Ajker Patrika

জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা: উত্তপ্ত রংপুর, সেনা জিজ্ঞাসাবাদে নেতারা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ০৯: ২৩
সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জনসম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জনসম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাসভবন ‘দ্য স্কাই ভিউ’তে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গন। এই হামলার ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জনসম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে রাত দেড়টার দিকে সেখানে পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ২টা ১ মিনিট) সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পায়রা চত্বরে অবস্থান করছিলেন। পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখে সেনাবাহিনী।

এর আগে, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন ইমতিয়াজ ও ইমরান। সেখান থেকে ফেরার পথে পায়রা চত্বরে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন তাঁরা।

মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ফোন করে আমাদের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। আমরা পায়রা চত্বরে আছি জানালে তাঁরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা আমাদের কাছে হামলার সময়কার ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে হামলাকারীদের শনাক্তে সহযোগিতা চান।’

এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন এবং জেলা সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘সেনাবাহিনী জানতে চেয়েছে, হামলায় বিএনপি-সংশ্লীষ্ট কেউ ছিল কি না। আমরা ভিডিও দেখে একজনকে শনাক্ত করেছি। আমাদের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাত ১টার দিকে এনসিপি নেতা সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ফ্যাসিস্টদের দোসরদের গ্রেপ্তার না করে অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের বিব্রত করলে আগামীকাল রংপুরের রাজপথে আবার দেখা হবে।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুর সেনপাড়ার বাসভবন দ্য স্কাই ভিউতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আরিফ আলী। এ সময় মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে রাত ১১টার দিকে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণ করেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।

রাত দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রংপুর মহানগরে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রসিকের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বক্তব্য দেন। তিনি এনসিপি নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা রেকর্ডের আল্টিমেটাম দেন।

এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হামলাসংক্রান্ত একটি মামলার আবেদন করেছেন এনসিপি রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন।

রংপুরে এই রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সেনা হস্তক্ষেপ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তদন্ত চললেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা রুজু হয়নি বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, মাদকাসক্ত ছেলে আটক

পাবনা প্রতিনিধি
আটক করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।

গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। ‎নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।

‎পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

‎নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে ‎পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গজারিয়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’

ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।  

ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি ‍উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।

অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত