শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘একে তো গরম, তার ওপর কারেন্ট থাকে না। পাম্পওয়ালা কারেন্ট না থাকায় ঠিকমতো ধানখেতোত পানি দেওছে না। খেত বাঁচার জন্য অ্যালা শ্যালো মেশিন নাগে পানি দেউছি। তাপ বেশি থাকায় রোগবালাইও বাড়ছে। এবার আবাদ খরচ অনেক বেশি হওছে। এমন তাপ থাকলে জীবন, ফসল—দুইটাই বাঁচা কঠিন হয়্যা যাইবে।’
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মাটিয়ালপাড়া মাঠের বোরো খেতে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনে সেচ দেওয়ার সময় কথাগুলো বলছিলেন জুম্মাপাড়া গ্রামের কৃষক কালা মিয়া। ওই মাঠেই খেতে ওষুধ ছিটানো শেষে জোড়বটতলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আখেরুল ইসলাম। তিনি জানান, অতিরিক্ত তাপে খেতে ব্লাস্ট (ছত্রাকজনিত রোগ) দেখা দেওয়ায় একবারেই দেড় হাজার টাকার ওষুধ ছিটিয়েছেন। পুরো বৈশাখ মাসে এমন তাপমাত্রা থাকলে বোরো চাষে প্রতি একরে পানি ও কীটনাশক ব্যয় বাড়বে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা।
চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শুধু কালা মিয়া ও আখেরুল ইসলামই নন, তাঁদের মতো হাজারো কৃষক বোরো ধান ও সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, হিট শক ও ব্লাস্ট সংক্রমণ যাতে না হয়, সে জন্য ঘন ঘন সেচ এবং ওষুধ দেওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন ব্যয় বাড়বে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ হেক্টরে ধান চাষ হয়েছে। কৃষকেরা ১৫ মার্চ পর্যন্ত এ চারা রোপণ করেছেন।
অন্তত ছয়টি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড রোদে খেত শুকিয়ে গেছে। সেগুলোতে ফসল রক্ষায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ করছেন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় খেতের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ পাম্প দিয়ে পানির চাহিদা পূরণ না হওয়ায় কৃষকেরা ব্যক্তি উদ্যোগে ডিজেলচালিত মেশিন দিয়ে এক দিন পর পর সেচ দিচ্ছেন। অনেক খেত শুকিয়ে হিট শক ও ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। এতে ফসল রক্ষায় তাঁরা খেতে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করছেন।
হরকলির মাঠে ধান চাষ করা কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ছত্রাকনাশক আর সেচ খরচ খুবই বেশি হওছে। ধানের দাম ভালো না পাইলে লোকসান গুনবার নাগবে।’ ডাংগীরহাট মাঠের কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, ‘আর কত দিন এইংকা গরম থাকবে? এমতোন থাকলো হামার সবজি খেতোত ফুল-ফল ঠিকমতো আইসার নেয়, উৎপাদন কম হইবে। ধানের শীষ চিটা হয়া যায়বে। আল্লাহ যেন দেশটাক ঠান্ডা করি দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রংপুরে তাপমাত্রা কম। আর এখানে ধানের পরাগায়ন বেলা ১১টার মধ্যে শেষ হয়। এখানে তাপমাত্রা বাড়ে দুপুর ১২টার পরে, তাই ধান ও সবজির তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের খেতে সেচ ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকেরা অনেক সচেতন, তাঁরাও মাঠে ফসল রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করছেন।’
‘একে তো গরম, তার ওপর কারেন্ট থাকে না। পাম্পওয়ালা কারেন্ট না থাকায় ঠিকমতো ধানখেতোত পানি দেওছে না। খেত বাঁচার জন্য অ্যালা শ্যালো মেশিন নাগে পানি দেউছি। তাপ বেশি থাকায় রোগবালাইও বাড়ছে। এবার আবাদ খরচ অনেক বেশি হওছে। এমন তাপ থাকলে জীবন, ফসল—দুইটাই বাঁচা কঠিন হয়্যা যাইবে।’
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মাটিয়ালপাড়া মাঠের বোরো খেতে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনে সেচ দেওয়ার সময় কথাগুলো বলছিলেন জুম্মাপাড়া গ্রামের কৃষক কালা মিয়া। ওই মাঠেই খেতে ওষুধ ছিটানো শেষে জোড়বটতলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আখেরুল ইসলাম। তিনি জানান, অতিরিক্ত তাপে খেতে ব্লাস্ট (ছত্রাকজনিত রোগ) দেখা দেওয়ায় একবারেই দেড় হাজার টাকার ওষুধ ছিটিয়েছেন। পুরো বৈশাখ মাসে এমন তাপমাত্রা থাকলে বোরো চাষে প্রতি একরে পানি ও কীটনাশক ব্যয় বাড়বে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা।
চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শুধু কালা মিয়া ও আখেরুল ইসলামই নন, তাঁদের মতো হাজারো কৃষক বোরো ধান ও সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, হিট শক ও ব্লাস্ট সংক্রমণ যাতে না হয়, সে জন্য ঘন ঘন সেচ এবং ওষুধ দেওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন ব্যয় বাড়বে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ হেক্টরে ধান চাষ হয়েছে। কৃষকেরা ১৫ মার্চ পর্যন্ত এ চারা রোপণ করেছেন।
অন্তত ছয়টি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড রোদে খেত শুকিয়ে গেছে। সেগুলোতে ফসল রক্ষায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ করছেন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় খেতের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ পাম্প দিয়ে পানির চাহিদা পূরণ না হওয়ায় কৃষকেরা ব্যক্তি উদ্যোগে ডিজেলচালিত মেশিন দিয়ে এক দিন পর পর সেচ দিচ্ছেন। অনেক খেত শুকিয়ে হিট শক ও ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। এতে ফসল রক্ষায় তাঁরা খেতে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করছেন।
হরকলির মাঠে ধান চাষ করা কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ছত্রাকনাশক আর সেচ খরচ খুবই বেশি হওছে। ধানের দাম ভালো না পাইলে লোকসান গুনবার নাগবে।’ ডাংগীরহাট মাঠের কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, ‘আর কত দিন এইংকা গরম থাকবে? এমতোন থাকলো হামার সবজি খেতোত ফুল-ফল ঠিকমতো আইসার নেয়, উৎপাদন কম হইবে। ধানের শীষ চিটা হয়া যায়বে। আল্লাহ যেন দেশটাক ঠান্ডা করি দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রংপুরে তাপমাত্রা কম। আর এখানে ধানের পরাগায়ন বেলা ১১টার মধ্যে শেষ হয়। এখানে তাপমাত্রা বাড়ে দুপুর ১২টার পরে, তাই ধান ও সবজির তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের খেতে সেচ ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকেরা অনেক সচেতন, তাঁরাও মাঠে ফসল রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করছেন।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে