নাচোল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ দিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৭ জন। ফলে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, জনবল সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৭ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জন কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে। সার্জারি ডাক্তার ও অপারেশন থিয়েটার না থাকায় বছরের পর বছর স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। ওয়ার্ডে বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক বাতি ও বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে নতুন করে জ্বালানি তেলের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি স্থানান্তরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোবাসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালের বিদ্যমান সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০২৪ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের উন্নয়ন ও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিকই; কিন্তু প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক পদায়ন না করায় নাচোলবাসীর চিকিৎসাসেবার কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
সেবা নিতে আসা রোগী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এখানে চিকিৎসক-সংকট থাকার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দিয়েছে। এ অবস্থা চললে আমরা গরিব মানুষ কীভাবে বাঁচব।’ জরুরি বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার রোগী নিয়ে আসেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় চিকিৎসকেরা রামেকে রেফার্ড করেছেন। এখন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাব। কিন্তু শুনছি, তেল না থাকার কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই বন্ধ রয়েছে। বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে এখন নিয়ে যেতে হবে।’
জানতে চাইলে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স হোসেন পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহ বাবদ ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও বকেয়া পরিশোধ না করায় তেল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে সদ্য যোগদান করা নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে চেষ্টা চালিয়ে যাব। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করার বিষয়ে চেষ্টা চলছে। আর চিকিৎসক-সংকট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলোর সমাধানের উদ্যোগ নেবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ দিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৭ জন। ফলে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, জনবল সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৭ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জন কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে। সার্জারি ডাক্তার ও অপারেশন থিয়েটার না থাকায় বছরের পর বছর স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। ওয়ার্ডে বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক বাতি ও বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে নতুন করে জ্বালানি তেলের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি স্থানান্তরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোবাসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালের বিদ্যমান সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০২৪ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের উন্নয়ন ও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিকই; কিন্তু প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক পদায়ন না করায় নাচোলবাসীর চিকিৎসাসেবার কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
সেবা নিতে আসা রোগী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এখানে চিকিৎসক-সংকট থাকার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দিয়েছে। এ অবস্থা চললে আমরা গরিব মানুষ কীভাবে বাঁচব।’ জরুরি বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার রোগী নিয়ে আসেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় চিকিৎসকেরা রামেকে রেফার্ড করেছেন। এখন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাব। কিন্তু শুনছি, তেল না থাকার কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই বন্ধ রয়েছে। বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে এখন নিয়ে যেতে হবে।’
জানতে চাইলে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স হোসেন পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহ বাবদ ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও বকেয়া পরিশোধ না করায় তেল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে সদ্য যোগদান করা নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে চেষ্টা চালিয়ে যাব। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করার বিষয়ে চেষ্টা চলছে। আর চিকিৎসক-সংকট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলোর সমাধানের উদ্যোগ নেবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের ভেতর বসানো হয়েছে সিসা গলানোর অবৈধ কারখানা। সেখানে পরিত্যক্ত ব্যাটারির অংশগুলো মাটির বড় বড় চুলায় পুড়িয়ে তরল সিসা সংগ্রহ করে জমাট বাঁধানো হয়। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে ভোররাত পর্যন্ত চলা...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুরে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) মসৃণ উড়ালসড়ক সিঙ্গাপুরের সড়কে চলার আমেজ দিলেও নিচের অংশ রয়ে গেছে আগের চেহারায়। খানাখন্দে ভরা নিচের অংশে হেলেদুলে চলে যানবাহন। বেহাল সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেহত্যা মামলাটি চলছে ৩৫ বছর ধরে। এর মধ্যে ১৮ বছর আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাদী মারা গেছেন ২০০৯ সালে। রায়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে পরপর আট দফায়। কিন্তু রায় আর হয়নি। ভুক্তভোগীর পরিবারের অপেক্ষার পালাও শেষ হয় না। মামলায় রায়ের তারিখ উল্টে আবার যুক্তিতর্কের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বাজারের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন পাশের জুড়ী নদীতে ফেলেন ময়লা-আবর্জনা। এসব বর্জ্য কোনো বাধা ছাড়াই গিয়ে পড়ছে দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরে। এতে যেমন নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, তেমনি বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে হাওর।
৬ ঘণ্টা আগে