Ajker Patrika

রূপলাল ও প্রদীপ হত্যা: ভিডিও দেখে বেশ কয়েকজন শনাক্ত, গ্রেপ্তারের চেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০০: ৩৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রংপুরের তারাগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, নিহত রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালের পরিবারের সদস্যরা অপরাধীদের শনাক্ত করেছেন।

বটতলা এলাকায় আটকের সময় ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আটকের পর রূপলাল ও প্রদীপ লালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রদীপ সিটের কাছে ও রূপলাল ভ্যানের পেছনে বসা ছিলেন। একপর্যায়ে এক যুবক ‘পিটাও রুবেল ভাই পিটাও’ বলে চিৎকার করেন। এরপর সিটের কাছে বসে থাকা প্রদীপ লালের পেছন থেকে সাদা শার্ট পরা বালাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে খায়রুল ইসলাম প্রদীপের কলার টেনে ধরে ঘুষি মারেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খায়রুল ইসলামের বাড়িতে গেলে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। তাঁর স্ত্রী আরজু বেগম বাড়ির পাশে গাছতলায় বসা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই দিন আমার স্বামী দীঘলটারীর কৃষিকাজ করছে। বাড়ি আসার সময় গোলযোগ শুনি গেছল। সে সামনে দাঁড়াই ছিল লোকগুলাক বাঁচপার জন্যে। তাতে ভিডিওর ছবি উঠছে।’

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানের ওপর উঠে, সেখান থেকে নেমে প্রদীপ লালের সামনে আসেন শেফালি কালার গেঞ্জি পরা বুড়িরহাট পাইকারপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে রুবেল পাইকার। সে প্রদীপ লালকে আঘাত করতে থাকেন।

কথা বলার জন্য রুবেল পাইকারের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বাড়ির সামনে বসে আছে একদল লোক। এই প্রতিবেদককে দেখে সটকে পড়েন সবাই। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর রুবেলের মা আনোয়ারা বেগম পাশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘একজন লোক ফোন দিয়া আমার ছেলেক ডাকে নিছে। ওয় তো লোক দুইটাক বাঁচপার জন্য ভ্যানোত উঠি চিল্লাচিল্লি করছে। তাক তো ভিডিওতে দেখা যাওছে।’

রুবেল পাইকারের মারধর শেষ না হতেই দৌড়ে গিয়ে প্রদীপের মাথা ও কানে ঘুষি মারতে থাকেন সাদা প্রিন্টের শার্ট পরা ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেন।

কথা বলার জন্য অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সোহাগ হোসেনকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা আশরাফুলও বাড়িতে ছিলেন না। তবে সোহাগের মা লাভলী বেগম বলেন, ‘গ্রামের সবাই ভয়ে পালাইছে। রংপুর থাকি মোর ছেলে বাড়ি আসার পথে ওই লোক দুইটাক মাইরডাং করা দেখছে। ওই সময় ছবি, ভিডিও উঠছে, কিন্তু সে তো কাকও মারে নাই।’

ওই ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ভ্যানের ওপর পড়ে যাওয়া রূপলালকে কিলঘুষি মারতে থাকেন সবুজ রঙের গেঞ্জি পরা বালাপুর গ্রামের ছলি মামুদের ছেলে নজরুল ইসলামকে।

নজরুলের স্ত্রীর ওজিদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারে নাই। আমার স্বামী দেখপার গেইছে, তাতে ভিডিওত উঠছে। সবাই ভয়ে পালাইছে। ওই জন্যে ওয়ও বাড়িত নাই।’

রূপলালের ছেলে জয়দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘ভিডিও দেখে প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, বুড়িরহাট এলাকার মিজানুর রহমান, এবাদত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ আলী, সোহাগ হোসেন, রুবেল পাইকার, নজরুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আখতারুল ইসলামসহ ২৫-৩০ জন লোক আমার বাবাকে ৯ আগস্ট রাত ৯টায় এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। শত শত লোক তা চেয়ে দেখেছে, ভিডিও করেছে, কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।’

তবে শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তিদের স্বজনেরা দাবি করেছেন, কেউ ঘটনা দেখতে, কেউ বাঁচাতে, কেউ ভিডিও করতে গিয়েছিল। রূপলাল ও প্রদীপকে তারা মারেনি।

মিজানুর রহমানের মা মরিয়ম বেগম ও এবাদত হোসেনের স্ত্রী রেশমা বেগম বলেন, মিজানুর ও এবাদত নির্দোষ। চোর ধরা পড়েছে শুনে তাঁরা দেখতে গিয়েছিল।

আশরাফুল ইসলামের ভাবি শারমিন বেগম বলেন, ‘আশরাফুল অন্যায় কোনো কাজ করেন না। চিল্লাপাল্লা শুনে সেদিন দেখতে গেছিল। অন্য মানুষ ভিডিও করবার সময় রূপলালের মাথা ভাসে ধরবার কছলো, যাতে রূপলালকে মানুষ ভিডিওতে দেখে চিনতে পারে। ওই জন্য রূপলালের মাথা দুই হাত দিয়ে ভাসে ধরছিল। ওয় তো রূপলালকে মারে নাই।’

মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাব ঈশা মামুদও বাড়িতে নেই, ঘরে তালা ঝুলছে। তবে মেহেদীর খালা রশিদা বেগম বলেন, ‘ভিডিও তো আছে। ওটে ভালো করি দেখ। লোক দুইটাক মেহেদী বাঁচার চেষ্টা করোছে। কিন্তু ওয় এখন পুলিশের ভয়ে বাড়িছাড়া।’

ঘরের ভেতরে বসে আছেন মোহাম্মাদ আলীর মা মাহমুদা বেগম। চোখেমুখে চিন্তার ভাঁজ। এই প্রতিবেদককে দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘মোর বেটা ভাঙড়ির ব্যবসা করে। সৈয়দপুরোত ভাঙড়ি বেচে বাড়ি আইসার সময় গন্ডগোল শুনে ওটে গেইছে। লোক দুইটাক মারাডাংগা করে নাই। হামার দুষমোনেরা মোর ছেলেটার দোষ দেওছে।’

শরীফুল ইসলামকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তিনি পালিয়েছেন। তাঁর খালা সালমা বেগম বলেন, ‘শরীফুলের বাবা মোফাজ্জল হোসেন অনেক দিন আগোত মারা গেইছে। তখন থাকি বুড়িরহাট স্কুলের পেছনে থাকে। খুব ভালো ছেলে ওয়। অন্য মানুষ ওক ফাঁসার চেষ্টা করোছে।’ আলামিন হোসেন ও রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরে তালা ঝুলছে। আখতারুলের ছেলে ওমর সানি বলেন, ‘আমার বাবা নির্দোষ। ঘটনা সময় বাড়িতে ছিল। পুলিশ কী কারণে বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে, বুঝতে পারছি না।’

রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক লোকের জটলা। উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে রূপলালের পরিবারকে সাহায্য করতে নেতা-কর্মীরা এসেছেন। এ সময় কথা হয় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিপুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মব সৃষ্টি করে চোর আখ্যায়িত দিয়ে রূপলাল ও প্রদীপকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীর পরিচয় এখন পানির মতো পরিষ্কার। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

মেঝেতে বসে আছেন রূপলালের স্ত্রী ভারতী দাস। এখনো চোখ লাল, গলা ভাঙা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বুড়িরহাটের মানুষ আমার নির্দোষ স্বামীক মারি ফেলাল। মেয়েটার বিয়ে পিছাইলো। স্বামী ছাড়া সংসার চালানোর কেউ ছিল না। আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই আমার এই রকম হবে। কখনো ভাবি নাই ছেলেমেয়েকে নিয়া এই পর্যায় আসতে হবে।’

রূপলালের মা লালিচা দাস বলেন, ‘বাবা আমার ছেলেটা এনা পানি খাবার চাইলো, তা-ও দেয় নাই। সবাই মিলি মারি ডাঙ্গে চাওয়াটাক মারি ফেলাইছে। বুড়িরহাটের মানুষ আমার ব্যাটাটাক মারি ফেলাইছে। ভিডিওতে তো তাক স্পষ্ট দেখা যাওছে। তাও পুলিশ ধরোছে না।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান করা হচ্ছে। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তারা এলাকার বাইরে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সায়ার ইউনিয়নের বটতলা বুড়িরহাট এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের রূপলাল দাস (৪০); একই ঘটনায় নিহত হন তাঁর ভাগনিজামাই মিঠাপুকুরের ছড়ান বালুয়া গ্রামের প্রদীপ লাল (৩৫)। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন ও প্রদীপ লাল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে রুপলাল, মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।

বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।

আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।

আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

গাজীপুর প্রতিনিধি
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন গাজীপুরের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ। এ মন্তব্যের জন্য তাঁর বিচারের দাবি জানিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দলটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি একজন এডিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি, সত্যতা প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের পেজ থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’

এ মন্তব্যের জেরে পুবাইল থানার ওসির বিচারের দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর আরও একটি অভিযোগ দেন গাজীপুর নগর জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন খান।

এতে তিনি পুবাইল থানার ওসি বিধিবহির্ভূত পন্থায় রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম মুরাদ পুবাইল থানায় যোগদানের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং আমাদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অনেকবার পরামর্শ দিয়েছি—রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার এবং কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য।

শেয়ার করা ফটোকার্ড। ছবি: সংগৃহীত
শেয়ার করা ফটোকার্ড। ছবি: সংগৃহীত

‘তদুপরি তিনি নির্দিষ্ট একটি দলের কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে নিজে যোগদান করে ও অপ্রয়োজনে নেতাদের পুলিশ প্রটোকল দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন—জামায়াতের লোকেরা স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, সেটার জন্য গণভোটও হওয়া প্রয়োজন।

‘এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ও রাজনৈতিক বক্তব্য পুলিশ প্রশাসনের জন্য মারাত্মক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ। আমরা পুবাইলবাসীর পক্ষ থেকে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছি। শুধু বর্তমান স্থান থেকে বদলি নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তার এই বক্তব্য পুবাইলবাসীকে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও আহত করেছে। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

জানতে চাইলে পুবাইল থানা জামায়াতের আমির আশরাফ আলী কাজল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এ জন্য আমরা কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার আইডি থেকে এই মন্তব্য করিনি। এটি তদন্ত চলছে, তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।’

আর একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন সম্প্রতি কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন, আমি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

নাটোর প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর মণ্ডলের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে জাফর, পাপ্পু, পলাশ, মাহি ও বেলজু নামের পাঁচজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, মাজেদ মণ্ডল ও জাফর মণ্ডলের লোকজন বাজারে টাকা তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাঘায় পদ্মার চরে জমি দখল নিয়ে কুষ্টিয়ার ‘কাকন বাহিনীর হামলা’, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি      
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ০১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার জন্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’কে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

গুলিতে নিহত দুজন হলেন আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আর আহত হয়েছেন মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বাঘা উপজেলার চরাঞ্চল নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১১টায় কাকন বাহিনীর লোকজন চরের জমিতে কাজ করার সময় নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন এই চারজন।

গুলির তীব্রতার কারণে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রথমে বেশ বেগ পেতে হয়, পরে আরও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কাকন বাহিনী সরে যায়। তখন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আমান মণ্ডল মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজমুলও মারা যান।

আমান মণ্ডলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুনতাজের শরীরের বিভিন স্থানে অন্তত শতাধিক, রাকিবের শরীরে প্রায় ৮০, নাজমুলের শরীরে প্রায় ৩৫ এবং আমানের মাথাসহ শরীরের পাঁচ জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থান দেখে ধারণা করা যায়, পিস্তল ও রাবার বুলেটে হতাহত হতে পারেন।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস নাজমুল মণ্ডলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত লাশ মেডিকেল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা ছিল। অন্য আহত দুজনের অস্ত্রোপচার চলছে। তাঁদের অবস্থা গুরুতর।

হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আগামীকাল মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত