Ajker Patrika

ছেলেদের হলেও জয় দিয়ে ভোটের হিসাব শুরু জাহিদ, আম্মার, সালমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের সব কয়টি হলেই শীর্ষ তিন পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সালাহউদ্দিন আম্মার ও সালমান সাব্বির। সে ধারাবাহিকতা দেখা গেল ছেলেদের শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হলের ফলাফলেও।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে শেরে বাংলা হলের ফল ঘোষণা করা হয়। এতে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পান ৪৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছাত্রদলের প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবির পান মাত্র ৯৭ ভোট।

জিএস পদে আধিপাত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার পান ৪১৯ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রশিবিরের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৩৩ ভোট।

এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের প্যানেলের সালমান সাব্বির পেয়েছেন ২৮২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২১২ ভোট।

এ পর্যন্ত পাওয়া মোট ৭ কেন্দ্রে ভিপি পদে জাহিদ ৪ হাজার ৭৪৬, আবির ১ হাজার ৩০৩, জিএস পদে আম্মার ৪ হাজার ৫০৫, ফাহিম রেজা ২ হাজার ৪৮৪ এবং এজিএস পদে সালমান ২ হাজার ৫৭৭ ও এষা ১ হাজার ৯১৯ ভোট পেয়েছেন।

সাতটি কেন্দ্রেই এ পর্যন্ত জাহিদ, আম্মার ও সালমান সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবির, ফাহিম ও এষা।

রাবিতে মোট হলের সংখ্যা ১৭টি। এরমধ্যে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের ১১টি হল। এখনও ছেলেদের ১০টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা বাকি। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওএমআর মেশিনে ব্যালট গণনার পর ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভাসানী সেতু: ১৮ ইঞ্চি করে ফাঁকা রেলিং আতঙ্কে পথচারীরা

  • চলতি বছরের ২০ আগস্ট এটি উদ্বোধন করা হয়
  • গার্ডারের সংযোগস্থলগুলোর রেলিংয়ে ফাঁকা রয়েছে
  • সামান্য অসাবধানতায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিং। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিং। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতুর রেলিংয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে ফাঁকা থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সেতু দিয়ে হেঁটে চলাচলকারীরা। চলতি বছরের ২০ আগস্ট সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পরপরই সেতু দেখতে আসেন স্থানীয়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাঁদের কাছে সেতুটি এখন রীতিমতো দর্শনীয় স্থান তথা বিনোদনকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত সর্ববৃহৎ এ সেতুতে ব্যয় হয় ৯২৫ কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ দশমিক ৬ মিটার। অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারী সংযোগ সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে মওলানা ভাসানী সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুপাশে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ ফুট প্রস্থের পায়ে চলার পথ। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেওয়া হয়েছে রেলিং। আর এ রেলিংয়ে আছে গার্ডারের ৬৪টি সংযোগস্থল। সংযোগস্থলগুলোর রেলিংয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে ফাঁকা। মেপে দেখা গেছে, ফাঁকা স্থানগুলোর দূরত্ব ১৫ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত। সেখান দিয়ে চলাচলের সময় সামান্য অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পথচারীদের অনেকে আতঙ্কে থাকেন।

দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা বলছেন, দিনের বেলায় সেতুর ফাঁকাগুলো দেখা গেলেও রাতে বোঝার উপায় থাকে না। এ দিকে সেতুতে চুরির ঘটনার পর এখনো সব বাতি জ্বলছে না। বিদ্যুৎ চলে গেলে আরও বিদ্ঘুটে অন্ধকার নেমে আসে সেতুজুড়ে। তখন মনে হয় সেতুর ৬৪টি সংযোগস্থলই যেন একেকটি মরণফাঁদ। তবে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেতুটি ওই ডিজাইনেই তৈরি করা হয়েছে।

বগুড়া থেকে সেতু দেখতে এসেছেন মো. আলমগীর হোসাইন। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে। ওই দম্পতি বলেন, ‘সেতুতে আনন্দ করতে এসে হাত ছেড়ে দিতে পারছি না ৫ বছর বয়সের মেয়ে আয়াতের। যদি কোনো কারণে ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে নদীতে পড়ে যায়, এই ভয়ে থাকি...।’

আরেক দর্শনার্থী মোছা. নার্গিস বেগম এসেছেন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থেকে। তিনিও এসেছেন তাঁর স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে। এ বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আরও কয়েকবার এ সেতুতে ঘুরতে এসেছি। এখানে আসার কথা মনে হলেই এ ফাঁকা স্থানগুলোর কথা মনে হয়। তখন গা শিউরে ওঠে। খুবই ভয় হয়।’

আরেক মা শিরিন আক্তার দুই মেয়ের হাত ধরে রেলিংঘেঁষে হাঁটছিলেন। তাঁর বাড়ি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেলিং ধরে সবাই হাঁটে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা। আর সেই রেলিংয়ের মাঝে মাঝে ফাঁকা রয়েছে। বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিতে পারি না। এরপরও সব সময় থাকতে হয় আতঙ্কে। দুর্ঘটনা এড়াতে ফাঁকা এ স্থানগুলো দ্রুত বন্ধের জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তপন চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে আমি কোনো ঝুঁকি দেখছি না। কারণ আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, সেটা আপনি দেখে চলবেন না? তা ছাড়া এটা কোনো খেলা বা আনন্দের জায়গা নয়।’ এ সেতুতে কতটি এ ধরনের ফাঁকা স্থান আছে এবং ফাঁকা স্থানগুলোর দূরত্ব কত ইঞ্চি হতে পারে; সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই জরুরি। আমরাও এটি নিয়ে ভাবছি। সেতুর সৌন্দর্য ঠিক রাখতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে আর দেরি নয়। কারণ সৌন্দর্যের আগে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢামেক হাসপাতাল: পুরোনো বার্ন ইউনিটে হবে প্রিজন অ্যানেক্স

  • কারাবন্দী রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার ব্যবস্থা
  • কম জনবলে নিরাপত্তা বজায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো বার্ন ইউনিট ভবনে আলাদাভাবে কারাবন্দী রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করছে সরকার। কারাগারে আটক হাজতি ও কয়েদিদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে ভবনটির ছাদে ‘প্রিজন অ্যানেক্স’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলার ছাদে প্রিজন অ্যানেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও কারা-অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নকশা চূড়ান্ত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তরকে বলা হয়।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছয়টি কক্ষে প্রিজন অ্যানেক্স রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বন্দীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে পারলে তা সহায়ক হবে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভবনে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সেখানে অনেক বন্দীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে বন্দী রোগীদের শয্যার সংকটও কেটে যাবে। এক স্থানে রেখে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারাগারে আটকদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ সব হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মতামত তুলে ধরে বলেন, ভবনটির যথেষ্ট ধারণক্ষমতা রয়েছে। বর্ধিত অংশ তৈরি করলে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি প্রিজন অ্যানেক্স তৈরিতে বিশেষ নকশার জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তরকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকের সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সভায় বলেন, একজন বন্দী অসুস্থ হলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় কারা হাসপাতালে। তবে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি রোগ বা হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন। তিনি বলেন, কারা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা প্রয়োজনে প্রিজন অ্যানেক্সে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, একজন বন্দী রোগীকে ভর্তির পর দুজন কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। একজন ইনচার্জ থাকেন। এ ছাড়া পুলিশও মোতায়েন দরকার হয়। সব বন্দীকে একটি স্থানে চিকিৎসা দেওয়া গেলে কম লোকবলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে বন্দীর পলায়ন এবং অনৈতিক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রিজন অ্যানেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের যথাযথ চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা নির্ধারিত রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য এটি করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধ পথে ইতালিযাত্রা: দালাল ধরে ৩৫ যুবক নিখোঁজ

  • হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন তিন-চার মাস আগে
  • লিবিয়ায় অবস্থানরত হাসান আশরাফ নামের এক ব্যক্তি প্রথমে তাঁদের ত্রিপোলিতে নিয়ে যান
  • দুই সপ্তাহ আগে এসব যুবক ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করে নিখোঁজ রয়েছেন
সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ 
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ গ্রামের নিখোঁজ সাব্বিরের ছবি হাতে তাঁর মা, ভাইবোনসহ স্বজনদের আহাজারি (বাঁয়ে) এবং একই গ্রামের বড়হাঁটি এলাকার হবিবুর তালুকদারের ছবি হাতে তাঁর মা, ছোট ভাইবোনসহ স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ গ্রামের নিখোঁজ সাব্বিরের ছবি হাতে তাঁর মা, ভাইবোনসহ স্বজনদের আহাজারি (বাঁয়ে) এবং একই গ্রামের বড়হাঁটি এলাকার হবিবুর তালুকদারের ছবি হাতে তাঁর মা, ছোট ভাইবোনসহ স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ যুবক অবৈধভাবে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছেড়েছেন তিন-চার মাস আগে। মানব পাচার চক্র তাঁদের ইউরোপের দেশটিতে পাঠানোর জন্য প্রথমে লিবিয়ার উপকূলীয় শহর ত্রিপোলিতে নিয়ে যায়। দুই সপ্তাহ আগে সেখান থেকে এসব যুবক নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করে নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ যুবকদের একাধিক পরিবারের অভিযোগ, মানব পাচার চক্র ওই যুবকদের ১ অক্টোবর ত্রিপোলি থেকে ইতালির উদ্দেশে নৌকায় করে পাঠানোর পর আর খোঁজ মিলছে না। স্বজনেরা তাঁদের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগও করতে পারছেন না। তাঁরা কোথায় আছেন, ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে তাঁদের পরিবারের স্বজনেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এদিকে ত্রিপোলির উপকূলীয় অঞ্চল থেকে গত দুই সপ্তাহে ৬১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধারের খবরে হবিগঞ্জের ওই ৩৫ যুবকের পরিবারে আহাজারি চলছে।

নিখোঁজ যুবকদের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা তলাবপাড়া মহল্লার আলফাজ মিয়া রনি, মোজাক্কির আহমেদ, সিয়াম জমাদার ও মিজান আহমেদ; শ্রীমঙ্গলকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাবু ও জুবাঈদ মিয়া। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশার ইমন ও পারভেজ, পশ্চিমভাগের রফিকুল ইসলাম পবলু, হাবিবুর রহমান, সাব্বির, মাহি ওরফে রাহুল, উজ্জ্বল ও পিন্টু এবং নোয়াগড় গ্রামের মো. মোক্তাকির ও রবিউল। নিখোঁজ অন্য যুবকদের বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগর, বানিয়াচংয়ের উত্তর সাঙ্গরসহ বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে পশ্চিমভাগ গ্রামের ৬ জন রয়েছেন।

জানা গেছে, নিখোঁজ প্রত্যেক যুবককে ১৭-১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধ পথে নৌকাযোগে ইতালিতে পাঠান হাসান আশরাফ ওরফে সামায়ূন মোল্লা। তাঁর বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে। তিনি লিবিয়ায় বসবাস করছেন। হাসান দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে যুবকদের অবৈধ পথে ইতালিতে পাঠিয়ে আসছেন। এ জন্য তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৭-১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তরুণদের ইতালি পাঠাতে আগ্রহী করে তুলতে হাসান এলাকায় মানব পাচার চক্র গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমভাগ গ্রামের মিজানুর রহমান চৌধুরী, রোমান মিয়া, মোস্তাকিম তালুকদার ও শাহ মোকাররম। তাঁরা ইতালিতে যেতে আগ্রহী তরুণদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে হাসানের কাছে দিতেন।

আজমিরীগঞ্জের নোয়াগড় গ্রামের নিখোঁজ রবিউলের বাবা বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে হাসান প্রথমে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়ায় নিয়ে যান। পরে আরও ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলেকে ইতালিতে পাঠাবেন বলে চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী আমি সব টাকা তাঁর লোকজনের কাছে দিয়েছি। ১ অক্টোবর আমাদের জানানো হয়েছিল, আমার ছেলেকে নৌকাযোগে ইতালিতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এর পর থেকে আমার ছেলের কোনো খোঁজ নেই। চিন্তা হচ্ছে, ছেলেটা কোন পরিস্থিতিতে আছে।’

একই গ্রামের নিখোঁজ মোক্তাকির মিয়ার ভাই মহসিন আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাই চার মাস আগে হাসানের মাধ্যমে লিবিয়া যান। সেখান থেকে ১ অক্টোবর নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু ১৫ দিন ধরে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। হাসান জানিয়েছেন, আমার ভাই বেঁচে আছেন। কিন্তু আমরা ভাইয়ের কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।’

পশ্চিমভাগ গ্রামের নিখোঁজ সাব্বিরের বাবা আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে হাসান আশরাফের মাধ্যমে আমার ছেলেকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছি। পরে তাঁর কথা অনুযায়ী সাব্বিরকে ইতালি পাঠানোর জন্য অনেক কষ্ট করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং বাড়ির জায়গা-জমি ও গরু-ছাগল বিক্রি করে হাসানকে মোট ১৮ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখন ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’

নিখোঁজ আলফাজ মিয়া রনির বড় ভাই মনির মিয়া বলেন, ‘ইতালির উদ্দেশে ১ অক্টোবর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে চারটি নৌকা ছেড়ে যায়। এর মধ্যে একটি নৌকায় ছিলেন ৭০ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক ছিলেন। সেই নৌকাটিই নিখোঁজ রয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে হাসান আশরাফের সঙ্গে মেসেঞ্জারে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করে বলেন, ‘এটা সত্য যে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে তাঁরা কেউ মারা যাননি। তাঁরা হয়তো কোনো দেশের জাহাজে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আটক আছেন। আমি তাঁদের অবস্থান জানার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করি, শিগগির তাঁদের অবস্থান জানা যাবে।’

আজমিরীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবিড় রঞ্জন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে কয়েকজন তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। যদিও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ সদস্যদের পরিবার থেকে কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ পাইনি। পরিবারের লোকজন যদি আমাদের কাছে আসেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাকসু নির্বাচন: জ্জোহা হলেও শিবির-ঐক্য এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী সালমান সাব্বির ও আধিপাত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। আগে ঘোষণা করা অন্য ১০ হলের মতো এখানেও পাত্তা পাননি ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থীরা।

ভোররাত ৪টায় ঘোষণা করা শহীদ শামুজ্জোহা হলের ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৬৫০ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রদলের প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ১৭০টি ভোট। এ পর্যন্ত জাহিদ মোট ৭ হাজার ২৬৫ ভোট ও আবির ১ হাজার ৯৩৫টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে এ হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬০০ ভোট। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। জিএস পদে ১১ হলে এ পর্যন্ত আম্মার ৬ হাজার ৯০৯ ও ফাহিম রেজা ৩ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সংসদের এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সালমান সাব্বির এ হলে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। আর ছাত্রদলের ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। এ পর্যন্ত ১১ হলের ফলাফলে এষা পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৪ ভোট। আর সালমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট।

রাবিতে মোট হলের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের ১১টি হল। এখনও ছেলেদের ৬টি হলের ফল ঘোষণা বাকি। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত