রিমন রহমান, রাজশাহী
২০২১ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহী শহরের ১০৪টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে। পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) সরবরাহ করা এসব পানিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ‘কলিফর্ম’ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মিলেছিল। তবুও পানির মানোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখনো সরবরাহ করা হচ্ছে একই পানি। সুপেয় পানি পেতে গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হবে গোদাগাড়ীতে নির্মাণাধীন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই পানির দাম বাড়াতে মনোযোগ ওয়াসার। তিন বছর আগে পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল তিনগুণ। এবার পানির ৩০ শতাংশ দাম বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়াসা।
কাগজপত্রে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী ওয়াসা পানির দাম তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়। এতে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট বা ১ হাজার লিটার পানির দাম ২ টাকা ২৭ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৮১ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৫৪ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৬৬ পয়সায় গিয়ে দাঁড়ায়। এবার এই পানির দাম ৩০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ১৬তম বোর্ড সভায় পানির দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর সম্প্রতি সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। অনুমোদন পেলে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম বেড়ে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় গিয়ে দাঁড়াবে।
অথচ রাজশাহী ওয়াসার পানির মান পানযোগ্য নয়। ২০১৮ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একদল গবেষক ওয়াসার পানি নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা শহরের ৪০টি পয়েন্টের পানি সংগ্রহের পর পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, এই পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় উঠে আসে, ওই পানিতে বেশি মাত্রার আয়রনের উপস্থিতি রয়েছে। পরে ২০২১ সালে পানির মান পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরও।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহী নগরে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার। তবে ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে ১০ দশমিক ৭ কোটি লিটার। ফলে প্রতিদিন ২ দশমিক ৮ কোটি লিটার পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বর্তমানে রাজশাহী ওয়াসা ১২৩টি গভীর নলকূপ ব্যবহার করে এবং ৮৫৯ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৫২৭টি পরিবার এবং ৭২১টি বাণিজ্যিক গ্রাহককে পানি সরবরাহ করে। এক ইউনিট বা ১ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করতে ওয়াসা ৯ টাকা ৩০ পয়সা ব্যয় করে।
গ্রামীণ জনগণের টাকায় শহরের মানুষকে স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা অনৈতিক। ফলে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।
নাদিম সারোয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন), রাজশাহী ওয়াসা
ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার পরিচালন ব্যয়ের বিপরীতে ২৫৫ কোটি ইউনিট পানি বিক্রি করে ১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে ওয়াসার। এই লোকসান কমাতেই দফায় দফায় পানির দাম বাড়ানোর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) নাদিম সারোয়ার বলেন, ‘পানিতে ভর্তুকি কমানোর জন্য সরকারের একটি নির্দেশনা ছিল। দেশের সব মানুষের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে ওয়াসাকে চলতে হচ্ছে। গ্রামীণ জনগণের টাকায় শহরের মানুষকে স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা অনৈতিক। ফলে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘পানির ক্ষতি কমানো এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির শুল্ক বাড়াচ্ছে, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘ওয়াসার পানি এখনো পানযোগ্য নয়। গৃহস্থালির কাজেও ব্যবহার করা যায় না। দাম বাড়ানোর চেয়ে পানির মান বাড়ানোর দিকে আগে মনোযোগ দেওয়া উচিত ওয়াসার।’
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মামুদ বলেন, ‘আমরা পানির মান বাড়াতেও মনোযোগী। সে জন্যই গোদাগাড়ীতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে। পদ্মার পানি সেখানে পরিশোধন করে রাজশাহী শহরে আনা হবে পাইপলাইনে। চীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ। প্রকল্পটি শেষ হলেই পাওয়া যাবে সুপেয় পানি।’
২০২১ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহী শহরের ১০৪টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে। পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) সরবরাহ করা এসব পানিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ‘কলিফর্ম’ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মিলেছিল। তবুও পানির মানোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখনো সরবরাহ করা হচ্ছে একই পানি। সুপেয় পানি পেতে গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হবে গোদাগাড়ীতে নির্মাণাধীন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই পানির দাম বাড়াতে মনোযোগ ওয়াসার। তিন বছর আগে পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল তিনগুণ। এবার পানির ৩০ শতাংশ দাম বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়াসা।
কাগজপত্রে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী ওয়াসা পানির দাম তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়। এতে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট বা ১ হাজার লিটার পানির দাম ২ টাকা ২৭ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৮১ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৫৪ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৬৬ পয়সায় গিয়ে দাঁড়ায়। এবার এই পানির দাম ৩০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ১৬তম বোর্ড সভায় পানির দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর সম্প্রতি সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। অনুমোদন পেলে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম বেড়ে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় গিয়ে দাঁড়াবে।
অথচ রাজশাহী ওয়াসার পানির মান পানযোগ্য নয়। ২০১৮ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একদল গবেষক ওয়াসার পানি নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা শহরের ৪০টি পয়েন্টের পানি সংগ্রহের পর পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, এই পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় উঠে আসে, ওই পানিতে বেশি মাত্রার আয়রনের উপস্থিতি রয়েছে। পরে ২০২১ সালে পানির মান পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরও।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহী নগরে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার। তবে ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে ১০ দশমিক ৭ কোটি লিটার। ফলে প্রতিদিন ২ দশমিক ৮ কোটি লিটার পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বর্তমানে রাজশাহী ওয়াসা ১২৩টি গভীর নলকূপ ব্যবহার করে এবং ৮৫৯ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৫২৭টি পরিবার এবং ৭২১টি বাণিজ্যিক গ্রাহককে পানি সরবরাহ করে। এক ইউনিট বা ১ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করতে ওয়াসা ৯ টাকা ৩০ পয়সা ব্যয় করে।
গ্রামীণ জনগণের টাকায় শহরের মানুষকে স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা অনৈতিক। ফলে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।
নাদিম সারোয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন), রাজশাহী ওয়াসা
ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার পরিচালন ব্যয়ের বিপরীতে ২৫৫ কোটি ইউনিট পানি বিক্রি করে ১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে ওয়াসার। এই লোকসান কমাতেই দফায় দফায় পানির দাম বাড়ানোর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) নাদিম সারোয়ার বলেন, ‘পানিতে ভর্তুকি কমানোর জন্য সরকারের একটি নির্দেশনা ছিল। দেশের সব মানুষের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে ওয়াসাকে চলতে হচ্ছে। গ্রামীণ জনগণের টাকায় শহরের মানুষকে স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা অনৈতিক। ফলে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘পানির ক্ষতি কমানো এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির শুল্ক বাড়াচ্ছে, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘ওয়াসার পানি এখনো পানযোগ্য নয়। গৃহস্থালির কাজেও ব্যবহার করা যায় না। দাম বাড়ানোর চেয়ে পানির মান বাড়ানোর দিকে আগে মনোযোগ দেওয়া উচিত ওয়াসার।’
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মামুদ বলেন, ‘আমরা পানির মান বাড়াতেও মনোযোগী। সে জন্যই গোদাগাড়ীতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে। পদ্মার পানি সেখানে পরিশোধন করে রাজশাহী শহরে আনা হবে পাইপলাইনে। চীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ। প্রকল্পটি শেষ হলেই পাওয়া যাবে সুপেয় পানি।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে