নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বহিষ্কৃত এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁদের অব্যাহত বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বেসামাল হয়ে পড়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও অসন্তোষ। হামলা, জমি ও বাড়ি দখল, সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, শীর্ষ কয়েকজন নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মসূচিতে তাঁরা সামনের সারিতে থাকছেন। তাই মাছ লুটের ঘটনায় পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রদলের এক নেতাকে তিরস্কারের বদলে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আক্ষেপ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, বহিষ্কারের পরও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁদের অংশগ্রহণে আমরা বিব্রত।
বাগমারায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইস্যু মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কমিটির সভাপতি মনোনয়ন। পুকুরের মাছ লুট, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে উপজেলা আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা মহব্বত হোসেনকে এই কলেজের সভাপতি করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে যুবদল নেতাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন শাখার তাঁতী দলের যুগ্ম সম্পাদক নবাব হোসেন বাচ্চুর নির্যাতনে শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নবাব। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট নারায়ণ ভবানী (৫৭) নামের চাঁইসাড়া গ্রামের এক ব্যক্তিকে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করেন তিনি। এ ঘটনার পর ওই রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক মেম্বারকে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বছরের ৪ জানুয়ারি প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাগমারার সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টুর সঙ্গে রফিকের ঘনিষ্ঠতা ছিল। জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইকবালের সঙ্গেও ছিল তাঁর সখ্য।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়ার সার্বক্ষণিক ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে রফিককে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
বাগমারার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়ার ছোট ভাই আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি ডি এম শাফিকুল ইসলাম শাফি। জিয়ার ক্ষমতার দাপটে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন শাফি এবং তাঁর ক্যাডার বাহিনী। গত ১৮ আগস্ট ডি এম শাফি এবং তাঁর বাহিনী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের দেওয়া দলীয় তালিকা অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের জন্য চাপ দেন। ক্যাডাররা একপর্যায়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেস আমিনকে লাঞ্ছিত করেন। ডিলার নিয়োগে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও শাফির ক্যাডাররা কাগজে জোরপূর্বক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সই নেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা শাফি বলেন, ‘একটি মহল বিশেষ উদ্দেশ্যে আমি এবং আমার ভাই ডি এম জিয়া সম্পর্কে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভিডিও এবং ছবি পাওয়া গেছে জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জানান, বহিষ্কৃত রফিক, শাফি এবং তাঁতী দলনেতা নবাব রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডি এম জিয়ার অনুসারী। তাঁরা জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ ব্যাপারে ডি এম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে রফিকের হয়তো কিছুটা সখ্য ছিল, তবে এটি সিরিয়াস কিছু নয়।
উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনেও বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বহিষ্কৃত এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁদের অব্যাহত বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বেসামাল হয়ে পড়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও অসন্তোষ। হামলা, জমি ও বাড়ি দখল, সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, শীর্ষ কয়েকজন নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মসূচিতে তাঁরা সামনের সারিতে থাকছেন। তাই মাছ লুটের ঘটনায় পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রদলের এক নেতাকে তিরস্কারের বদলে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আক্ষেপ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, বহিষ্কারের পরও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁদের অংশগ্রহণে আমরা বিব্রত।
বাগমারায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইস্যু মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কমিটির সভাপতি মনোনয়ন। পুকুরের মাছ লুট, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে উপজেলা আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতা মহব্বত হোসেনকে এই কলেজের সভাপতি করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে যুবদল নেতাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন শাখার তাঁতী দলের যুগ্ম সম্পাদক নবাব হোসেন বাচ্চুর নির্যাতনে শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নবাব। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট নারায়ণ ভবানী (৫৭) নামের চাঁইসাড়া গ্রামের এক ব্যক্তিকে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করেন তিনি। এ ঘটনার পর ওই রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক মেম্বারকে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বছরের ৪ জানুয়ারি প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাগমারার সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টুর সঙ্গে রফিকের ঘনিষ্ঠতা ছিল। জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইকবালের সঙ্গেও ছিল তাঁর সখ্য।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়ার সার্বক্ষণিক ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে রফিককে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
বাগমারার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়ার ছোট ভাই আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি ডি এম শাফিকুল ইসলাম শাফি। জিয়ার ক্ষমতার দাপটে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন শাফি এবং তাঁর ক্যাডার বাহিনী। গত ১৮ আগস্ট ডি এম শাফি এবং তাঁর বাহিনী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের দেওয়া দলীয় তালিকা অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের জন্য চাপ দেন। ক্যাডাররা একপর্যায়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেস আমিনকে লাঞ্ছিত করেন। ডিলার নিয়োগে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও শাফির ক্যাডাররা কাগজে জোরপূর্বক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সই নেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা শাফি বলেন, ‘একটি মহল বিশেষ উদ্দেশ্যে আমি এবং আমার ভাই ডি এম জিয়া সম্পর্কে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভিডিও এবং ছবি পাওয়া গেছে জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জানান, বহিষ্কৃত রফিক, শাফি এবং তাঁতী দলনেতা নবাব রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডি এম জিয়ার অনুসারী। তাঁরা জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ ব্যাপারে ডি এম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে রফিকের হয়তো কিছুটা সখ্য ছিল, তবে এটি সিরিয়াস কিছু নয়।
উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনেও বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।
পর্যটন শহর কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতকে ১৯৯৯ সালে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে সরকার। এ-সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, সৈকতের জোয়ার-ভাটার স্থান থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। এতে দেখা যায়, সাধুর মতো দেখতে এক বৃদ্ধকে জোর করে ধরে চুল কেটে দিচ্ছেন তিন ব্যক্তি। সাধু মানুষটি প্রাণপণ চেষ্টা করেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হন।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জামালপুর গ্রামে মেঘনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয় গত ২২ আগস্ট। এর দুই দিন পরই ২৫ আগস্ট ওই ক্যাম্পে হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা পুলিশের দিকে শতাধিক গুলি ও ককটেল ছোড়ে।
১ ঘণ্টা আগেদোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে