Ajker Patrika

‘আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারতাম না’

আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)  
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৮
১৬ বছর পর কারামুক্ত হয়ে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে রবিউল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৬ বছর পর কারামুক্ত হয়ে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে রবিউল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা তৃতীয়বার যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, কারাগারে সেই খবর শোনার পর আমিসহ এক সঙ্গে যতজন বিডিআর সদস্য ছিলাম সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম বাকিটা জীবন কারাগারের ভেতরেই পার করতে হবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়, তখন থেকে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে, কোনো দিন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারতাম না।

প্রায় ১৬ বছর পর কারামুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা জানান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রবিউল ইসলাম। উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রবিউল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে আসেন। বিকেলে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে।

রবিউল জানান, ১৭ বছর বয়সে বিডিআরে চাকরি পান। প্রশিক্ষণ শেষে সদর দপ্তর পিলখানায় যোগদানের ১৯ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তার চোখের সামনে। চাকরির এই ১৯ দিনে সদর দপ্তরের সবকিছুই তার কাছে অচেনা ছিল। ঘটনার দিন বিডিআর সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে তিনিও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ গুলির শব্দ। চারদিকে ধোঁয়া, কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো সদর দপ্তর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপরে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। রবিউলের মতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল সরকার।

আফসোস করে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কারাগারে জীবনের সবচেয়ে গোল্ডেন সময় শেষ হয়ে গেছে। চাকরি পাওয়ার পর মনে করেছিলাম বাবা-মায়ের পাশে থাকব। অনেক কষ্ট করেছেন মা-বাবা। আর কোনো কষ্ট করতে দেব না। কিন্তু উল্টো তাদের বোঝা হয়ে পড়েছিলাম। প্রতি মাসে কারাগারে খাওয়া খরচ ও ছয় মাস অন্তর অন্তর কাপড়চোপড় কেনার পয়সা নিতে হয়েছে। পিলখানার এই ঘটনা না ঘটলে এত দিনে বিয়ে করতে পারতাম, বাচ্চা হতো। বাবা-মা তাদের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে খেলা করত। এখন চাইলেও জীবনের সেই মুহূর্ত ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’

দুই মাস আগে রবিউলের বাবা আব্দুর রহমান মারা গেছেন। ছেলেকে কারামুক্ত দেখে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে ছিল রবিউলের বাবার। ইচ্ছে তো পূরণ হয়নি, উল্টো অভাব-অনটনে উন্নত চিকিৎসা হয়নি তাঁর। বাবার কথা বলতে গিয়ে রবিউলের চোখে পানি চলে আসে, বন্ধ হয়ে যায় কথা বলা।

কান্নার স্বরে রবিউল বলেন, ‘যদি দুমাস আগে কারামুক্ত হতে পারতাম, অন্তত বাবার শেষ ইচ্ছেটা পূরণ হতো।’

আমাকে কারামুক্তের চেষ্টা ও আমার ভরণ-পোষণ জোগাড় করতে গিয়ে আমার বড় ভাই শাহাজাহান আলীও তাঁর জীবনের ১৬ বছর ব্যয় করেছেন। স্ত্রী-সন্তানকে রেখে আমার জন্য ঢাকায় ছুটে গিয়েছেন প্রতি মাসে। কখনো কারাগারে, কখনো আদালতের বারান্দায়। সব মিলিয়ে আমরা নিঃস্ব দুই ভাই। ১৬ বছর এমন করুণ পরিণতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করছেন রবিউল ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনিসহ তাঁর সব নির্দোষ সহকর্মীদের মুক্তি এবং চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে ছেলেকে ১৬ বছর পর বাড়িতে ফিরে পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা মা সালেহা খাতুন। স্বামীর মৃত্যু ও ছেলে কারাগারে থাকার দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়া শরীর যেন পুরোপুরি সুস্থ তাঁর। সালেহা খাতুন বলেন, ‘মোর বাপজান মুক্তি পাইজে, মোর বাড়িত ফিরে অসিজে। মোর আইজ খুব আনন্দ, ১৬ বছরে ৩২টা ঈদ গেইজে, কুনোদিন এক চামচ সেমাই, একখান টুকরা গোশতো মুখতো দুনি। এবার মোর বেটাক লে ঈদত একসঙ্গে বসে সেমাই খাম, গোশতো খাম। মি খুব খুশি, ড. ইউনূস সরকারকে ধন্যবাদ।’

রবিউল ফেরার খবরে একনজর দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশী আইনজীবী বাবুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, রবিউলের মতো যত নির্দোষ সাবেক বিডিআর সদস্য রয়েছেন। সরকারের উচিত তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। না হলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে রবিউলরা কী করবেন, সামনে তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

বড় ভাই শাহাজাহান আলী বলেন, ‘বাবা ও মাকে কথা দিয়েছিলাম ভাইকে কারামুক্ত করব, তাদের কোলে ফিরিয়ে দেব। আজ কারামুক্ত হলেও বাবা নেই। বাবা থাকলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতো। অনেক হয়রানি, খরচান্ত হলেও ভাইকে ফিরে পেয়ে খুশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবির বাড়তি নজরদারি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাঁচজনকে জরিমানা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।

এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।

এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।

পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৬
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক। ছবি: র‍্যাব
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক। ছবি: র‍্যাব

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব।

আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-২।

র‍্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত