Ajker Patrika

বস্তায় মিলল যুবকের দেহাবশেষ, প্রেমিকার মা বাবা ও ভাবি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ১৯: ০৭
চিত্তরঞ্জন পাল। সংগৃহীত
চিত্তরঞ্জন পাল। সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চিত্তরঞ্জন পাল (২৬) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে তানোরের হাবিবনগর এলাকায় শিব নদে কচুরিপানার ভেতরে বস্তাটি পাওয়া যায়। পরনে থাকা লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে তাঁর পরিবার লাশটি শনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের প্রেমিকার মা, বাবা ও ভাবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর প্রেমিকাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত যুবক হাবিবনগর পালপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন পালের ছেলে। ২০ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর বাবার দাবি, প্রেমঘটিত কারণে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—একই গ্রামের স্বপন চন্দ্র পাল (৫৮), তাঁর স্ত্রী ছবি রানী (৫০) ও কাজলী রানী পাল (৩০)। মামলার অন্য তিন আসামি স্বপনের ছেলে সুবোদ পাল (৩০), মেয়ে কুমারী কামনা পাল (২৩) এবং জেলার মোহনপুর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামের মো. রাজু (৪৫)। এঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার কাজলী রানী পাল আসামি কামনা পালের চাচাতো ভাবি।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে কলেজছাত্রী কামনা পালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয় পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে মনোরঞ্জন তাঁর ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে স্বপন পালের বাড়ি যান। তাঁরা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। কামনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে চিত্তরঞ্জনকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক চলতেই থাকে। কামনা নিয়মিত চিঠিও লিখতেন। গত ২৬ এপ্রিল রাতের খাবার পেয়ে মনোরঞ্জনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত ৪টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে মনোরঞ্জনের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি দেখেন, চিত্তরঞ্জনের ঘরের দরজা খোলা, ভেতরে কেউ নেই। তার পর থেকে চিত্তরঞ্জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল থেকে কামনা ও তাঁর ভাই সুবোদকেও এলাকায় দেখা যায়নি। চিত্তরঞ্জন ছেলের ব্যাপারে স্বপন চন্দ্র পালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। স্বপন তাঁকে এলোমেলো জবাব দেন এবং ধমক দেন। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মনোরঞ্জন তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার আসামিরা চিত্তরঞ্জনকে কৌশলে তাঁদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে শিব নদে ফেলে দেন। আজ সকালে শিব নদে বস্তাবন্দী গলিত এই লাশ পাওয়া যায়। পরনের গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন মনোরঞ্জন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘প্রেমঘটিত কারণেই চিত্তরঞ্জনকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’ মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতন কাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট, পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

মোহাম্মদপুরে আলোকচিত্রী ও জিগাতলায় শিক্ষার্থী খুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত