ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়
‘গুলিটি বাবার মাথার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আমাদের সম্পদ বলতে বাড়ি-ভিটেটুকুই। তাও আবার কৃষি ব্যাংকে দায়বদ্ধ। বাবা এই জমির দলিল দিয়ে ঋণ নিয়েছে আমরা জানতাম না। এখন শুনি সুদে আসলে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কীভাবে চলব জানি না। তার ওপর এই ঋণের বোঝা।’
শোকে কাতর হয়ে কথাগুলো বলছিল পঞ্চগড় বোদা উপজেলা মাড়েয়া ইউনিয়নের প্রধানহাট গ্রামের বাসিন্দা মামুন ইসলাম (১৭)। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ১৯ জুলাই (শুক্রবার) ঢাকার মোহাম্মদপুরে বছিলায় গুলিতে নিহত হন তাঁর বাবা আবু ছায়েদ।
মুদিদোকানি আবু ছায়েদের দোকানে সেদিন পলিথিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। সে জন্য পলিথিন আনতে বের হয়েছিলেন। পথে গুলিতে নিহত হন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শোকে কাতর পরিবার।
আজ শনিবার আবু ছায়েদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মাটির দেয়াল আর জোড়াতালির টিনের ছাউনির দুই কক্ষই তাঁদের অভাবের বড় সাক্ষী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ স্ত্রী ও সন্তান। তার ওপর মাথায় বাড়ি-ভিটের ঋণের বোঝা।
পরিবার জানিয়েছে, ১০ থেকে ১২ বছর আগে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন আবু ছায়েদ। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী মাজেদা বেগম, মেয়ে শাহনাজ আক্তারে বিয়ে হয়েছে ও ছেলে মামুন ইসলাম এবার এসএসসি দিয়েছে। ঢাকা থেকে তাঁর পাঠানো টাকায় কোনোমতে সংসার চলত। পরে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করে বাস শুরু করেন ছায়েদ। দুই বছর আগে মোহাম্মদপুরের বছিলা ৪০ ফিট এলাকায় ভাড়া নিয়ে একটি মুদিদোকান দেন তিনি।
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) নামাজের পর দোকানের জন্য পলিথিন ব্যাগ আনতে সড়কে বের হয়ে পড়েন সংঘর্ষের মধ্যে। একপর্যায়ে একটি গুলি এসে লাগে তাঁর মাথায়। সড়কে পড়ে থাকে আবু ছায়েদের প্রাণহীন রক্তাক্ত দেহ। গোলযোগের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স করে দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর মরদেহটি পঞ্চগড়ে আনেন। শনিবার (২০ জুলাই) সকালেই বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পুরো পরিবার। সম্পদ বলতে বাড়ি-ভিটের ১৫ শতক জমি, মাটির জরাজীর্ণ ঘর। তাও এই জমির ওপরে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ছায়েদ। যা জানা ছিল না স্বজনদের। ৪৫ হাজার টাকার ঋণ এখন সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। ছেলে মামুনকে নিয়ে মাজেদা বেগমের এখন দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
নিহত আবু ছায়েদের স্ত্রী মাজেদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমার স্বামী যে টাকা পাঠাত তাই দিয়ে সংসার চালাতাম। ছেলের লেখাপড়াও চলত সেই টাকায়। সে কোনো দল করত না। কিন্তু ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষের সময় পলিথিন ব্যাগ আনতে সড়কে বের হলেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিনা কারণে নিরপরাধ মানুষটি মারা গেল, সঙ্গে আমাদেরও দুঃখের সাগরে ফেলে গেল। এখন আমি আমার সন্তানকে নিয়ে কীভাবে চলব।’
প্রতিবেশী মশিউর রহমান বলেন, এই পরিবারটি খুবই দরিদ্র। তার ওপর একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিরপরাধ মানুষটি গুলিতে মারা গেছে। সরকারের উচিত এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার নজির বলেন, ‘সহিংসতায় পড়ে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। তারপরও তাঁরা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আবেদন করলে আমরা সেই তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা জেনেছি আবু ছায়েদ ঢাকায় দোকান করতেন। পলিথিন আনতে বের হলে গুলিতে তিনি মারা যান।’
‘গুলিটি বাবার মাথার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আমাদের সম্পদ বলতে বাড়ি-ভিটেটুকুই। তাও আবার কৃষি ব্যাংকে দায়বদ্ধ। বাবা এই জমির দলিল দিয়ে ঋণ নিয়েছে আমরা জানতাম না। এখন শুনি সুদে আসলে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কীভাবে চলব জানি না। তার ওপর এই ঋণের বোঝা।’
শোকে কাতর হয়ে কথাগুলো বলছিল পঞ্চগড় বোদা উপজেলা মাড়েয়া ইউনিয়নের প্রধানহাট গ্রামের বাসিন্দা মামুন ইসলাম (১৭)। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ১৯ জুলাই (শুক্রবার) ঢাকার মোহাম্মদপুরে বছিলায় গুলিতে নিহত হন তাঁর বাবা আবু ছায়েদ।
মুদিদোকানি আবু ছায়েদের দোকানে সেদিন পলিথিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। সে জন্য পলিথিন আনতে বের হয়েছিলেন। পথে গুলিতে নিহত হন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শোকে কাতর পরিবার।
আজ শনিবার আবু ছায়েদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মাটির দেয়াল আর জোড়াতালির টিনের ছাউনির দুই কক্ষই তাঁদের অভাবের বড় সাক্ষী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ স্ত্রী ও সন্তান। তার ওপর মাথায় বাড়ি-ভিটের ঋণের বোঝা।
পরিবার জানিয়েছে, ১০ থেকে ১২ বছর আগে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন আবু ছায়েদ। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী মাজেদা বেগম, মেয়ে শাহনাজ আক্তারে বিয়ে হয়েছে ও ছেলে মামুন ইসলাম এবার এসএসসি দিয়েছে। ঢাকা থেকে তাঁর পাঠানো টাকায় কোনোমতে সংসার চলত। পরে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করে বাস শুরু করেন ছায়েদ। দুই বছর আগে মোহাম্মদপুরের বছিলা ৪০ ফিট এলাকায় ভাড়া নিয়ে একটি মুদিদোকান দেন তিনি।
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) নামাজের পর দোকানের জন্য পলিথিন ব্যাগ আনতে সড়কে বের হয়ে পড়েন সংঘর্ষের মধ্যে। একপর্যায়ে একটি গুলি এসে লাগে তাঁর মাথায়। সড়কে পড়ে থাকে আবু ছায়েদের প্রাণহীন রক্তাক্ত দেহ। গোলযোগের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স করে দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর মরদেহটি পঞ্চগড়ে আনেন। শনিবার (২০ জুলাই) সকালেই বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পুরো পরিবার। সম্পদ বলতে বাড়ি-ভিটের ১৫ শতক জমি, মাটির জরাজীর্ণ ঘর। তাও এই জমির ওপরে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ছায়েদ। যা জানা ছিল না স্বজনদের। ৪৫ হাজার টাকার ঋণ এখন সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। ছেলে মামুনকে নিয়ে মাজেদা বেগমের এখন দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
নিহত আবু ছায়েদের স্ত্রী মাজেদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমার স্বামী যে টাকা পাঠাত তাই দিয়ে সংসার চালাতাম। ছেলের লেখাপড়াও চলত সেই টাকায়। সে কোনো দল করত না। কিন্তু ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষের সময় পলিথিন ব্যাগ আনতে সড়কে বের হলেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিনা কারণে নিরপরাধ মানুষটি মারা গেল, সঙ্গে আমাদেরও দুঃখের সাগরে ফেলে গেল। এখন আমি আমার সন্তানকে নিয়ে কীভাবে চলব।’
প্রতিবেশী মশিউর রহমান বলেন, এই পরিবারটি খুবই দরিদ্র। তার ওপর একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিরপরাধ মানুষটি গুলিতে মারা গেছে। সরকারের উচিত এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার নজির বলেন, ‘সহিংসতায় পড়ে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। তারপরও তাঁরা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আবেদন করলে আমরা সেই তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা জেনেছি আবু ছায়েদ ঢাকায় দোকান করতেন। পলিথিন আনতে বের হলে গুলিতে তিনি মারা যান।’
সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১৪ মিনিট আগেনাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন। আটকের পর তাদেরকে...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে মিরাজ হোসেন শান্ত নামে এক যুবলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাউজিং সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে