Ajker Patrika

তানোরে যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি, মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০: ১৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর তানোর থানার সামনে থেকে এক যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি করেছেন একদল সাংবাদিক ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগ তুলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পুলিশে না দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। দিতে রাজি না হলে ওই যুবককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করেছে।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারের পর মধ্যরাতে পুলিশ সজল আলী (৩০) নামের ওই যুবককে স্বজনদের জিম্মায় দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। থানা-পুলিশ ঘটনাটি থামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের দাবি, ভুক্তভোগী যুবক মামলা করতে চাননি। আর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলছেন, সময় শেষ হয়ে যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশও বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। ভুক্তভোগী সজল আলী পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামে।

আর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত আটজন সাংবাদিকের নাম জানা গেছে। তাঁরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তানোর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের সঙ্গে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তানোর জোনের একজন মেকানিক, উপজেলা সদরের একজন মুদিদোকানি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যও জড়িত ছিলেন। তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ থেকে আসা সজল আলী মোটরসাইকেল নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনূরা দিয়ে মুণ্ডুমালা-তানোর সড়কে ঢোকেন। তাঁর গন্তব্য ছিল নাটোরের নলডাঙ্গায় বোনের বাড়ি। মুণ্ডুমালা আসার পরে বিএমডিএর ওই কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর পেট্রোলপাম্পে তেল নিতে গিয়ে দেখা হয়। সজল তাঁর কাছে নলডাঙ্গা যাওয়ার সহজ রাস্তা কোনটি, তা জানতে চান। ওই কর্মচারী তখন তাঁকে তাঁর পেছন পেছন আসতে বলেন। তাঁর কথামতো সজল ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছন পেছন আসতে থাকেন।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তানোর থানার সামনে পৌঁছালে ওই মেকানিক তাঁকে থামান। এরপর তিনি ও চার সাংবাদিক তাঁকে আটকান। তাঁরা বলেন, সজলের কাছে মাদকদ্রব্য রয়েছে। তাঁরা পুলিশের লোক। তাঁকে তল্লাশি করতে হবে। এরপর তানোর থানার সামনে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদের কাছে তাঁকে একটি প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়।

সেখানে ব্যাগ তল্লাশি করে সজলের কাছে একটি কাঁঠাল, কিছু আম ও কিছু যবের ছাতু পাওয়া যায়। এই ছাতুকেই হেরোইন বলে ধরে নিয়ে তাঁকে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। এরপর থানায় নেওয়ার নামে তাঁকে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মালার মোড় এলাকায় একটি স্কুলে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায়ে যোগ দেন আরও চারজন সাংবাদিক। সজল তাঁদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হয় মারধর। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান।

তাঁরা পরিচয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের সাংবাদিক বলেই পরিচয় দেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের জানান, সাংবাদিকদের তো এভাবে তল্লাশি ও মারধর করার সুযোগ নেই। পরে তাঁরা সবাইকে ঘেরাও করে রেখে থানায় খবর দেন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন সাংবাদিকদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে ওই সাংবাদিকেরা দিকবিদিক দৌড়ে পালিয়ে যান। থানায় নেওয়ার পর পুলিশ দেখতে পায়, ওই যুবকের কাছে ছিল ছাতু। এগুলো হেরোইন নয়। পরে মধ্যরাতে সজলকে তাঁর মামা হোসাইন আলীর জিম্মায় দেন ওসি আফজাল হোসেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী সজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শারীরিকভাবে তিনি ভীষণ অসুস্থ। মারধরের কারণে সারা শরীরে ব্যাথা। তিনি কথা বলতে পারবেন না। তিনি তাঁর একজন মামার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ওই মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এভাবে থানার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া অপহরণ। অপহরণ করে সজলের কাছে মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ কোনো মামলা না করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছে। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিক।

ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? আপনাদের সাংবাদিকেরাই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁদেরই জিজ্ঞেস করুন।’ কোন কোন সাংবাদিক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন—জানতে চাইলে ওসি একটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিসহ কয়েকজনের নাম জানান। আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘যিনি ভুক্তভোগী, তিনি কিংবা তাঁর স্বজনেরা মামলা করতে চাননি। এখনো তাঁরা চাইলে আমরা মামলা নেব।’

ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলেন, ‘কাউকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া, তল্লাশি করা, মারধর করা কিংবা টাকা দাবি করা তো সাংবাদিকদের কাজ নয়। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। ধামাচাপা দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত। প্রথমত ভুক্তভোগী ব্যক্তি মামলা করলে ভালো হয়। তা না হলে তাঁর কোনো নিকটাত্মীয় মামলা করতে পারেন। কিন্তু যত দূর জানি, তাঁরা মামলা করতে চাননি। এই রকম পরিস্থিতিতে পুলিশও বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা না হলে পুলিশই মামলা করবে। সে সুযোগ আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিবারসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত
র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ, তাঁর স্ত্রী ফাতেহা পারভীন লুনা এবং তাঁদের দুই মেয়ে ফাহমিদা ফারাহ ফাবিয়া ও নুসরাত যারীন আর্দিতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের ভেতর পলাতক রয়েছেন। তাঁরা যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ৩ সাংবাদিকের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার কৃষক দল নেতা কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৫
শাহাদাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
শাহাদাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার কৃষক দলের নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদির কারাগার পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মূল আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে আজ বিকেলে আহত সাংবাদিক মো. আকাশ খান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে মূল হামলাকারী শাহাদাত হোসেন (৬০) ও সায়েদাবাদী শহীদকে (৫৫)। এ ছাড়া মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ইয়াছিনের অনুসারীদের গণ-ইফতার

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে নফল রোজা শেষে গণ-ইফতার ইয়াছিন অনুসারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে নফল রোজা শেষে গণ-ইফতার ইয়াছিন অনুসারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা চার দিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এর ধারাবাহিকতায় নফল রোজা শেষে আজ বৃহস্পতিবার নগরীর কান্দিরপাড়ে গণ-ইফতারের আয়োজন করা হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার কান্দিরপাড়ের নারী সমাবেশ থেকে হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ‘নফল রোজা’ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

নেতা-কর্মীরা জানান, এলাকার উন্নয়ন, শান্তি, সাংগঠনিক ঐক্য ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান কুমিল্লার সাধারণ মানুষ। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর দরবারে দোয়া, ইবাদত ও কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ প্রার্থনা করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।

জানা যায়, কুমিল্লা-৬ আসনটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, আদর্শ সদর উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও সেনানিবাসের একটি অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৮ সালে আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

অন্যদিকে মনিরুল হক চৌধুরী একই নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান। পরে সীমানা পুনর্নির্ধারণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কুমিল্লা-১০ থেকে বাদ পড়ে কুমিল্লা-৬ আসনের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর থেকে নতুন সীমানার কুমিল্লা-৬ আসনে মনিরুল হক চৌধুরী। আর অন্যদিকে কুমিল্লা-৬ পুরোনো সীমানার রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের নেতৃত্বের দাবি তুলে ধরছেন ইয়াছিনপন্থীরা।

মনছুর নিজামী নামের এক যুবদল নেতা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। আমাদের লক্ষ্য বিরোধিতা নয়—ন্যায়সংগত দাবির স্বীকৃতি। আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন শুধু একজন নেতা নন, কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের আস্থা-ভরসার নাম। তাই তাঁকেই চাই।’

ডলি আক্তার নামের এক নারীনেত্রী বলেন, ‘নারীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা, স্থানীয় সমস্যায় পাশে থাকা, শিক্ষা ও মানবিক সহায়তায় ভূমিকা থাকায় নারীদের আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে ইয়াছিন ভাইয়ের প্রতি। এ জন্য আজ আমরা রোজা-ইফতার করেছি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে কুমিল্লা-৬ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

এরপর থেকেই কুমিল্লার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা এ ঘোষণাকে তৃণমূল নেতা-কর্মীর প্রতিকূল দাবি করে প্রতিক্রিয়া জানান এবং ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ বছরে বাবাকে হারাল, ১৭ বছরে নিজেই না ফেরার দেশে

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি      
বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজমাঠে ইয়ামিনের জানাজা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজমাঠে ইয়ামিনের জানাজা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল রাজশাহীর বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজশিক্ষার্থী মোস্তাকিন আহমেদ ইয়ামিন (১৭)। আজ বৃহস্পতিবার বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজমাঠে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

নিহত ইয়ামিনের দাদা আব্দুর রহমান এছার ইমামতিতে জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, বন্ধু-বান্ধবসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় জানাজায় দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে অনেককে কাঁদতে দেখা যায়।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তাকিন আহমেদ ইয়ামিনের মৃত্যু হয়।

বাঘা ইসলামি একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়, কারিগরি ও কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী ইয়ামিন পৌরসভার (জিরো পয়েন্ট) মিলিকবাঘা গ্রামের মৃত ইউসুফ বিন মুসার ছেলে এবং বিএনপি নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাতিজা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর বাঘা-আড়ানী সড়ক হয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন ইয়ামিন। উপজেলার আমোদপুর জামে মসজিদের উত্তর বাঁকের সামনে পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ড, ১১-০৩৮৮) পাশ কাটিয়ে বের হওয়ার সময় ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় ইয়ামিন।

আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিডিএমএ (আইসিইউসি) ভর্তি করা হয়। তিন দিন পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে মুসার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাত বছর আগে ইউসুফ বিন মুসা এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে ৩৫ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে মারা যান। তখন ইয়ামিনের বয়স হয়েছিল ১০ বছর।

দুর্ঘটনার বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর ট্রাক রেখে চালক-হেলপার পালিয়ে যান। পরে ট্রাকটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত