আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
আট মাস আগে ক্যানসারে মারা গেছেন ছেলে। ছেলের স্ত্রীর শরীরেও বাসা বেঁধেছিলে এই দুরারোগ্য ব্যাধি। স্বামীর মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় তিনিও চলে যান। দুই বছরের নাতি ক্যাপ্টেন আর পাঁচ বছরের নাতনি কেমি আক্তারকে নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন ৬০ বছর বয়সী দাদি ফাতেমা বেগম।
দিনমজুর স্বামীর অভাবের সংসারে শিশু দুটি লালনপালনের খরচ সংস্থান করতে না পেরে গত মঙ্গলবার উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সহযোগিতা চাইতে। সেখানেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ছেলের ও ছেলের স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে দুই বুড়ো-বুড়ি অন্যের বাড়িতে মজুরি দিয়ে শিশু দুটির খাবার জোগাড় করছেন। এই বয়সে ছোট দুই শিশুর দায়িত্ব নেওয়াটা তাঁদের জন্য অসাধ্য।
ফাতেমা বেগম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ধনিবস্তী গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে ছেলে কমিরুল ইসলাম ক্যানসারে ভুগেছেন। রোগ ধরা পড়ার পর বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাঁর স্ত্রী শিউলি আক্তারের শরীরেও ক্যানসার ধরা পড়ে। দুজনের চিকিৎসা করতে গিয়ে সহায়সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে। গত মার্চের শুরুতে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান রেখে কমিরুল ইসলাম মারা যান। ছেলের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দুনিয়ার মায়া ছাড়েন শিউলি আক্তারও।
ফাতেমা বেগমের স্বামী এনামুল হক বলেন, ‘পরের বাড়িত কাম করে হেনে যেই টাকা মুই কামাই করোঁ, ওই টাকা দেহেনে কোনোমতে মোর বাড়ির খরচ করিবা পাঁরো না। বেটা-বহু (ছেলে ও বউমা) মারা যাওয়ার পর দুইডা বাচ্চার খরচ ক্যাংকরে (কেমনে) চালাম। আট মাসে সব শেষ করে ফিলায়ুঁ (ফেলেছি)।’
ফাতেমা বেগম বলেন, ‘এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে। দুই মেয়ের এক মেয়ে মারা গেছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। স্বামী-স্ত্রী দুজনে এখন বুড়ো। আগের মতো প্রতিদিন দিনমজুরি দিতে পারছি না। আমরা কেউ মারা গেলে শিশু দুটির কী হবে? এ জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাইছি। শিশু দুটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টাটুকু করছি।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম শুভ বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশের এই ভদ্র মহিলা দুই শিশুকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে শুনে সমাজসেবা অফিসে এসে কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি অফিসে এসে স্যারের সঙ্গে দেখা করেছেন।’
জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই শিশুসহ ফাতেমা বেগম অফিসে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। শিশু দুটি অসহায়। ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য জেলায় কথা বলেছি। আশা করছি, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভর্তির ব্যবস্থা হলে শিশু দুটো প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সুযোগসুবিধায় মানুষ হতে পারবে। এ ছাড়া আমাদের অফিস থেকে যত দূর সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।’
আট মাস আগে ক্যানসারে মারা গেছেন ছেলে। ছেলের স্ত্রীর শরীরেও বাসা বেঁধেছিলে এই দুরারোগ্য ব্যাধি। স্বামীর মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় তিনিও চলে যান। দুই বছরের নাতি ক্যাপ্টেন আর পাঁচ বছরের নাতনি কেমি আক্তারকে নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন ৬০ বছর বয়সী দাদি ফাতেমা বেগম।
দিনমজুর স্বামীর অভাবের সংসারে শিশু দুটি লালনপালনের খরচ সংস্থান করতে না পেরে গত মঙ্গলবার উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সহযোগিতা চাইতে। সেখানেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ছেলের ও ছেলের স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে দুই বুড়ো-বুড়ি অন্যের বাড়িতে মজুরি দিয়ে শিশু দুটির খাবার জোগাড় করছেন। এই বয়সে ছোট দুই শিশুর দায়িত্ব নেওয়াটা তাঁদের জন্য অসাধ্য।
ফাতেমা বেগম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ধনিবস্তী গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে ছেলে কমিরুল ইসলাম ক্যানসারে ভুগেছেন। রোগ ধরা পড়ার পর বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাঁর স্ত্রী শিউলি আক্তারের শরীরেও ক্যানসার ধরা পড়ে। দুজনের চিকিৎসা করতে গিয়ে সহায়সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে। গত মার্চের শুরুতে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান রেখে কমিরুল ইসলাম মারা যান। ছেলের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দুনিয়ার মায়া ছাড়েন শিউলি আক্তারও।
ফাতেমা বেগমের স্বামী এনামুল হক বলেন, ‘পরের বাড়িত কাম করে হেনে যেই টাকা মুই কামাই করোঁ, ওই টাকা দেহেনে কোনোমতে মোর বাড়ির খরচ করিবা পাঁরো না। বেটা-বহু (ছেলে ও বউমা) মারা যাওয়ার পর দুইডা বাচ্চার খরচ ক্যাংকরে (কেমনে) চালাম। আট মাসে সব শেষ করে ফিলায়ুঁ (ফেলেছি)।’
ফাতেমা বেগম বলেন, ‘এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে। দুই মেয়ের এক মেয়ে মারা গেছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। স্বামী-স্ত্রী দুজনে এখন বুড়ো। আগের মতো প্রতিদিন দিনমজুরি দিতে পারছি না। আমরা কেউ মারা গেলে শিশু দুটির কী হবে? এ জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাইছি। শিশু দুটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টাটুকু করছি।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম শুভ বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশের এই ভদ্র মহিলা দুই শিশুকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে শুনে সমাজসেবা অফিসে এসে কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি অফিসে এসে স্যারের সঙ্গে দেখা করেছেন।’
জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই শিশুসহ ফাতেমা বেগম অফিসে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। শিশু দুটি অসহায়। ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য জেলায় কথা বলেছি। আশা করছি, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভর্তির ব্যবস্থা হলে শিশু দুটো প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সুযোগসুবিধায় মানুষ হতে পারবে। এ ছাড়া আমাদের অফিস থেকে যত দূর সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।’
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে তীব্র ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘আপনারে কে এখানে বসাইছে, আমি তার কইলজা খুলিয়ালামু। আপনার কইলজাও খুলমু।’
৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছে জাপানের ১১০ সদস্যের একটি বিনিয়োগকারী দল। ব্র্যাক ইপিএলের উদ্যোগে জাপানি প্রতিনিধিদলটি সোনারগাঁয়ের অনন্য স্থাপত্যকীর্তি প্রাচীন পানাম নগর, বড় সরদারবাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর পরিদর্শন করে।
১৫ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুল মান্নান (৭০) নামের এক ব্যাটারিচালিত টমটমের চালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খন্দকার নিশাত নামের স্কুলশিক্ষক আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে
১ ঘণ্টা আগে