Ajker Patrika

রাকসু নির্বাচন: জ্জোহা হলেও শিবির-ঐক্য এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী সালমান সাব্বির ও আধিপাত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। আগে ঘোষণা করা অন্য ১০ হলের মতো এখানেও পাত্তা পাননি ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থীরা।

ভোররাত ৪টায় ঘোষণা করা শহীদ শামুজ্জোহা হলের ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৬৫০ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রদলের প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ১৭০টি ভোট। এ পর্যন্ত জাহিদ মোট ৭ হাজার ২৬৫ ভোট ও আবির ১ হাজার ৯৩৫টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে এ হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬০০ ভোট। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। জিএস পদে ১১ হলে এ পর্যন্ত আম্মার ৬ হাজার ৯০৯ ও ফাহিম রেজা ৩ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সংসদের এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সালমান সাব্বির এ হলে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। আর ছাত্রদলের ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। এ পর্যন্ত ১১ হলের ফলাফলে এষা পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৪ ভোট। আর সালমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট।

রাবিতে মোট হলের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের ১১টি হল। এখনও ছেলেদের ৬টি হলের ফল ঘোষণা বাকি। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত, মানলেই সনদে স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাশ না করায় বরগুনায় দুই শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বরগুনায় দুইজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত (১৭) এবং মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী নূসরাত জাহান নাজনীন (১৮)।

ইয়াসিন আরাফাত বামনা উপজেলার বাটাজোড় গ্রামের আবুল হোসেন ফরাজীর ছোট ছেলে। অন্যদিকে নাজনীন বরিশাল বরগুনার আমতলী উপজেলার

মৃত বশির মৃধার মেয়ে।

পরিবার ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বামনা উপজেলার পার্শ্ববর্তী কাঠালিয়া উপজেলার শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ইয়াসির আরাফাত। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে কীটনাশক পান করে সে। বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে প্রথমে তাকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

ইয়াসির আরাফাতের বিষপানে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছেলেটি খুব ভালো ছাত্র ছিলো। ফেল করার ঘটনাটি ও মেনে নিতে পারেনি। আমরাও মানতে পারছি না।

এদিকে অপর শিক্ষার্থী নাজনীন তার বড় বোনের সঙ্গে বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডে থেকে পড়াশুনা করতেন। তার মৃত্যুর বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আশিষ কুমার সাহা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় রশি দিয়ে নাজনীন আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত, মানলেই সনদে স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাকসু নির্বাচন: শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও শিবির-ঐক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী সালমান সাব্বির এবং আধিপাত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। আগে ঘোষণা করা অন্য ১০ হলের মতো এখানেও পাত্তা পাননি ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থীরা।

আজ শুক্রবার ভোররাত ৪টায় ঘোষণা করা শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৬৫০ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রদলের প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ১৭০টি ভোট। এ পর্যন্ত জাহিদ মোট ৭ হাজার ২৬৫ ভোট ও আবির ১ হাজার ৯৩৫টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে এ হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬০০ ভোট। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। জিএস পদে ১১ হলে এ পর্যন্ত আম্মার ৬ হাজার ৯০৯ ও ফাহিম রেজা ৩ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সংসদের এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সালমান সাব্বির এ হলে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। আর ছাত্রদলের ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। এ পর্যন্ত ১১ হলের ফলাফলে এষা পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৪ ভোট। আর সালমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট।

রাবিতে মোট হলের সংখ্যা ১৭ টি। এরমধ্যে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের ১১টি হল। এখনও ছেলেদের ৬টি হলের ফল ঘোষণা বাকি। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওএমআর মেশিনে ব্যালট গণনার পর ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত, মানলেই সনদে স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভাসানী সেতু: ১৮ ইঞ্চি করে ফাঁকা রেলিং আতঙ্কে পথচারীরা

  • চলতি বছরের ২০ আগস্ট এটি উদ্বোধন করা হয়
  • গার্ডারের সংযোগস্থলগুলোর রেলিংয়ে ফাঁকা রয়েছে
  • সামান্য অসাবধানতায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৪০
সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিং। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিং। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিংয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে ফাঁকা থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সেতু দিয়ে হেঁটে চলাচলকারীরা। চলতি বছরের ২০ আগস্ট সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পরপরই সেতু দেখতে আসেন স্থানীয়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাঁদের কাছে সেতুটি এখন রীতিমতো দর্শনীয় স্থান তথা বিনোদনকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত সর্ববৃহৎ এ সেতুতে ব্যয় হয় ৯২৫ কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ দশমিক ৬ মিটার। অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারী সংযোগ সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে মওলানা ভাসানী সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুপাশে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ ফুট প্রস্থের পায়ে চলার পথ। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেওয়া হয়েছে রেলিং। আর এ রেলিংয়ে আছে গার্ডারের ৬৪টি সংযোগস্থল। সংযোগস্থলগুলোর রেলিংয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে ফাঁকা। মেপে দেখা গেছে, ফাঁকা স্থানগুলোর দূরত্ব ১৫ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত। সেখান দিয়ে চলাচলের সময় সামান্য অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পথচারীদের অনেকে আতঙ্কে থাকেন।

দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা বলছেন, দিনের বেলায় সেতুর ফাঁকাগুলো দেখা গেলেও রাতে বোঝার উপায় থাকে না। এ দিকে সেতুতে চুরির ঘটনার পর এখনো সব বাতি জ্বলছে না। বিদ্যুৎ চলে গেলে আরও বিদ্ঘুটে অন্ধকার নেমে আসে সেতুজুড়ে। তখন মনে হয় সেতুর ৬৪টি সংযোগস্থলই যেন একেকটি মরণফাঁদ। তবে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেতুটি ওই ডিজাইনেই তৈরি করা হয়েছে।

বগুড়া থেকে সেতু দেখতে এসেছেন মো. আলমগীর হোসাইন। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে। ওই দম্পতি বলেন, ‘সেতুতে আনন্দ করতে এসে হাত ছেড়ে দিতে পারছি না ৫ বছর বয়সের মেয়ে আয়াতের। যদি কোনো কারণে ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে নদীতে পড়ে যায়, এই ভয়ে থাকি...।’

আরেক দর্শনার্থী মোছা. নার্গিস বেগম এসেছেন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থেকে। তিনিও এসেছেন তাঁর স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে। এ বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আরও কয়েকবার এ সেতুতে ঘুরতে এসেছি। এখানে আসার কথা মনে হলেই এ ফাঁকা স্থানগুলোর কথা মনে হয়। তখন গা শিউরে ওঠে। খুবই ভয় হয়।’

আরেক মা শিরিন আক্তার দুই মেয়ের হাত ধরে রেলিংঘেঁষে হাঁটছিলেন। তাঁর বাড়ি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেলিং ধরে সবাই হাঁটে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা। আর সেই রেলিংয়ের মাঝে মাঝে ফাঁকা রয়েছে। বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিতে পারি না। এরপরও সব সময় থাকতে হয় আতঙ্কে। দুর্ঘটনা এড়াতে ফাঁকা এ স্থানগুলো দ্রুত বন্ধের জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তপন চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে আমি কোনো ঝুঁকি দেখছি না। কারণ আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, সেটা আপনি দেখে চলবেন না? তা ছাড়া এটা কোনো খেলা বা আনন্দের জায়গা নয়।’ এ সেতুতে কতটি এ ধরনের ফাঁকা স্থান আছে এবং ফাঁকা স্থানগুলোর দূরত্ব কত ইঞ্চি হতে পারে; সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই জরুরি। আমরাও এটি নিয়ে ভাবছি। সেতুর সৌন্দর্য ঠিক রাখতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে আর দেরি নয়। কারণ সৌন্দর্যের আগে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত, মানলেই সনদে স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢামেক হাসপাতাল: পুরোনো বার্ন ইউনিটে হবে প্রিজন অ্যানেক্স

  • কারাবন্দী রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার ব্যবস্থা
  • কম জনবলে নিরাপত্তা বজায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো বার্ন ইউনিট ভবনে আলাদাভাবে কারাবন্দী রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করছে সরকার। কারাগারে আটক হাজতি ও কয়েদিদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে ভবনটির ছাদে ‘প্রিজন অ্যানেক্স’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলার ছাদে প্রিজন অ্যানেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও কারা-অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নকশা চূড়ান্ত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তরকে বলা হয়।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছয়টি কক্ষে প্রিজন অ্যানেক্স রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বন্দীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে পারলে তা সহায়ক হবে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভবনে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সেখানে অনেক বন্দীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে বন্দী রোগীদের শয্যার সংকটও কেটে যাবে। এক স্থানে রেখে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারাগারে আটকদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ সব হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মতামত তুলে ধরে বলেন, ভবনটির যথেষ্ট ধারণক্ষমতা রয়েছে। বর্ধিত অংশ তৈরি করলে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি প্রিজন অ্যানেক্স তৈরিতে বিশেষ নকশার জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তরকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকের সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সভায় বলেন, একজন বন্দী অসুস্থ হলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় কারা হাসপাতালে। তবে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি রোগ বা হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন। তিনি বলেন, কারা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা প্রয়োজনে প্রিজন অ্যানেক্সে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, একজন বন্দী রোগীকে ভর্তির পর দুজন কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। একজন ইনচার্জ থাকেন। এ ছাড়া পুলিশও মোতায়েন দরকার হয়। সব বন্দীকে একটি স্থানে চিকিৎসা দেওয়া গেলে কম লোকবলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে বন্দীর পলায়ন এবং অনৈতিক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রিজন অ্যানেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের যথাযথ চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা নির্ধারিত রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য এটি করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত, মানলেই সনদে স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত