নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রাণনাশের আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর প্রাণনাশের পরিকল্পনা নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার আওয়ামী চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসী-দাঙ্গাবাজ লোক জড়ো হয়েছিল।
গতকাল রাতে গোদাগাড়ী থানায় এই জিডি করা হয়। এদিন সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল প্রথম তাঁর কার্যালয়ে যান এবং প্রথম অফিস করেন। তাঁর সঙ্গে কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা গিয়েছিলেন।
গতকাল উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় যোগ দেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ওমর ফারুক চৌধুরী। আর সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল। তিনি ওমর ফারুককে চ্যালেঞ্জ করেই এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন। এমপি ফারুক সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পরাজিত হন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম তাঁকে সঙ্গে করে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে নিয়ে যাচ্ছিলেন। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের দেখে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ‘এদিকে আসো, এদিকে আসো। সাংবাদিক সাহেবরা এদিকে আসো’ বলে কাছে ডাকেন।
এরপর তিনি বলেন, ‘আজ সমন্বয় মিটিং। এই মিটিংয়ে এই লোকগুলো কারা? এই অবৈধ সমাবেশটা কিসের? আমি ইউএনও সাহেবের কাছে প্রশ্ন করলাম। তাঁকে আমি দুবার রিং করেছি যে এই সমাবেশ হটাও। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই সমাবেশ করা হয়েছে এবং এতে ইউএনও সাহেব ইনভলব কি না আই ডোন্ট নো। বাট তাঁকে আমি দুবার রিকোয়েস্ট করেছি এইগুলোকে হটানোর জন্য।’
সাধারণ জনগণ কি একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে প্রথম দিন তাঁর সঙ্গে আসতে পারে না, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘না। আজকে এখানে মিটিং আছে। জনপ্রতিনিধির সাথে আসতে পারে না। মিটিংয়ের দিনে পারে না।’
ওই সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তারা কেন এসেছেন?’ এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এরা চেয়ারম্যান। শোনো, তোমার প্রবলেম হলো-তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁর জিডিতে বলেছেন, কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি তাঁদের পেশাদারী সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তবে এক সাংবাদিককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে আর কোনো প্রশ্নই করেননি। বরং এক সাংবাদিককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা। তোপের মুখে পড়ে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
এর আগে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশ’ করার সঙ্গে ইউএনওর সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে সংশয় প্রকাশ করেন। তখন তাঁর পাশে ইউএনও দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘উনি যে কথাটা বলেছেন, সেটা পুলিশ তদন্ত করবে। যদি হত্যাচেষ্টার ঘটনা থাকে বা কারও ইনভলবমেন্ট থাকে, অবশ্যই এর বিচার হবে। পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে দিয়ে দিবে। আমার যারা সিনিয়র আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটুকু বলতে পারি যে এমপি মহোদয় একটা জিডি করেছেন। আজ (শুক্রবার) বিজ্ঞ আদালতে জিডির তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রাণনাশের আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর প্রাণনাশের পরিকল্পনা নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার আওয়ামী চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসী-দাঙ্গাবাজ লোক জড়ো হয়েছিল।
গতকাল রাতে গোদাগাড়ী থানায় এই জিডি করা হয়। এদিন সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল প্রথম তাঁর কার্যালয়ে যান এবং প্রথম অফিস করেন। তাঁর সঙ্গে কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা গিয়েছিলেন।
গতকাল উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় যোগ দেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ওমর ফারুক চৌধুরী। আর সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল। তিনি ওমর ফারুককে চ্যালেঞ্জ করেই এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন। এমপি ফারুক সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পরাজিত হন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম তাঁকে সঙ্গে করে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে নিয়ে যাচ্ছিলেন। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের দেখে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ‘এদিকে আসো, এদিকে আসো। সাংবাদিক সাহেবরা এদিকে আসো’ বলে কাছে ডাকেন।
এরপর তিনি বলেন, ‘আজ সমন্বয় মিটিং। এই মিটিংয়ে এই লোকগুলো কারা? এই অবৈধ সমাবেশটা কিসের? আমি ইউএনও সাহেবের কাছে প্রশ্ন করলাম। তাঁকে আমি দুবার রিং করেছি যে এই সমাবেশ হটাও। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই সমাবেশ করা হয়েছে এবং এতে ইউএনও সাহেব ইনভলব কি না আই ডোন্ট নো। বাট তাঁকে আমি দুবার রিকোয়েস্ট করেছি এইগুলোকে হটানোর জন্য।’
সাধারণ জনগণ কি একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে প্রথম দিন তাঁর সঙ্গে আসতে পারে না, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘না। আজকে এখানে মিটিং আছে। জনপ্রতিনিধির সাথে আসতে পারে না। মিটিংয়ের দিনে পারে না।’
ওই সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তারা কেন এসেছেন?’ এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এরা চেয়ারম্যান। শোনো, তোমার প্রবলেম হলো-তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁর জিডিতে বলেছেন, কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি তাঁদের পেশাদারী সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তবে এক সাংবাদিককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে আর কোনো প্রশ্নই করেননি। বরং এক সাংবাদিককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা। তোপের মুখে পড়ে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
এর আগে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশ’ করার সঙ্গে ইউএনওর সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে সংশয় প্রকাশ করেন। তখন তাঁর পাশে ইউএনও দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘উনি যে কথাটা বলেছেন, সেটা পুলিশ তদন্ত করবে। যদি হত্যাচেষ্টার ঘটনা থাকে বা কারও ইনভলবমেন্ট থাকে, অবশ্যই এর বিচার হবে। পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে দিয়ে দিবে। আমার যারা সিনিয়র আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটুকু বলতে পারি যে এমপি মহোদয় একটা জিডি করেছেন। আজ (শুক্রবার) বিজ্ঞ আদালতে জিডির তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
২৩ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
৩৪ মিনিট আগেনাটোরের নলডাঙ্গায় একটি হোটেলে মরা মুরগি রাখার দায়ে হোটেলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে