Ajker Patrika

মন্ত্রী সুজনের স্বজনদের দাপট ছিল পঞ্চগড়জুড়ে

  • জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তাঁর ১০ স্বজন
  • দুই ভাতিজার ছিল সুদের ব্যবসা। চালাতেন টর্চার সেল
  • নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যও
পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত
নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত

জেলা আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এলাকায় সিন্ডিকেট, জমি দখল, বিদ্যালয় কমিটি নিয়ন্ত্রণ, সুদ, জুয়া নিয়ন্ত্রণ; বিরুদ্ধমত দমন করতে নির্যাতন—সবই করেছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার অধিকাংশ স্থাপনাও করেছেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে। বলা হচ্ছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কথা। সরকার পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর নির্যাতিত অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সুজন ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জেলার সর্বশেষ কমিটিতে তাঁর পরিবার ও স্বজন রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। তাঁদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুজন ক্ষমতার পাশাপাশি সম্পদ বাড়িয়েছেন বহুগুণ। কেবল হলফনামা অনুযায়ী গত ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকায়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এর বাইরে কয়েক শ গুণ সম্পদ আছে তাঁর।

সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, পরে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড়ের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর হাত ধরে মূলত রাজনীতিতে আসা সুজনের। এরপর ২০০৮ সাল থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

নাম নিয়ে টানাটানি

আওয়ামী লীগের আমলে ঐতিহাসিক পঞ্চগড় রেলস্টেশনের নামকরণ করেন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে। পঞ্চগড় স্টেডিয়ামের নামকরণও করা হয় তাঁর ভাইয়ের নামে। বোদা উপজেলার বিলুপ্ত পুঁটিমারী ছিটমহলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামনগর। সরকার পতনের পর এসব স্থাপনার নাম বদলের দাবি উঠেছে।

ভাতিজার টর্চার সেল

সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তাঁর ভাইয়ের ছেলেরা এবং তাঁদের অনুসারীরা। স্থানীয়রা জানান, সুজনের চাচাতো ভাইয়ের দুই ছেলে রবিউল আওয়াল ডলার ও রাফিউল হাসান জানি এলাকায় চালিয়েছেন রামরাজত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই নেওয়া হতো টর্চার সেলে। পুড়িয়ে দেওয়া হতো ঘরবাড়ি। টর্চার সেলে নিয়ে লিখে নেওয়া হতো জমি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জানি ও ডলারের টর্চার সেলের মদদদাতা সুজন।

সুজনের এই দুই ভাতিজা করতেন সুদের ব্যবসা। সুদের ওপর টাকা দিয়ে সেই টাকা আদায়ের নামে চলত নির্যাতন। অনেকেই টাকা পরিশোধ করার পরও হারিয়েছেন জমি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাইকেল মেকার হকিকুল নামের একজন আত্মহত্যাও করেছেন। তবে এরপরও থামেনি নির্যাতন।

বসানো হয়েছিল ছুরি

সুজনের এই দুই ভাতিজার কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়েছিলেন রফিকুল (ছদ্মনাম)। টাকা পরিশোধও করেছিলেন। তবে এই দুজন দাবি করেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর রফিকুলকে ডেকে নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী বলেন, তাঁকে ডেকে নিয়ে অজু করানোর পর কালেমা পড়িয়ে গলায় ছুরি বসানো হয়। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে নতুন করে আবার ৬ লাখ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান রফিকুল।

আরেক ভুক্তভোগী হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলাম ১ লাখ ৫ হাজার। ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বছরখানেক পরে আবারও বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমাকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান। আমার কাছে জোর করে ৫১ শতক জমি লিখে নেন তাঁরা।’

দৌলতপুর এলাকার মোকসেদ আলী বলেন, ‘জানি ও ডলারদের কাছে আমরা ৫ শতক জমি পাব। ওর বাবাও জমিটি আমাদের বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করেন জানি ও ডলাররা। একপর্যায়ে তাঁরা সাবেক মন্ত্রী সুজনের কাছে বিচার দেন। আমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠালে আমরা সবাই পালিয়ে যাই। এই সুযোগে জানি ও ডলার আমাদের তিনটি বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেন।’

নির্যাতন থেকে বাদ পড়েননি জনপ্রতিনিধিও। ময়দানদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘আমি জানির কাছে ২ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এক বছরের মধ্যে টাকাটা পরিশোধ করি। আমি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতাম। পেনশনের ১৪ লাখ টাকা ময়দানদীঘি রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে তুলি। টাকাটা তুলতেই আমার হাত থেকে সব টাকা নিয়ে নেন জানি। পরে কিছু জমিও লিখে দিতে হয়।’

সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে জানি ও ডলারের বক্তব্য জানা যায়নি।

জেলা আওয়ামী লীগকে ‘পরিবার লীগ’ বানিয়েছিলেন সুজন। মন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে নিজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সর্বশেষ দলের কমিটিতে ঠাঁই হয় তাঁর ১০ স্বজনের। এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সুজন পঞ্চগড় আওয়ামী লীগ শেষ করে দিয়েছেন। দলের মধ্যে বিভক্তি দলকে পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলেছে।

সচিবদের প্রভাব

সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর ‘জাদুর ছোঁয়া’ পেয়েছিলেন পিএস রাশেদ প্রধান ও এপিএস রেজাউল করিম রেজা। সুজন মন্ত্রী থাকাকালে রাশেদ প্রধানকেও করেন জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য। তাঁর মা সেলিনা বেগমকে করেন জেলা পরিষদের সদস্য। পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু মারা গেলে প্রভাব খাটিয়ে মাকে বসান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে।

এদিকে সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম রেজার বাবা ছিলেন দিনমজুর। সেই রেজাও কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমি রয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ বিঘা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিফা এন্টারপ্রাইজের মালিকও এই রেজা। এই প্রতিষ্ঠান মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করে থাকে।

বিএনপির পল্লি উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েম করে কোনো ব্যক্তি বা কোনো দল চিরস্থায়ী হতে পারে না। দুর্নীতির অভয়ারণ্য করেছেন তিনি। শুধু রেল নয়, ওনার পরিবারের ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।

সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে প্রশাসন

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’

প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা, বয়কট মুক্তিযোদ্ধাদের

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।

আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত