নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।
উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।
উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।
উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।
উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১ ঘণ্টা আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, গাজীপুর-৬ আসনটি নাগরিক ও ভোটারদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা করতে পারত। কিন্তু আজকের রায়ে সেই সম্ভাবনা ব্যর্থ হলো।
হাসান সরকারের চাচাতো ভাই মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমরা আপিল করব এবং গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল করব। সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। জয় আমাদেরই হবে, ইনশা আল্লাহ।’
জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গাজীপুর-৬ আসনটি গাজীপুরবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল। টঙ্গী, গাছা ও হায়দারাবাদের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশন আপিলসহ আইনি পদক্ষেপ নেবে। আমরা সবাই মিলেই গাজীপুর-৬ আসনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করব, ইনশা আল্লাহ।’
গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গাজীপুর একটি জনবহুল শিল্পাঞ্চল। এখানে ছয়টি আসন থাকা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি ছিল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল জনগণভিত্তিক ও যৌক্তিক। আমরা চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়টি সমাধান করা হোক।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাজহারুল আলম বলেন,‘গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল থাকলে এটি দেশের অন্যতম বড় বৈষম্যের উদাহরণ হবে। বাসন মেট্রো থানা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও মানবিক বিবেচনায় গাজীপুর সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কালিয়াকৈরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি মো. হেদায়েত উল্লাহ বলেন, গাজীপুরের জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় ছয়টি আসনই যৌক্তিক ছিল। নতুন আসন বাতিল হলে নাগরিক অংশগ্রহণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গাজীপুর-২-এ আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা এবং গাজীপুর-৬ বাতিলে আমরা দুদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টঙ্গী, গাছা ও পুবাইল এলাকার মানুষ এখন না প্রার্থী পাচ্ছে, না এমপি পাচ্ছে—এটা চরম হতাশার।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, গাজীপুর-৬ আসনটি নাগরিক ও ভোটারদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা করতে পারত। কিন্তু আজকের রায়ে সেই সম্ভাবনা ব্যর্থ হলো।
হাসান সরকারের চাচাতো ভাই মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমরা আপিল করব এবং গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল করব। সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। জয় আমাদেরই হবে, ইনশা আল্লাহ।’
জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গাজীপুর-৬ আসনটি গাজীপুরবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল। টঙ্গী, গাছা ও হায়দারাবাদের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশন আপিলসহ আইনি পদক্ষেপ নেবে। আমরা সবাই মিলেই গাজীপুর-৬ আসনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করব, ইনশা আল্লাহ।’
গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গাজীপুর একটি জনবহুল শিল্পাঞ্চল। এখানে ছয়টি আসন থাকা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি ছিল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল জনগণভিত্তিক ও যৌক্তিক। আমরা চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়টি সমাধান করা হোক।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাজহারুল আলম বলেন,‘গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল থাকলে এটি দেশের অন্যতম বড় বৈষম্যের উদাহরণ হবে। বাসন মেট্রো থানা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও মানবিক বিবেচনায় গাজীপুর সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কালিয়াকৈরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি মো. হেদায়েত উল্লাহ বলেন, গাজীপুরের জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় ছয়টি আসনই যৌক্তিক ছিল। নতুন আসন বাতিল হলে নাগরিক অংশগ্রহণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গাজীপুর-২-এ আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা এবং গাজীপুর-৬ বাতিলে আমরা দুদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টঙ্গী, গাছা ও পুবাইল এলাকার মানুষ এখন না প্রার্থী পাচ্ছে, না এমপি পাচ্ছে—এটা চরম হতাশার।’

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১ ঘণ্টা আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১ ঘণ্টা আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১ ঘণ্টা আগে