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার সকালে নুরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় বলে জানিয়েছে তারাগঞ্জ থানা-পুলিশ।
গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘বিয়ের সময় স্বামীকে দেড় লাখ নগদ টাকা আর ঘরের আসবাবপত্র দেন বাবা। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই আরও দুই লাখ টাকা আনতে চাপ দেন স্বামী। আমি রাজি না হওয়ায় প্রায় মারধর করতেন। শনিবার সকালে তো মেরেই ফেলত। আল্লাহ সহায় ছিল বলে বেঁচে গেছি।’
থানা হাজতে থাকার সময় নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামান্য বিষয়ে কথাকাটাকাটি হওয়ায় একটু থাপ্পড় মেরেছি। এটা ভুল বোঝাবুঝি।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে