সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। মাধবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হালকা রোদ পড়েছে। মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ এক টিনশেড ঘর। এর সামনেই চলছে একটি শ্রেণির পাঠদান। কাঠের বেঞ্চে বসে আছে কিশোরীরা। কারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবার শুরু হয় পাঠ। এটি যেন বিদ্যালয়টির প্রতিদিনের দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ একটি স্কুল মাধবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। নামটি ‘উচ্চ বিদ্যালয়’, কিন্তু অবকাঠামো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের নিচে। নেই পাকা ভবন, শৌচাগারের সঠিক ব্যবস্থা ও ক্লাসরুমের মতো নিরাপদ কক্ষ। তবু এই বিদ্যালয়েই প্রতিদিন আসে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। আসে স্বপ্ন নিয়ে, ফিরে যায় দুশ্চিন্তা নিয়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দ্র নাথ বর্মণ বললেন, ‘১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে আমাদের স্কুল। ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হলেও আজ অবধি আমরা কোনো পাকা ভবন পাইনি। বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাস পাচ্ছি।’
স্কুলের মাঠের পাশে একটি টিনশেড ঘর। তিনটি কক্ষ। একটি কক্ষে অফিস চলে, বাকি দুটিতে ক্লাস হয়। যেসব ছাত্রীর জন্য জায়গা হয় না, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা—টিনের চালা দেওয়া খোলা ঘর। নেই বিদ্যুৎ, ফ্যান ও আধুনিক শিক্ষার কোনো অবকাঠামো।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমনা আক্তার বলে, ‘বৃষ্টি হলে ক্লাস হয় না। ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বই-খাতা ভিজে যায়। ভিজে গেলে বই নষ্ট হয়ে যায়, নতুন কিনতে পারি না সব সময়।’
আরেক শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির নাজমা খাতুন বলে, ‘আমার কিছু বান্ধবী শহরের ভালো স্কুলে চলে গেছে। ওদের বড় বড় দালান আছে, ক্লাসে প্রজেক্টর আছে। আমাদের স্কুল দেখে ওদের কাছে লজ্জা লাগে।’
বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন বললেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি হলে ক্লাস নেওয়া একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। ছাত্রীরা নিরাপদে আছে কি না, সেটাই বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়।’
শুধু শিক্ষক বা শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন। রাশেদা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এই স্কুলেই আমার মেয়ে পড়ে। কিন্তু এই পরিবেশে আর কত দিন! শহরের স্কুলে ভর্তি করানোই ভালো।’
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া মোট আড়াই লাখ টাকা অনুদানে তৈরি হয় এই টিনশেড ঘর। এরপর আর কোনো বরাদ্দ মেলেনি। ফলে উন্নয়নের গতি স্থবির।
ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অবস্থা সত্যিই করুণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম (যিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে রয়েছেন) বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ এলে স্কুলটি অগ্রাধিকার পাবে। আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। মাধবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হালকা রোদ পড়েছে। মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ এক টিনশেড ঘর। এর সামনেই চলছে একটি শ্রেণির পাঠদান। কাঠের বেঞ্চে বসে আছে কিশোরীরা। কারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবার শুরু হয় পাঠ। এটি যেন বিদ্যালয়টির প্রতিদিনের দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ একটি স্কুল মাধবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। নামটি ‘উচ্চ বিদ্যালয়’, কিন্তু অবকাঠামো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের নিচে। নেই পাকা ভবন, শৌচাগারের সঠিক ব্যবস্থা ও ক্লাসরুমের মতো নিরাপদ কক্ষ। তবু এই বিদ্যালয়েই প্রতিদিন আসে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। আসে স্বপ্ন নিয়ে, ফিরে যায় দুশ্চিন্তা নিয়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দ্র নাথ বর্মণ বললেন, ‘১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে আমাদের স্কুল। ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হলেও আজ অবধি আমরা কোনো পাকা ভবন পাইনি। বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাস পাচ্ছি।’
স্কুলের মাঠের পাশে একটি টিনশেড ঘর। তিনটি কক্ষ। একটি কক্ষে অফিস চলে, বাকি দুটিতে ক্লাস হয়। যেসব ছাত্রীর জন্য জায়গা হয় না, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা—টিনের চালা দেওয়া খোলা ঘর। নেই বিদ্যুৎ, ফ্যান ও আধুনিক শিক্ষার কোনো অবকাঠামো।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমনা আক্তার বলে, ‘বৃষ্টি হলে ক্লাস হয় না। ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বই-খাতা ভিজে যায়। ভিজে গেলে বই নষ্ট হয়ে যায়, নতুন কিনতে পারি না সব সময়।’
আরেক শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির নাজমা খাতুন বলে, ‘আমার কিছু বান্ধবী শহরের ভালো স্কুলে চলে গেছে। ওদের বড় বড় দালান আছে, ক্লাসে প্রজেক্টর আছে। আমাদের স্কুল দেখে ওদের কাছে লজ্জা লাগে।’
বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন বললেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি হলে ক্লাস নেওয়া একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। ছাত্রীরা নিরাপদে আছে কি না, সেটাই বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়।’
শুধু শিক্ষক বা শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন। রাশেদা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এই স্কুলেই আমার মেয়ে পড়ে। কিন্তু এই পরিবেশে আর কত দিন! শহরের স্কুলে ভর্তি করানোই ভালো।’
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া মোট আড়াই লাখ টাকা অনুদানে তৈরি হয় এই টিনশেড ঘর। এরপর আর কোনো বরাদ্দ মেলেনি। ফলে উন্নয়নের গতি স্থবির।
ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অবস্থা সত্যিই করুণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম (যিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে রয়েছেন) বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ এলে স্কুলটি অগ্রাধিকার পাবে। আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৯ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩২ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে