Ajker Patrika

জাতীয় পার্টির রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে এসেছি: জি এম কাদের

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ২১
জাতীয় পার্টির রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে এসেছি: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছি। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা আমাদের পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’ 

আজ শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী কর্মিসভায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনি দুই দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পাঁচ দিন পর তিনি নির্বাচনী এলাকায় এসেছেন। 

আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই। কাজেই আমরা মনে করছি নির্বাচনটা ভালো করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

‘নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত এবং সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী ও দলের অনৈক্য দূর করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লাভজনক। তবে আমাদের অপশনও আছে, যদি দেখি আমাদের শর্ত মতে কার্যক্রম হচ্ছে না, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করব।’

নির্বাচনের মাঠে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের ডিমান্ড হলো প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশিশক্তি এবং অর্থের ব্যবহার ও প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে। নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এটা যদি তারা মেনে না চলেন, তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ 

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে আমরা জোট করেছি। আমাদের ক্যান্ডিডেটরাও অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম, কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।’ 

কর্মিসভায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, জেলার সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

এদিকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রংপুর নগরীর পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন জি এম কাদের। পরে তিনি মুন্সিপাড়া কবরস্থানে তার মা-বাবার কবর এবং কেরামতিয়া জামে মসজিদে মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) জৈনপুরীর মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু, অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে শতাধিক অবৈধ ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামগতি উপজেলার চর আফজাল এলাকা থেকে শুরু হয় এই অভিযান। দুপুর পর্যন্ত আমানত ইটভাটা, জেসমিন সারোয়ার, আবদুল ওয়াহাবসহ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পাঁচটি ভেকু মেশিনের সাহায্যে ভাটার চুল্লি, চিমনি ও কাঁচা ইট বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরপর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।

এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকেন তাঁরা।

অভিযানে অংশ নেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন, ঢাকা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনসহ পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫১টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি ভাটা অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, শুধু লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৫১টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টি ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ। তাই এসব অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবে চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না।

ইউএনও মো. আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় শ্রমিকেরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক হাজতির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারারক্ষীরা ওই বন্দীকে কারাগার থেকে ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত হাজতির নাম মামুনুর রশীদ (৩৪)। তাঁর বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

মো. ফারুক আরও জানান, ওই ব্যক্তি হাজতি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর মামলার বিবরণ জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুড়িমারী স্থলবন্দর: ভারতীয় ট্রাক থেকে ওষুধ ও সিসা জব্দ, চালক আটক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ট্রাকচালককে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে এসব পণ্য পাচারের সময় সেগুলো জব্দ করা হয়।

আটক ট্রাকচালক সমির পালের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংড়াবান্ধা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গৌরঙ্গ পাল।

বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরগামী ভারতীয় ট্রাকচালক সমির পাল (৩৫) খালি ট্রাক নিয়ে শূন্যরেখা সড়কপথে যাচ্ছিলেন। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দায়িত্বরত বুড়িমারী আইসিপি বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হলে তাঁরা ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। এতে চালকের আসনের নিচে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ ‘ওসিমার্ট’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘ওসিকিন’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি এবং ২৭২ কেজি সিসা পাওয়া যায়।

বিজিবি জানায়, জব্দ করা ওষুধ ও ধাতব সিসার মূল্য ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং ট্রাকসহ মোট মূল্য ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুরের ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, চোরাচালানের পণ্যসহ আটক ভারতীয় চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকেসহ জব্দ পণ্য পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর চকবাজারে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ ব্যবহার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু হাসান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুনেছা আক্তারের নেতৃত্বে র‍্যাব-১০-এর সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মো. জসিমকে দেড় লাখ, মো. আলামিনকে এক লাখ ও বাবুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

র‍্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, জনস্বার্থে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে এবং এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত