নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতিষ্ঠার এক যুগেও নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি রাজশাহী ওয়াসার। রাজশাহী ওয়াসা জানিয়েছে, এখনো প্রতিদিন ১ কোটি ৭৭ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকে নগরীতে। এই ঘাটতি মেটাতেই একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন পদ্মা নদীর ২০ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করে বিশুদ্ধ করা সম্ভব হবে। পানযোগ্য এই পানি রাজশাহী মহানগরী এবং আশপাশের পৌর এলাকায় সরবরাহ করা হবে। রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) অধীনে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদ্মার পানি পরিশোধন করতে রাজশাহী শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের সারেংপুরে স্থাপন হতে যাচ্ছে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এ জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিদল গোদাগাড়ী এসেছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন।
ওয়াসা জানায়, এই প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা। চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড কাজটি বাস্তবায়ন করবে। পদ্মায় সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে চীনা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২১ সালের ২১ মার্চ চুক্তি করে রাজশাহী ওয়াসা। এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমেই ২০৩৫ সালের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে পানি সরবরাহ শতভাগ নিশ্চিত করা হবে বলে আশা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের।
সম্প্রতি এই প্রকল্পের বিষয়ে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। সেখানে ওয়াসার প্রতিনিধি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনা নাগরিকেরা গোদাগাড়ীতে এসে বাসাভাড়া নিয়ে অবস্থান করছেন। সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, গোদাগাড়ীতে চীনা নাগরিকদের যেন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের উত্তর পাশ দিয়ে পাইপলাইন শহরে আসবে বলে এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা চাওয়া হয়। সভার সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
রাজশাহী ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। আড়াই থেকে তিন শতাংশ সুদে হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২ হাজার ৩১৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা চার বছর।
গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের সারেংপুর এলাকায় পদ্মা নদীর যে স্থানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হবে সেখানেই ভারত থেকে গঙ্গা নদী বাংলাদেশে ঢুকে পদ্মা হয়েছে। এখান থেকেই আবার পদ্মার শাখা নদী হিসেবে বেরিয়ে গেছে মহানন্দা। দুই নদীর মোহনায় ওয়াসার এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে। সারা বছর এখানে অন্তত ৩০ ফুট গভীর পানি থাকে। প্রকল্প গ্রহণের আগে স্থানটির সারা বছরের পানির গভীরতা নিয়ে ৩০ বছরের পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করেছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)। এরপরই সেখানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী ওয়াসা।
রাজশাহী ওয়াসা জানায়, শহরে এখন প্রতিদিন পানির চাহিদা ১১ কোটি ৩২ লাখ লিটার। চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ ৮ কোটি ৬৫ লাখ লিটার পানি তোলা হয়। আর এখন মাত্র ৯০ লাখ লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধন করা হয়। তা-ও প্রতিদিন ১ কোটি ৭৭ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থেকে যায়। নতুন প্ল্যান্ট হলে ঘাটতি থাকবে না। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের খসড়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয়। পরে একই বছরের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। এরপর নানা সমীক্ষা চলছিল। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরই চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকীর হোসেন বলেন, সারেংপুরে সারা বছর পদ্মায় পানি থাকে বলে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থান নির্বাচনের আগে আইডব্লিউএম ৩০ বছরের পানির পরিসংখ্যান নিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরে আর পানির ঘাটতি থাকবে না। শহরের চাহিদা মিটিয়ে রাজশাহী ওয়াসা আশপাশের পৌর এলাকাগুলোতেও সুপেয় সরবরাহ করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠার এক যুগেও নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি রাজশাহী ওয়াসার। রাজশাহী ওয়াসা জানিয়েছে, এখনো প্রতিদিন ১ কোটি ৭৭ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকে নগরীতে। এই ঘাটতি মেটাতেই একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন পদ্মা নদীর ২০ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করে বিশুদ্ধ করা সম্ভব হবে। পানযোগ্য এই পানি রাজশাহী মহানগরী এবং আশপাশের পৌর এলাকায় সরবরাহ করা হবে। রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) অধীনে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদ্মার পানি পরিশোধন করতে রাজশাহী শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের সারেংপুরে স্থাপন হতে যাচ্ছে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এ জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিদল গোদাগাড়ী এসেছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন।
ওয়াসা জানায়, এই প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা। চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড কাজটি বাস্তবায়ন করবে। পদ্মায় সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে চীনা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২১ সালের ২১ মার্চ চুক্তি করে রাজশাহী ওয়াসা। এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমেই ২০৩৫ সালের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে পানি সরবরাহ শতভাগ নিশ্চিত করা হবে বলে আশা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের।
সম্প্রতি এই প্রকল্পের বিষয়ে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। সেখানে ওয়াসার প্রতিনিধি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনা নাগরিকেরা গোদাগাড়ীতে এসে বাসাভাড়া নিয়ে অবস্থান করছেন। সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, গোদাগাড়ীতে চীনা নাগরিকদের যেন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের উত্তর পাশ দিয়ে পাইপলাইন শহরে আসবে বলে এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা চাওয়া হয়। সভার সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
রাজশাহী ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। আড়াই থেকে তিন শতাংশ সুদে হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২ হাজার ৩১৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা চার বছর।
গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের সারেংপুর এলাকায় পদ্মা নদীর যে স্থানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হবে সেখানেই ভারত থেকে গঙ্গা নদী বাংলাদেশে ঢুকে পদ্মা হয়েছে। এখান থেকেই আবার পদ্মার শাখা নদী হিসেবে বেরিয়ে গেছে মহানন্দা। দুই নদীর মোহনায় ওয়াসার এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে। সারা বছর এখানে অন্তত ৩০ ফুট গভীর পানি থাকে। প্রকল্প গ্রহণের আগে স্থানটির সারা বছরের পানির গভীরতা নিয়ে ৩০ বছরের পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করেছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)। এরপরই সেখানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী ওয়াসা।
রাজশাহী ওয়াসা জানায়, শহরে এখন প্রতিদিন পানির চাহিদা ১১ কোটি ৩২ লাখ লিটার। চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ ৮ কোটি ৬৫ লাখ লিটার পানি তোলা হয়। আর এখন মাত্র ৯০ লাখ লিটার ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধন করা হয়। তা-ও প্রতিদিন ১ কোটি ৭৭ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থেকে যায়। নতুন প্ল্যান্ট হলে ঘাটতি থাকবে না। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের খসড়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয়। পরে একই বছরের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। এরপর নানা সমীক্ষা চলছিল। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরই চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকীর হোসেন বলেন, সারেংপুরে সারা বছর পদ্মায় পানি থাকে বলে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থান নির্বাচনের আগে আইডব্লিউএম ৩০ বছরের পানির পরিসংখ্যান নিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরে আর পানির ঘাটতি থাকবে না। শহরের চাহিদা মিটিয়ে রাজশাহী ওয়াসা আশপাশের পৌর এলাকাগুলোতেও সুপেয় সরবরাহ করতে পারবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে