দিনাজপুর প্রতিনিধি
পৌষের শুরুতে দিনাজপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিনের হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সকাল ৯টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
আসাদুজ্জামান বলেন, চলতি মাসে দুটি মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
আজ সরেজমিন শহর ঘুরে দেখা যায়, ষষ্টিতলা মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা শীতে বসে-দাঁড়িয়ে অলস সময় পার করছেন। কেউবা গুটিশুটি মেরে বসে আছেন, কেউবা জটলা বেঁধে নিজেদের নিত্য অভাবের গল্প করছেন।
শ্রমিকেরা জানান, একদিকে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ কমে গেছে, অন্যদিকে শীতের কারণে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।
শ্রমিকেরা আরও জানান, গত এক বছরে তাদের মজুরি বাড়েনি, কিন্তু সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ফলে অল্প মজুরিতে এমনিতেই সংসার চলে না। তার ওপর এখন শীতের কারণে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় কাজ না পেয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
পুলহাট এলাকার হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের কারণে খুব বিপাকে পড়েছি। এখানে যে কয়জন লোক আছে, সবাই কাজে অভিজ্ঞ। কারোরই বসে থাকার কথা না। কিন্তু শীতের কারণে লোকজন কাজ করছে না। ফলে দেখেন আমরা সবাই বসে আছি। একদিকে শীতের কারণে কাজ কম, আবার সারা দিন কাজ করার পরও মজুরি কম।’
দপ্তরিপাড়া এলাকার শ্রমিক শাহানাজ বেগম জানান, তাঁর সন্তানেরা বিয়ে-শাদি করে আলাদা থাকেন। স্বামী অসুস্থ থাকায় সংসারের সব খরচ, ওষুধপত্র তাঁকেই কিনতে হয়। কিন্তু শীতের কারণে চার দিন ধরে কোনো কাজ পাননি। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
ষষ্টিতলা এলাকার আফরিনা জানান, তাঁর দুই ছেলের একজন শহরের সেন্ট যোসেফ স্কুলে চতুর্থ, অপরজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। নতুন বছরে স্কুলের খরচ প্রায় ১১ হাজার টাকা। দিনমজুর স্বামী কাজ না থাকায় এই অর্থের কোনো সংস্থান করতে পারেননি। তাই সবাই বই পেলেও তাঁর সন্তানেরা এখনো বই পাননি।
পৌষের শুরুতে দিনাজপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিনের হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সকাল ৯টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
আসাদুজ্জামান বলেন, চলতি মাসে দুটি মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
আজ সরেজমিন শহর ঘুরে দেখা যায়, ষষ্টিতলা মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা শীতে বসে-দাঁড়িয়ে অলস সময় পার করছেন। কেউবা গুটিশুটি মেরে বসে আছেন, কেউবা জটলা বেঁধে নিজেদের নিত্য অভাবের গল্প করছেন।
শ্রমিকেরা জানান, একদিকে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ কমে গেছে, অন্যদিকে শীতের কারণে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।
শ্রমিকেরা আরও জানান, গত এক বছরে তাদের মজুরি বাড়েনি, কিন্তু সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ফলে অল্প মজুরিতে এমনিতেই সংসার চলে না। তার ওপর এখন শীতের কারণে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় কাজ না পেয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
পুলহাট এলাকার হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের কারণে খুব বিপাকে পড়েছি। এখানে যে কয়জন লোক আছে, সবাই কাজে অভিজ্ঞ। কারোরই বসে থাকার কথা না। কিন্তু শীতের কারণে লোকজন কাজ করছে না। ফলে দেখেন আমরা সবাই বসে আছি। একদিকে শীতের কারণে কাজ কম, আবার সারা দিন কাজ করার পরও মজুরি কম।’
দপ্তরিপাড়া এলাকার শ্রমিক শাহানাজ বেগম জানান, তাঁর সন্তানেরা বিয়ে-শাদি করে আলাদা থাকেন। স্বামী অসুস্থ থাকায় সংসারের সব খরচ, ওষুধপত্র তাঁকেই কিনতে হয়। কিন্তু শীতের কারণে চার দিন ধরে কোনো কাজ পাননি। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
ষষ্টিতলা এলাকার আফরিনা জানান, তাঁর দুই ছেলের একজন শহরের সেন্ট যোসেফ স্কুলে চতুর্থ, অপরজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। নতুন বছরে স্কুলের খরচ প্রায় ১১ হাজার টাকা। দিনমজুর স্বামী কাজ না থাকায় এই অর্থের কোনো সংস্থান করতে পারেননি। তাই সবাই বই পেলেও তাঁর সন্তানেরা এখনো বই পাননি।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার নারীসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরিমনি (১৯), নাছরিন (২১) এবং সুমাইয়া (১৯)।
১ ঘণ্টা আগেরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, জীবিত থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। এত দিন হয়ে গেল, প্রধান আসামির ফাঁসির রায় এখনো কার্যকর করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে প্রার্থনা জানাই, দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার
১ ঘণ্টা আগেপাহাড় ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হয় নানা নির্দেশনা। সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর পাশাপাশি রাখতে হয় অভিজ্ঞ গাইড। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়িত্ব সত্ত্বেও অনেকে তা না মেনেই পরিবার নিয়ে বের হন। এতে তাঁরা নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন, অনেক সময় হারাচ্ছেন প্রাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ম ন
২ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে...
২ ঘণ্টা আগে