আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, স্টারমারের এই সফর হচ্ছে এমন সময়ে—যার কয়েক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউরোপ সফরের সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তি সিইটিএ (Comprehensive Economic and Trade Agreement) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই সফর। এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু একটা কাগজ নয়, এটা প্রবৃদ্ধির জন্য একধরনের লঞ্চপ্যাড।’
তবে প্রবৃদ্ধির কথা বললেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতীয়দের জন্য ভিসা ছাড় দিতে নারাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ভারতকে ভিসার নিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না। ভারতের মাটিতে নামার আগেই তিনি এ কথা বলেন।
তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ধীর গতির অর্থনীতিকে চাঙা করা। কিয়ার স্টারমার বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিশাল সুযোগ আছে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারতীয় কর্মী বা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার নতুন কোনো পথ খোলার পরিকল্পনা নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এখানে আসল বিষয় ভিসা নয়। আসল বিষয় হলো ব্যবসা থেকে ব্যবসায় সম্পর্ক, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান আর সমৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে আসা।’
দুই দেশ এখন বৈশ্বিক পরিবর্তনের সময় পার করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন বাস্তবতায় ভারত ও যুক্তরাজ্য নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে। এই কারণেই মুম্বাই সফরকে ডাউনিং স্ট্রিট ‘দুদিনের বাণিজ্য মিশন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাণিজ্য ও ব্যবসা মন্ত্রী পিটার কাইল এবং বিনিয়োগমন্ত্রী জেসন স্টকউড।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সফরে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আলোচনায় প্রযুক্তি অংশীদারত্ব ও ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়া টেকনোলজি সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মোদির ইউরোপ সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছিল। তখন ‘ভিশন—২০৩৫’ নামে ১০ বছরের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যেখানে বাণিজ্য, জলবায়ু, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সবকিছু অন্তর্ভুক্ত।
স্টারমার ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত নিয়ে দলের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেন। কাশ্মীর ও পাকিস্তান ইস্যুতে লেবারের আগের অবস্থানের কারণে ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুক্তরাজ্যে সক্রিয় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্পদের নিরাপত্তা। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বাণিজ্যচুক্তি ও ভিশন ২০৩৫ উভয় পক্ষের জন্য সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার মোদি ও স্টারমার মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টে মূল বক্তৃতা দেবেন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিয়েছে। তবে এর প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানির মাত্র ৪৫ শতাংশের (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ওপর। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জুতা, মাছ, গাড়িসহ নানা পণ্য। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের জন্য বড় সাফল্য এসেছে অ্যালকোহলিক পানীয় খাতে। স্কটিশ হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং ১০ বছরের মধ্যে তা আরও কমে ৪০ শতাংশে পৌঁছাবে। স্কটল্যান্ড বিষয়ক সচিব ডগলাস আলেকজান্ডার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ বছরের ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের হুইস্কি শিল্পের জন্য দারুণ খবর। তবে চুক্তি কার্যকর করাই এখন আসল দায়িত্ব।’
তবে এই বাণিজ্যচুক্তি এখনো কার্যকর হয়নি। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন। সবকিছু ঠিক থাকলেও ২০২৬ সালের শুরুর আগে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা করণ বিলিমোরিয়া সফরকে কেবল প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবসম্মত মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ব্যবসায়ে সিরিয়াস। আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চাই।’ তাঁর আশা, আগামী পাঁচ বছরে ভারত-যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৪.১ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৯.১৪ বিলিয়ন ডলার)।
ভারত বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ১১ তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। দীর্ঘ মেয়াদে এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে, অর্থাৎ বার্ষিক ৪.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। তবে স্টারমার এই চুক্তিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাচ্ছেন। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ৬০ শতাংশ বাড়বে। মুম্বাই পৌঁছে নিজের দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে স্টারমার লিখেছেন, তিনি একটি মিশনে নেমেছেন, যা হলো ‘নিজের দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।’
লেবার সরকার নিজ দেশে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। কম উৎপাদনশীলতা, বিপুল জাতীয় ঋণ আর দুর্বল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসনেও কঠোরতা এনেছে তারা। বিশেষ করে দক্ষ ও বৈধ কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নানা নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। কনজারভেটিভ ও রিফর্ম ইউকে পার্টির চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি দক্ষ কর্মীর ভিসা পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল (ইউকেআইবিসি) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘অন্যান্য দেশও একই দক্ষ জনশক্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে। তাই খোলামেলা নীতির ধারণা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।’ সংস্থাটির মতে, ‘সুষম ও পূর্বানুমেয় অভিবাসন কাঠামো থাকা দরকার, যাতে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন খাতে প্রতিভাবান জনশক্তি যুক্তরাজ্যে আসতে পারে।’
স্টারমারের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিবিআই, রোলস রয়েস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বার্কলেস, ন্যাটওয়েস্ট, এইচএসবিসি, অ্যালকোহল কোম্পানি ডায়াজিও, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আরাপ এবং টেলিকম কোম্পানি বিটি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, স্টারমারের এই সফর হচ্ছে এমন সময়ে—যার কয়েক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউরোপ সফরের সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তি সিইটিএ (Comprehensive Economic and Trade Agreement) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই সফর। এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু একটা কাগজ নয়, এটা প্রবৃদ্ধির জন্য একধরনের লঞ্চপ্যাড।’
তবে প্রবৃদ্ধির কথা বললেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতীয়দের জন্য ভিসা ছাড় দিতে নারাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ভারতকে ভিসার নিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না। ভারতের মাটিতে নামার আগেই তিনি এ কথা বলেন।
তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ধীর গতির অর্থনীতিকে চাঙা করা। কিয়ার স্টারমার বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিশাল সুযোগ আছে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারতীয় কর্মী বা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার নতুন কোনো পথ খোলার পরিকল্পনা নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এখানে আসল বিষয় ভিসা নয়। আসল বিষয় হলো ব্যবসা থেকে ব্যবসায় সম্পর্ক, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান আর সমৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে আসা।’
দুই দেশ এখন বৈশ্বিক পরিবর্তনের সময় পার করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন বাস্তবতায় ভারত ও যুক্তরাজ্য নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে। এই কারণেই মুম্বাই সফরকে ডাউনিং স্ট্রিট ‘দুদিনের বাণিজ্য মিশন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাণিজ্য ও ব্যবসা মন্ত্রী পিটার কাইল এবং বিনিয়োগমন্ত্রী জেসন স্টকউড।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সফরে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আলোচনায় প্রযুক্তি অংশীদারত্ব ও ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়া টেকনোলজি সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মোদির ইউরোপ সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছিল। তখন ‘ভিশন—২০৩৫’ নামে ১০ বছরের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যেখানে বাণিজ্য, জলবায়ু, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সবকিছু অন্তর্ভুক্ত।
স্টারমার ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত নিয়ে দলের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেন। কাশ্মীর ও পাকিস্তান ইস্যুতে লেবারের আগের অবস্থানের কারণে ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুক্তরাজ্যে সক্রিয় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্পদের নিরাপত্তা। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বাণিজ্যচুক্তি ও ভিশন ২০৩৫ উভয় পক্ষের জন্য সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার মোদি ও স্টারমার মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টে মূল বক্তৃতা দেবেন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিয়েছে। তবে এর প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানির মাত্র ৪৫ শতাংশের (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ওপর। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জুতা, মাছ, গাড়িসহ নানা পণ্য। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের জন্য বড় সাফল্য এসেছে অ্যালকোহলিক পানীয় খাতে। স্কটিশ হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং ১০ বছরের মধ্যে তা আরও কমে ৪০ শতাংশে পৌঁছাবে। স্কটল্যান্ড বিষয়ক সচিব ডগলাস আলেকজান্ডার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ বছরের ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের হুইস্কি শিল্পের জন্য দারুণ খবর। তবে চুক্তি কার্যকর করাই এখন আসল দায়িত্ব।’
তবে এই বাণিজ্যচুক্তি এখনো কার্যকর হয়নি। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন। সবকিছু ঠিক থাকলেও ২০২৬ সালের শুরুর আগে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা করণ বিলিমোরিয়া সফরকে কেবল প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবসম্মত মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ব্যবসায়ে সিরিয়াস। আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চাই।’ তাঁর আশা, আগামী পাঁচ বছরে ভারত-যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৪.১ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৯.১৪ বিলিয়ন ডলার)।
ভারত বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ১১ তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। দীর্ঘ মেয়াদে এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে, অর্থাৎ বার্ষিক ৪.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। তবে স্টারমার এই চুক্তিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাচ্ছেন। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ৬০ শতাংশ বাড়বে। মুম্বাই পৌঁছে নিজের দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে স্টারমার লিখেছেন, তিনি একটি মিশনে নেমেছেন, যা হলো ‘নিজের দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।’
লেবার সরকার নিজ দেশে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। কম উৎপাদনশীলতা, বিপুল জাতীয় ঋণ আর দুর্বল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসনেও কঠোরতা এনেছে তারা। বিশেষ করে দক্ষ ও বৈধ কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নানা নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। কনজারভেটিভ ও রিফর্ম ইউকে পার্টির চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি দক্ষ কর্মীর ভিসা পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল (ইউকেআইবিসি) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘অন্যান্য দেশও একই দক্ষ জনশক্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে। তাই খোলামেলা নীতির ধারণা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।’ সংস্থাটির মতে, ‘সুষম ও পূর্বানুমেয় অভিবাসন কাঠামো থাকা দরকার, যাতে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন খাতে প্রতিভাবান জনশক্তি যুক্তরাজ্যে আসতে পারে।’
স্টারমারের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিবিআই, রোলস রয়েস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বার্কলেস, ন্যাটওয়েস্ট, এইচএসবিসি, অ্যালকোহল কোম্পানি ডায়াজিও, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আরাপ এবং টেলিকম কোম্পানি বিটি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, স্টারমারের এই সফর হচ্ছে এমন সময়ে—যার কয়েক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউরোপ সফরের সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তি সিইটিএ (Comprehensive Economic and Trade Agreement) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই সফর। এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু একটা কাগজ নয়, এটা প্রবৃদ্ধির জন্য একধরনের লঞ্চপ্যাড।’
তবে প্রবৃদ্ধির কথা বললেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতীয়দের জন্য ভিসা ছাড় দিতে নারাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ভারতকে ভিসার নিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না। ভারতের মাটিতে নামার আগেই তিনি এ কথা বলেন।
তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ধীর গতির অর্থনীতিকে চাঙা করা। কিয়ার স্টারমার বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিশাল সুযোগ আছে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারতীয় কর্মী বা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার নতুন কোনো পথ খোলার পরিকল্পনা নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এখানে আসল বিষয় ভিসা নয়। আসল বিষয় হলো ব্যবসা থেকে ব্যবসায় সম্পর্ক, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান আর সমৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে আসা।’
দুই দেশ এখন বৈশ্বিক পরিবর্তনের সময় পার করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন বাস্তবতায় ভারত ও যুক্তরাজ্য নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে। এই কারণেই মুম্বাই সফরকে ডাউনিং স্ট্রিট ‘দুদিনের বাণিজ্য মিশন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাণিজ্য ও ব্যবসা মন্ত্রী পিটার কাইল এবং বিনিয়োগমন্ত্রী জেসন স্টকউড।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সফরে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আলোচনায় প্রযুক্তি অংশীদারত্ব ও ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়া টেকনোলজি সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মোদির ইউরোপ সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছিল। তখন ‘ভিশন—২০৩৫’ নামে ১০ বছরের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যেখানে বাণিজ্য, জলবায়ু, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সবকিছু অন্তর্ভুক্ত।
স্টারমার ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত নিয়ে দলের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেন। কাশ্মীর ও পাকিস্তান ইস্যুতে লেবারের আগের অবস্থানের কারণে ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুক্তরাজ্যে সক্রিয় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্পদের নিরাপত্তা। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বাণিজ্যচুক্তি ও ভিশন ২০৩৫ উভয় পক্ষের জন্য সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার মোদি ও স্টারমার মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টে মূল বক্তৃতা দেবেন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিয়েছে। তবে এর প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানির মাত্র ৪৫ শতাংশের (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ওপর। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জুতা, মাছ, গাড়িসহ নানা পণ্য। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের জন্য বড় সাফল্য এসেছে অ্যালকোহলিক পানীয় খাতে। স্কটিশ হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং ১০ বছরের মধ্যে তা আরও কমে ৪০ শতাংশে পৌঁছাবে। স্কটল্যান্ড বিষয়ক সচিব ডগলাস আলেকজান্ডার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ বছরের ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের হুইস্কি শিল্পের জন্য দারুণ খবর। তবে চুক্তি কার্যকর করাই এখন আসল দায়িত্ব।’
তবে এই বাণিজ্যচুক্তি এখনো কার্যকর হয়নি। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন। সবকিছু ঠিক থাকলেও ২০২৬ সালের শুরুর আগে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা করণ বিলিমোরিয়া সফরকে কেবল প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবসম্মত মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ব্যবসায়ে সিরিয়াস। আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চাই।’ তাঁর আশা, আগামী পাঁচ বছরে ভারত-যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৪.১ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৯.১৪ বিলিয়ন ডলার)।
ভারত বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ১১ তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। দীর্ঘ মেয়াদে এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে, অর্থাৎ বার্ষিক ৪.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। তবে স্টারমার এই চুক্তিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাচ্ছেন। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ৬০ শতাংশ বাড়বে। মুম্বাই পৌঁছে নিজের দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে স্টারমার লিখেছেন, তিনি একটি মিশনে নেমেছেন, যা হলো ‘নিজের দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।’
লেবার সরকার নিজ দেশে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। কম উৎপাদনশীলতা, বিপুল জাতীয় ঋণ আর দুর্বল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসনেও কঠোরতা এনেছে তারা। বিশেষ করে দক্ষ ও বৈধ কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নানা নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। কনজারভেটিভ ও রিফর্ম ইউকে পার্টির চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি দক্ষ কর্মীর ভিসা পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল (ইউকেআইবিসি) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘অন্যান্য দেশও একই দক্ষ জনশক্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে। তাই খোলামেলা নীতির ধারণা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।’ সংস্থাটির মতে, ‘সুষম ও পূর্বানুমেয় অভিবাসন কাঠামো থাকা দরকার, যাতে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন খাতে প্রতিভাবান জনশক্তি যুক্তরাজ্যে আসতে পারে।’
স্টারমারের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিবিআই, রোলস রয়েস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বার্কলেস, ন্যাটওয়েস্ট, এইচএসবিসি, অ্যালকোহল কোম্পানি ডায়াজিও, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আরাপ এবং টেলিকম কোম্পানি বিটি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, স্টারমারের এই সফর হচ্ছে এমন সময়ে—যার কয়েক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইউরোপ সফরের সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তি সিইটিএ (Comprehensive Economic and Trade Agreement) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই সফর। এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু একটা কাগজ নয়, এটা প্রবৃদ্ধির জন্য একধরনের লঞ্চপ্যাড।’
তবে প্রবৃদ্ধির কথা বললেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতীয়দের জন্য ভিসা ছাড় দিতে নারাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ভারতকে ভিসার নিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না। ভারতের মাটিতে নামার আগেই তিনি এ কথা বলেন।
তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ধীর গতির অর্থনীতিকে চাঙা করা। কিয়ার স্টারমার বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিশাল সুযোগ আছে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারতীয় কর্মী বা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার নতুন কোনো পথ খোলার পরিকল্পনা নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এখানে আসল বিষয় ভিসা নয়। আসল বিষয় হলো ব্যবসা থেকে ব্যবসায় সম্পর্ক, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান আর সমৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে আসা।’
দুই দেশ এখন বৈশ্বিক পরিবর্তনের সময় পার করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন বাস্তবতায় ভারত ও যুক্তরাজ্য নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে। এই কারণেই মুম্বাই সফরকে ডাউনিং স্ট্রিট ‘দুদিনের বাণিজ্য মিশন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাণিজ্য ও ব্যবসা মন্ত্রী পিটার কাইল এবং বিনিয়োগমন্ত্রী জেসন স্টকউড।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সফরে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আলোচনায় প্রযুক্তি অংশীদারত্ব ও ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়া টেকনোলজি সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মোদির ইউরোপ সফরের সময় দুই দেশের সম্পর্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছিল। তখন ‘ভিশন—২০৩৫’ নামে ১০ বছরের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যেখানে বাণিজ্য, জলবায়ু, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সবকিছু অন্তর্ভুক্ত।
স্টারমার ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত নিয়ে দলের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেন। কাশ্মীর ও পাকিস্তান ইস্যুতে লেবারের আগের অবস্থানের কারণে ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুক্তরাজ্যে সক্রিয় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্পদের নিরাপত্তা। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বাণিজ্যচুক্তি ও ভিশন ২০৩৫ উভয় পক্ষের জন্য সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার মোদি ও স্টারমার মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টে মূল বক্তৃতা দেবেন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিয়েছে। তবে এর প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানির মাত্র ৪৫ শতাংশের (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ওপর। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জুতা, মাছ, গাড়িসহ নানা পণ্য। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের জন্য বড় সাফল্য এসেছে অ্যালকোহলিক পানীয় খাতে। স্কটিশ হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং ১০ বছরের মধ্যে তা আরও কমে ৪০ শতাংশে পৌঁছাবে। স্কটল্যান্ড বিষয়ক সচিব ডগলাস আলেকজান্ডার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ বছরের ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের হুইস্কি শিল্পের জন্য দারুণ খবর। তবে চুক্তি কার্যকর করাই এখন আসল দায়িত্ব।’
তবে এই বাণিজ্যচুক্তি এখনো কার্যকর হয়নি। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন। সবকিছু ঠিক থাকলেও ২০২৬ সালের শুরুর আগে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা করণ বিলিমোরিয়া সফরকে কেবল প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবসম্মত মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ব্যবসায়ে সিরিয়াস। আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চাই।’ তাঁর আশা, আগামী পাঁচ বছরে ভারত-যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৪.১ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৯.১৪ বিলিয়ন ডলার)।
ভারত বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ১১ তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। দীর্ঘ মেয়াদে এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে, অর্থাৎ বার্ষিক ৪.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। তবে স্টারমার এই চুক্তিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাচ্ছেন। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ৬০ শতাংশ বাড়বে। মুম্বাই পৌঁছে নিজের দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে স্টারমার লিখেছেন, তিনি একটি মিশনে নেমেছেন, যা হলো ‘নিজের দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।’
লেবার সরকার নিজ দেশে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। কম উৎপাদনশীলতা, বিপুল জাতীয় ঋণ আর দুর্বল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসনেও কঠোরতা এনেছে তারা। বিশেষ করে দক্ষ ও বৈধ কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নানা নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। কনজারভেটিভ ও রিফর্ম ইউকে পার্টির চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি দক্ষ কর্মীর ভিসা পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল (ইউকেআইবিসি) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘অন্যান্য দেশও একই দক্ষ জনশক্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে। তাই খোলামেলা নীতির ধারণা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।’ সংস্থাটির মতে, ‘সুষম ও পূর্বানুমেয় অভিবাসন কাঠামো থাকা দরকার, যাতে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন খাতে প্রতিভাবান জনশক্তি যুক্তরাজ্যে আসতে পারে।’
স্টারমারের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিবিআই, রোলস রয়েস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বার্কলেস, ন্যাটওয়েস্ট, এইচএসবিসি, অ্যালকোহল কোম্পানি ডায়াজিও, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আরাপ এবং টেলিকম কোম্পানি বিটি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। ১২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুদিনের সফরে এসেছেন। দলে রয়েছেন ব্রিটিশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প সংগঠন ও বড় কোম্পানির সিইওরা। মূল লক্ষ্য হলো ভারত-যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে