শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর)
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে। ভোর সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল, হালের গরু, কেউ পাসুন-কোদাল-কাস্তে হাতে নিয়ে ছুটে চলেন ফসলের মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার পর বাসি ভাত পান্তা করে, কাঁচা মরিচ, লবণ আর পেঁয়াজের সঙ্গে বাসি তরকারিসহ গামছা বেঁধে মাঠে ছুটে যায় কিশোর-কিশোরীর দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গৃহিণীদের ব্যস্ততা। ঘরদোরের কাজ শেষে বাঁশের চোঙায় ফুঁ দিয়ে চুলায় দেন আগুন। শিশুদের খেলা থেকে তুলে ধুলোবালি ঝেড়ে পাঠিয়ে দেন বিদ্যালয়ে। মাঠে কাজ করে ক্লান্ত কৃষকেরা বিশ্রাম নেন সবুজ মাঠের বুক চিরে যাওয়া রাস্তার ধারের শিমুলগাছ, বটগাছের ছায়ায়।
বলছি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী গ্রামের কথা।
এ গ্রামের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করেন। ধান তাঁদের প্রধান ফসল হলেও আলু, ভুট্টা, গম, পাট, সরিষা, আদা, সবজিরও চাষ হয়। এ গ্রামের শিক্ষিত যুবকেরা চাকরির পেছনে না ছুটে গর্বের সঙ্গে করছেন খামার ও কৃষিকাজ। এখানকার জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। গ্রামে রয়েছে অসংখ্য পোলট্রি, মাছ, গাভির খামার। ১৯৮৩ সালে উপজেলা পরিষদ গঠনের পর এই গ্রাম থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। প্রবীণেরা বলছেন, ৪০০ বছর আগে এ গ্রামটি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে গ্রামটিতে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস।
তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান গ্রামটির। গ্রামটির প্রবেশ মুখে সোনালি সবুজ ফসলের মাঠ। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ। গ্রামটিতে ওকড়াবাড়ি নামে একটি হাট আছে।
গ্রামটিতে ১৯০১ জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৬২ সালে ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়, ১৯৯৪ ইকরচালী ডিগ্রি কলেজ ও ১৯৭১ সালে ওকড়াবাড়ি ফারুকিয়া আলিম মাদ্রাসা ও একটি বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। রয়েছে ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান। গ্রামটির উত্তরে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক, পশ্চিমে যমুনেশ্বরী নদী বয়ে গেছে, পূর্বে আছে ঐতিহাসিক বামনদীঘি।
ব্রিটিশরা চলে গেছে বহু বছর আগে। নীলকর নেই। নেই তাদের নীলকুঠি। কিন্তু এ গ্রামে এখনো নীলের চাষ হয়। নীলের পাতা সবুজ সার হিসেবে ব্যবহার করেন কৃষক।
একসময় গ্রামজুড়ে খড়ের কুঁড়েঘরে গৃহিণীরা রান্নার কাজ করতেন। প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় থাকা ডালিম গাছ, পেয়ারা গাছ থেকে ফল পেড়ে খেতেন তাঁরা। প্রতিটি বাড়ির পেছন দিকে শোভা বর্ধন করত সারি করা কলাগাছ, জামগাছ, আমগাছ। ঘরের চালজুড়ে দেখা যেত শিম, লাউ, আর মিষ্টিকুমড়ার সমারোহ। বৃষ্টির দিনে ফুটবল নিয়ে মাঠে ছুটে যেতে ছেলেমেয়ের দল। ঈদ উৎসবে গ্রামের বিবাহিত ও অবিবাহিতদের মধ্যে ফুটবল খেলাও হতো। সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ে ফজল চাচার পুঁথি আর সিরাজউদদৌলার গল্প শুনতে ভিড় জমে যেত মাঠে পোড়া মানুষগুলোর। শীতের দিনে জমিলার বাড়িতে ভাপা পিঠা নিতে ভিড় জমত।
গ্রামের এসব চিরচেনা দৃশ্য দৈত্যের মতো হরণ করছে নগরায়ণ, হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের স্নিগ্ধতা। প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে গ্রামের মানুষের জীবন।
খুশির খবর হলো, গ্রামের শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে যায়। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে গড়ে উঠছে দালান, টিনশেড বাড়ি। গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান। প্রতিটি বাড়িতে এখন সচ্ছলতার হাসির ঝিলিক।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে। ভোর সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল, হালের গরু, কেউ পাসুন-কোদাল-কাস্তে হাতে নিয়ে ছুটে চলেন ফসলের মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার পর বাসি ভাত পান্তা করে, কাঁচা মরিচ, লবণ আর পেঁয়াজের সঙ্গে বাসি তরকারিসহ গামছা বেঁধে মাঠে ছুটে যায় কিশোর-কিশোরীর দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গৃহিণীদের ব্যস্ততা। ঘরদোরের কাজ শেষে বাঁশের চোঙায় ফুঁ দিয়ে চুলায় দেন আগুন। শিশুদের খেলা থেকে তুলে ধুলোবালি ঝেড়ে পাঠিয়ে দেন বিদ্যালয়ে। মাঠে কাজ করে ক্লান্ত কৃষকেরা বিশ্রাম নেন সবুজ মাঠের বুক চিরে যাওয়া রাস্তার ধারের শিমুলগাছ, বটগাছের ছায়ায়।
বলছি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী গ্রামের কথা।
এ গ্রামের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করেন। ধান তাঁদের প্রধান ফসল হলেও আলু, ভুট্টা, গম, পাট, সরিষা, আদা, সবজিরও চাষ হয়। এ গ্রামের শিক্ষিত যুবকেরা চাকরির পেছনে না ছুটে গর্বের সঙ্গে করছেন খামার ও কৃষিকাজ। এখানকার জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। গ্রামে রয়েছে অসংখ্য পোলট্রি, মাছ, গাভির খামার। ১৯৮৩ সালে উপজেলা পরিষদ গঠনের পর এই গ্রাম থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। প্রবীণেরা বলছেন, ৪০০ বছর আগে এ গ্রামটি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে গ্রামটিতে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস।
তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান গ্রামটির। গ্রামটির প্রবেশ মুখে সোনালি সবুজ ফসলের মাঠ। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ। গ্রামটিতে ওকড়াবাড়ি নামে একটি হাট আছে।
গ্রামটিতে ১৯০১ জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৬২ সালে ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়, ১৯৯৪ ইকরচালী ডিগ্রি কলেজ ও ১৯৭১ সালে ওকড়াবাড়ি ফারুকিয়া আলিম মাদ্রাসা ও একটি বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। রয়েছে ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান। গ্রামটির উত্তরে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক, পশ্চিমে যমুনেশ্বরী নদী বয়ে গেছে, পূর্বে আছে ঐতিহাসিক বামনদীঘি।
ব্রিটিশরা চলে গেছে বহু বছর আগে। নীলকর নেই। নেই তাদের নীলকুঠি। কিন্তু এ গ্রামে এখনো নীলের চাষ হয়। নীলের পাতা সবুজ সার হিসেবে ব্যবহার করেন কৃষক।
একসময় গ্রামজুড়ে খড়ের কুঁড়েঘরে গৃহিণীরা রান্নার কাজ করতেন। প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় থাকা ডালিম গাছ, পেয়ারা গাছ থেকে ফল পেড়ে খেতেন তাঁরা। প্রতিটি বাড়ির পেছন দিকে শোভা বর্ধন করত সারি করা কলাগাছ, জামগাছ, আমগাছ। ঘরের চালজুড়ে দেখা যেত শিম, লাউ, আর মিষ্টিকুমড়ার সমারোহ। বৃষ্টির দিনে ফুটবল নিয়ে মাঠে ছুটে যেতে ছেলেমেয়ের দল। ঈদ উৎসবে গ্রামের বিবাহিত ও অবিবাহিতদের মধ্যে ফুটবল খেলাও হতো। সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ে ফজল চাচার পুঁথি আর সিরাজউদদৌলার গল্প শুনতে ভিড় জমে যেত মাঠে পোড়া মানুষগুলোর। শীতের দিনে জমিলার বাড়িতে ভাপা পিঠা নিতে ভিড় জমত।
গ্রামের এসব চিরচেনা দৃশ্য দৈত্যের মতো হরণ করছে নগরায়ণ, হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের স্নিগ্ধতা। প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে গ্রামের মানুষের জীবন।
খুশির খবর হলো, গ্রামের শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে যায়। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে গড়ে উঠছে দালান, টিনশেড বাড়ি। গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান। প্রতিটি বাড়িতে এখন সচ্ছলতার হাসির ঝিলিক।
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
৩ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে