আব্দুর রহিম পায়েল (রংপুর) গঙ্গাচড়া

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আসলে কোনো কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক হারে সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে পরীক্ষার খরচ দেখানো হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন অজুহাত ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী এবং দুই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়ের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণ ব্যাংক গজঘণ্টা শাখার স্কুল শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০১) ও কলেজ শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০২) থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কথা হয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে। অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সাহেবকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। এমনকি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রও দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। বরং আমাকে বলেছিলেন, আপনার এসব বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। আমার জানা মতে, দেড় বছরে দুটি পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী স্কুলের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম করার জন্য তিনি (অধ্যক্ষ) নিজের পছন্দমতো দুই শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়কে নিয়ে দায়সারা কমিটি চালিয়েছেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়নি।’
অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে লাল মিয়া, সাজু মিয়াসহ অন্তত ১৮-২০ জন উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা জানতামই না উপবৃত্তিধারী বাচ্চাদের বেতন সরকার দেয়। আমরা দিনমজুর মানুষ। এবারের পরীক্ষার সময় কয়েকজন অভিভাবকের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে ফি কমানোর অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামান নিজেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর ভায়রাকে দিয়ে রিট করান। ফলে কমিটি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের বলেন, “আপনারা নিজের মতো খরচ করে হিসাব রাখুন।” তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে খরচ করেছি। তবে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে কি না, সেটা অধ্যক্ষই জানেন।’
অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যা টাকা ওঠে, সব আমি হেড স্যারকে বুঝিয়ে দিই। আমার কাছে কোনো টাকা থাকে না।’
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকে তাহলে আমি টাকা ব্যাংকে রেখে কি বিপদে পড়ব? তাই ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে অফিস সহকারীর মাধ্যমে টাকা খরচ করি। সরকার থেকে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতনের যে টাকা আসে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তাই অতিরিক্ত ফি নিতে হয়।’ অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না—এমন কোনো পরিপত্র আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘অধ্যক্ষের দাবি ঠিক নয়। আর্থিক বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাউকে এমন কিছু বলা হয়নি।’
ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি দিয়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, কাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অফিসের মমতাজ বিস্তারিত বলতে পারবে। অধ্যক্ষ নিজে অপরাধ করে এখন আমার ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। উনি এখন কিছু বলতে পারছেন না। অধ্যক্ষ যে অপরাধ করেছেন তা আমার কাছে শিকার করেছেন। আমি তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢেকেছি, উনি এলে আমি তাঁর কাছে থেকে তাঁর অপরাধের লিখিত নিয়ে নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি বলেছিলেন তদন্তটা কয়েক দিন পরে দেন। এ জন্যই তদন্তটা দেওয়া হয়নি।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আসলে কোনো কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক হারে সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে পরীক্ষার খরচ দেখানো হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন অজুহাত ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী এবং দুই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়ের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণ ব্যাংক গজঘণ্টা শাখার স্কুল শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০১) ও কলেজ শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০২) থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কথা হয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে। অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সাহেবকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। এমনকি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রও দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। বরং আমাকে বলেছিলেন, আপনার এসব বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। আমার জানা মতে, দেড় বছরে দুটি পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী স্কুলের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম করার জন্য তিনি (অধ্যক্ষ) নিজের পছন্দমতো দুই শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়কে নিয়ে দায়সারা কমিটি চালিয়েছেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়নি।’
অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে লাল মিয়া, সাজু মিয়াসহ অন্তত ১৮-২০ জন উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা জানতামই না উপবৃত্তিধারী বাচ্চাদের বেতন সরকার দেয়। আমরা দিনমজুর মানুষ। এবারের পরীক্ষার সময় কয়েকজন অভিভাবকের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে ফি কমানোর অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামান নিজেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর ভায়রাকে দিয়ে রিট করান। ফলে কমিটি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের বলেন, “আপনারা নিজের মতো খরচ করে হিসাব রাখুন।” তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে খরচ করেছি। তবে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে কি না, সেটা অধ্যক্ষই জানেন।’
অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যা টাকা ওঠে, সব আমি হেড স্যারকে বুঝিয়ে দিই। আমার কাছে কোনো টাকা থাকে না।’
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকে তাহলে আমি টাকা ব্যাংকে রেখে কি বিপদে পড়ব? তাই ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে অফিস সহকারীর মাধ্যমে টাকা খরচ করি। সরকার থেকে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতনের যে টাকা আসে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তাই অতিরিক্ত ফি নিতে হয়।’ অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না—এমন কোনো পরিপত্র আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘অধ্যক্ষের দাবি ঠিক নয়। আর্থিক বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাউকে এমন কিছু বলা হয়নি।’
ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি দিয়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, কাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অফিসের মমতাজ বিস্তারিত বলতে পারবে। অধ্যক্ষ নিজে অপরাধ করে এখন আমার ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। উনি এখন কিছু বলতে পারছেন না। অধ্যক্ষ যে অপরাধ করেছেন তা আমার কাছে শিকার করেছেন। আমি তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢেকেছি, উনি এলে আমি তাঁর কাছে থেকে তাঁর অপরাধের লিখিত নিয়ে নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি বলেছিলেন তদন্তটা কয়েক দিন পরে দেন। এ জন্যই তদন্তটা দেওয়া হয়নি।’
আব্দুর রহিম পায়েল (রংপুর) গঙ্গাচড়া

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আসলে কোনো কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক হারে সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে পরীক্ষার খরচ দেখানো হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন অজুহাত ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী এবং দুই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়ের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণ ব্যাংক গজঘণ্টা শাখার স্কুল শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০১) ও কলেজ শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০২) থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কথা হয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে। অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সাহেবকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। এমনকি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রও দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। বরং আমাকে বলেছিলেন, আপনার এসব বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। আমার জানা মতে, দেড় বছরে দুটি পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী স্কুলের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম করার জন্য তিনি (অধ্যক্ষ) নিজের পছন্দমতো দুই শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়কে নিয়ে দায়সারা কমিটি চালিয়েছেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়নি।’
অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে লাল মিয়া, সাজু মিয়াসহ অন্তত ১৮-২০ জন উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা জানতামই না উপবৃত্তিধারী বাচ্চাদের বেতন সরকার দেয়। আমরা দিনমজুর মানুষ। এবারের পরীক্ষার সময় কয়েকজন অভিভাবকের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে ফি কমানোর অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামান নিজেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর ভায়রাকে দিয়ে রিট করান। ফলে কমিটি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের বলেন, “আপনারা নিজের মতো খরচ করে হিসাব রাখুন।” তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে খরচ করেছি। তবে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে কি না, সেটা অধ্যক্ষই জানেন।’
অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যা টাকা ওঠে, সব আমি হেড স্যারকে বুঝিয়ে দিই। আমার কাছে কোনো টাকা থাকে না।’
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকে তাহলে আমি টাকা ব্যাংকে রেখে কি বিপদে পড়ব? তাই ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে অফিস সহকারীর মাধ্যমে টাকা খরচ করি। সরকার থেকে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতনের যে টাকা আসে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তাই অতিরিক্ত ফি নিতে হয়।’ অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না—এমন কোনো পরিপত্র আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘অধ্যক্ষের দাবি ঠিক নয়। আর্থিক বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাউকে এমন কিছু বলা হয়নি।’
ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি দিয়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, কাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অফিসের মমতাজ বিস্তারিত বলতে পারবে। অধ্যক্ষ নিজে অপরাধ করে এখন আমার ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। উনি এখন কিছু বলতে পারছেন না। অধ্যক্ষ যে অপরাধ করেছেন তা আমার কাছে শিকার করেছেন। আমি তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢেকেছি, উনি এলে আমি তাঁর কাছে থেকে তাঁর অপরাধের লিখিত নিয়ে নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি বলেছিলেন তদন্তটা কয়েক দিন পরে দেন। এ জন্যই তদন্তটা দেওয়া হয়নি।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আসলে কোনো কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক হারে সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে পরীক্ষার খরচ দেখানো হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন অজুহাত ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী এবং দুই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়ের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণ ব্যাংক গজঘণ্টা শাখার স্কুল শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০১) ও কলেজ শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০২) থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কথা হয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে। অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সাহেবকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। এমনকি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রও দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। বরং আমাকে বলেছিলেন, আপনার এসব বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। আমার জানা মতে, দেড় বছরে দুটি পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী স্কুলের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম করার জন্য তিনি (অধ্যক্ষ) নিজের পছন্দমতো দুই শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়কে নিয়ে দায়সারা কমিটি চালিয়েছেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়নি।’
অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে লাল মিয়া, সাজু মিয়াসহ অন্তত ১৮-২০ জন উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা জানতামই না উপবৃত্তিধারী বাচ্চাদের বেতন সরকার দেয়। আমরা দিনমজুর মানুষ। এবারের পরীক্ষার সময় কয়েকজন অভিভাবকের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে ফি কমানোর অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামান নিজেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর ভায়রাকে দিয়ে রিট করান। ফলে কমিটি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের বলেন, “আপনারা নিজের মতো খরচ করে হিসাব রাখুন।” তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে খরচ করেছি। তবে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে কি না, সেটা অধ্যক্ষই জানেন।’
অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যা টাকা ওঠে, সব আমি হেড স্যারকে বুঝিয়ে দিই। আমার কাছে কোনো টাকা থাকে না।’
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকে তাহলে আমি টাকা ব্যাংকে রেখে কি বিপদে পড়ব? তাই ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে অফিস সহকারীর মাধ্যমে টাকা খরচ করি। সরকার থেকে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতনের যে টাকা আসে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তাই অতিরিক্ত ফি নিতে হয়।’ অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না—এমন কোনো পরিপত্র আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘অধ্যক্ষের দাবি ঠিক নয়। আর্থিক বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাউকে এমন কিছু বলা হয়নি।’
ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি দিয়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, কাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অফিসের মমতাজ বিস্তারিত বলতে পারবে। অধ্যক্ষ নিজে অপরাধ করে এখন আমার ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। উনি এখন কিছু বলতে পারছেন না। অধ্যক্ষ যে অপরাধ করেছেন তা আমার কাছে শিকার করেছেন। আমি তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢেকেছি, উনি এলে আমি তাঁর কাছে থেকে তাঁর অপরাধের লিখিত নিয়ে নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি বলেছিলেন তদন্তটা কয়েক দিন পরে দেন। এ জন্যই তদন্তটা দেওয়া হয়নি।’

চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
২২ মিনিট আগে
১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির রাউজান থানার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে অস্ত্র মামলার আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং থানার অস্ত্র মামলায় হুমায়ুন কবির দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির রাউজান থানার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে অস্ত্র মামলার আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং থানার অস্ত্র মামলায় হুমায়ুন কবির দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো..
২৪ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
২২ মিনিট আগে
১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, যে রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে, জুলাই শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও পুনর্বাসন করবে, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে, সেই দলের সঙ্গে এনসিপির অ্যালায়েন্স হতে পারে।
সারজিস আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়া শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক হতে পারে না। আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য নির্বাচন হোক, ফেব্রুয়ারিতে হলেও এনসিপির সমস্যা নেই।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারী আচরণ এনসিপি ও এই তরুণ প্রজন্ম মেনে নেবে না। আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে।
‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রতীক হিসেবে শাপলাকে এনসিপির জন্য চাই এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। আমরা ৬৪ জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় একযোগে আন্দোলনের মাধ্যমে শাপলা আদায় করে নেব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এই সংগঠক বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। কারণ, যেই জুলাই সনদের এখন পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, যেই জুলাই সনদে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কারগুলোর নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া রয়েছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারে না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য থাকবে কি না, প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দিকে যাবে কি না—এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে না। এনসিপি সেটা করেনি, এনসিপি নিজেদের মেরুদণ্ড সোজা রেখেছে।
টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে সভায় দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ জেলা-উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, যে রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে, জুলাই শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও পুনর্বাসন করবে, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে, সেই দলের সঙ্গে এনসিপির অ্যালায়েন্স হতে পারে।
সারজিস আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়া শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক হতে পারে না। আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য নির্বাচন হোক, ফেব্রুয়ারিতে হলেও এনসিপির সমস্যা নেই।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারী আচরণ এনসিপি ও এই তরুণ প্রজন্ম মেনে নেবে না। আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে।
‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রতীক হিসেবে শাপলাকে এনসিপির জন্য চাই এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। আমরা ৬৪ জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় একযোগে আন্দোলনের মাধ্যমে শাপলা আদায় করে নেব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এই সংগঠক বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। কারণ, যেই জুলাই সনদের এখন পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, যেই জুলাই সনদে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কারগুলোর নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া রয়েছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারে না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য থাকবে কি না, প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দিকে যাবে কি না—এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে না। এনসিপি সেটা করেনি, এনসিপি নিজেদের মেরুদণ্ড সোজা রেখেছে।
টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে সভায় দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ জেলা-উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো..
২৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবেরোবি সংবাদদাতা

প্রায় ১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, ‘আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদন করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এখন আমাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই।’
এদিকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদনের খবরটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটাই বেরোবির গণতান্ত্রিক চেতনার নতুন সূচনা।
এর আগে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ছাত্র সংসদের আইন প্রণয়ন, রোডম্যাপ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন।

প্রায় ১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, ‘আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদন করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এখন আমাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই।’
এদিকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদনের খবরটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটাই বেরোবির গণতান্ত্রিক চেতনার নতুন সূচনা।
এর আগে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ছাত্র সংসদের আইন প্রণয়ন, রোডম্যাপ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো..
২৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
২২ মিনিট আগে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের প্রধানের নাম ঘোষণা করেন।
নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মিছবাহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী, ড. মো. রিজাউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জি এম রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রেজোয়ান আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, স্থপতি ইফতেখার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিক মিয়া।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আগামী বুধবারের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার কথা বলেন। তখন উপাচার্য অধ্যাপক সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অতি শিগগির রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মুকিত মোকাদ্দেসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের প্রধানের নাম ঘোষণা করেন।
নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মিছবাহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী, ড. মো. রিজাউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জি এম রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রেজোয়ান আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, স্থপতি ইফতেখার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিক মিয়া।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আগামী বুধবারের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার কথা বলেন। তখন উপাচার্য অধ্যাপক সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অতি শিগগির রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো..
২৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
২২ মিনিট আগে
১৭ বছর পর রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র সংসদ আইন অনুমোদিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না।
১ ঘণ্টা আগে