নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আম মণ হিসাবে কেনাবেচা করা যাবে না। কেজি দরে আম কেনাবেচা করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী অঞ্চলে এক মণ আম কেনার সময় আড়তদারেরা ৪২ থেকে ৫৫ কেজি পর্যন্ত আম নিয়ে থাকেন। তবে চাষিদের ৪০ কেজি বা এক মণেরই দাম দেন। বিভিন্ন সময় এই ‘ঢলন’ প্রথা থামাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর হয়নি। তবে এবার কেজি হিসাবে আমের কেনাবেচা হলে ঢলন নেওয়া বন্ধ হবে বলে প্রশাসন মনে করছে।
এবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে কেজিপ্রতি দরে আম কেনাবেচা করার সাধারণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
রাজশাহীতে বর্তমানে আমের বাজার জমজমাট। এখনো বাজারে প্রতি মণে অতিরিক্ত আম নেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সব জায়গায় একই ওজনে আম বিক্রি পদ্ধতি প্রচলনের জন্য গতকাল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের, শিবগঞ্জ ও কানসাটের আমচাষি, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বিভাগীয় কমিশনারে কার্যালয়ে আসেন এবং বিষয়টি আলোচনা করেন। তাঁরা সবাই বিভাগের সব জেলায় যেন একই পদ্ধতিতে আম কেনাবেচা করা হয়, তার পক্ষে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভাগের সব জেলার বিশেষ করে নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম-সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত আমের চাহিদা সারা দেশে বিস্তৃত। এই অঞ্চলের আমের গুণগত মান অত্যন্ত উন্নত হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আমের কেনাবেচার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে আমচাষিরা ওজন বা পরিমাপগত কিছু সমস্যায় আছেন। আমচাষিরা যখন আড়তে আম বিক্রি করতে যান, তখন আড়তদারেরা ৪২ থেকে ৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম কিনে থাকেন। আম যেহেতু পচনশীল পণ্য, সেহেতু কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে আম বিক্রি করতে বাধ্য থাকেন। এতে কৃষকেরা প্রায়শই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বা হচ্ছেন।
এ জন্য অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত বিভিন্ন জেলার আমচাষি, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা খোলামেলা আলোচনা করেন। কৃষকেরা একই ক্যারেটে বিভিন্ন আকারের আম সাজিয়ে বিক্রি করে থাকেন বলে কেউ কেউ জানান। সভায় আম ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা একটি কমিশন ঠিক করার প্রস্তাব করেন। আলোচনায় বিভিন্নজন তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দেন। তবে সর্বসম্মতক্রমে কেজিপ্রতি দরে আম কেনাবেচার পক্ষে মতামত দেন।
আলোচনা শেষে সভায় সর্বসম্মতভাবে জাত, গ্রেড ও গুণগত মান বিবেচনায় আম প্রতি কেজি দরে খুচরা কিংবা পাইকারি যেকোনো পর্যায়ে কেনাবেচা করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আড়তদারেরা কেনাবেচার কোনো পর্যায়েই কোনোরূপ কমিশন পাবেন না।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত শুক্রবার (৬ জুন) থেকে রাজশাহী বিভাগের সব জায়গায় একযোগে বাস্তবায়িত হবে। সভার এই সিদ্ধান্তগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সম্মিলিতভাবে সবাই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন এবং যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ করা হবে।
রাজশাহী বিভাগে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আম মণ হিসাবে কেনাবেচা করা যাবে না। কেজি দরে আম কেনাবেচা করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী অঞ্চলে এক মণ আম কেনার সময় আড়তদারেরা ৪২ থেকে ৫৫ কেজি পর্যন্ত আম নিয়ে থাকেন। তবে চাষিদের ৪০ কেজি বা এক মণেরই দাম দেন। বিভিন্ন সময় এই ‘ঢলন’ প্রথা থামাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর হয়নি। তবে এবার কেজি হিসাবে আমের কেনাবেচা হলে ঢলন নেওয়া বন্ধ হবে বলে প্রশাসন মনে করছে।
এবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে কেজিপ্রতি দরে আম কেনাবেচা করার সাধারণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
রাজশাহীতে বর্তমানে আমের বাজার জমজমাট। এখনো বাজারে প্রতি মণে অতিরিক্ত আম নেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সব জায়গায় একই ওজনে আম বিক্রি পদ্ধতি প্রচলনের জন্য গতকাল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের, শিবগঞ্জ ও কানসাটের আমচাষি, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বিভাগীয় কমিশনারে কার্যালয়ে আসেন এবং বিষয়টি আলোচনা করেন। তাঁরা সবাই বিভাগের সব জেলায় যেন একই পদ্ধতিতে আম কেনাবেচা করা হয়, তার পক্ষে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভাগের সব জেলার বিশেষ করে নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম-সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত আমের চাহিদা সারা দেশে বিস্তৃত। এই অঞ্চলের আমের গুণগত মান অত্যন্ত উন্নত হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আমের কেনাবেচার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে আমচাষিরা ওজন বা পরিমাপগত কিছু সমস্যায় আছেন। আমচাষিরা যখন আড়তে আম বিক্রি করতে যান, তখন আড়তদারেরা ৪২ থেকে ৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম কিনে থাকেন। আম যেহেতু পচনশীল পণ্য, সেহেতু কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে আম বিক্রি করতে বাধ্য থাকেন। এতে কৃষকেরা প্রায়শই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বা হচ্ছেন।
এ জন্য অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত বিভিন্ন জেলার আমচাষি, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা খোলামেলা আলোচনা করেন। কৃষকেরা একই ক্যারেটে বিভিন্ন আকারের আম সাজিয়ে বিক্রি করে থাকেন বলে কেউ কেউ জানান। সভায় আম ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা একটি কমিশন ঠিক করার প্রস্তাব করেন। আলোচনায় বিভিন্নজন তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দেন। তবে সর্বসম্মতক্রমে কেজিপ্রতি দরে আম কেনাবেচার পক্ষে মতামত দেন।
আলোচনা শেষে সভায় সর্বসম্মতভাবে জাত, গ্রেড ও গুণগত মান বিবেচনায় আম প্রতি কেজি দরে খুচরা কিংবা পাইকারি যেকোনো পর্যায়ে কেনাবেচা করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আড়তদারেরা কেনাবেচার কোনো পর্যায়েই কোনোরূপ কমিশন পাবেন না।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত শুক্রবার (৬ জুন) থেকে রাজশাহী বিভাগের সব জায়গায় একযোগে বাস্তবায়িত হবে। সভার এই সিদ্ধান্তগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সম্মিলিতভাবে সবাই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন এবং যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ করা হবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা দায়ী বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন করেছেন।
৯ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া এলাকার রসুলপুরে ৭ দিন ধরে শতাধিক বাড়িতে নেই গ্যাস। এই এলাকায় শিশু, বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষসহ কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। ফলে গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা; বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস অফিসে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
১০ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে একটি পুরোনো মূর্তি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করে বিজিবির রাজশাহীর ব্যাটালিয়ন-১-এর একটি দল।
১৩ মিনিট আগেপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় প্রায় ৪ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাথর ও অন্যান্য রেলওয়ে সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে এ টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
১৫ মিনিট আগে