নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আটকের পর বিজলী কুমার রায় (৪০) শুধু নিজের নামটাই বলতে পেরেছিলেন। বাড়ি জানতে চাইলে বলতেন, ‘বিহার।’ আর কিছুই বলতে পারতেন না। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয়, তাঁর বাড়ি ভারতের বিহার। প্রত্যর্পণের সুবিধায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। ছয় মাসের সাজা শেষ হয়, বিজলী বাড়ি যেতে চান। বিজিবি তাঁকে সীমান্তে নিয়ে যায়, কিন্তু অভিভাবক নেই বলে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজলীর বাড়ি ফেরা হয় না। অবশেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, কিন্তু জীবিত নন লাশ হয়ে।
বিজলীর বাড়ি ফেরার গল্পটা সিনেমার মতো। গত বছর অক্টোবরে বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান।’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মেয়েটি বাক্প্রতিবন্ধী। আর বিজলী কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ শুক্রবার বিজলীর মরদেহ নিয়ে সীমান্তে যান সাংবাদিক শামসুল হুদা।
কীভাবে বিজলীর খোঁজ পাওয়া গেল, সে গল্পটি শুনিয়েছেন শামসুল হুদা। তিনি জানান, ২০২১ সালের মে মাসে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী রায়কে আটক করে। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় বিজলীর বাড়ি ভারতের বিহারে। তাই প্রত্যর্পণের সুবিধার্থে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। এখানে এমন বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। গত বছরের অক্টোবরে এই কারাগার পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার একজন জেল সুপার। তিনি শামসুল হুদার কথা জানতেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপারকে জানান, শামসুল হুদা আটকে পড়া এমন বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। তারপর ফোন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার। তিনি ১১ জন বন্দীর একটি তালিকা দেন। কাজ শুরু করেন শামসুল হুদা। এরই মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর বিজলী রায়কে নিয়ে কাজ করছিলেন শামসুল হুদা। বাড়ি ফেরার আগেই তিনি মারা গেলেন।
বিজলীকে খুঁজে পাওয়া থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পুরো ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দেন শামসুল। তাঁর বর্ণনায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিহারের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার একটি গ্রামে বিজলী রায়ের পরিবারকে খুঁজে পান। এ ব্যাপারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট সহায়তা করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বিজলী রায়ের যাবতীয় অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। বিজলীর ভাই বদ্রি রায় মাঝেমধ্যেই ফোন করে খোঁজ নিতেন। জানাতেন তাঁর ভাইয়ের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সে যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাতে থাকেন। বদ্রি রায় বেশ কয়েকবার তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি ছবি বদ্রিকে পাঠানো হয়েছিল।
তখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি বদ্রি রায় বিহার থেকে শামসুল হুদাকে ফোন করেন। জানান, বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন তাঁকে কল করেছিলেন। সেই নম্বরটি নিয়ে কল করলে শামসুল হুদা দেখেন, এটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহর নম্বর। শামসুল হুদা ভাবলেন, বিজলী রায় তো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলে ছিলেন। তাহলে রাজশাহী জেলার কেন তাঁকে ফোন করলেন? প্রশ্ন করতেই শুনলেন দুঃসংবাদ। বিজলী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। রাজশাহী আসার পর বিজলী রায় মারা গেছেন।
এরপর বিজলী রায়ের মরদেহ ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এদিকে তাঁর মরদেহ বিহারে পাঠানোর তৎপরতা শুরু করেন শামসুল হুদা। চিঠি চালাচালি চলতে থাকেন। ১৬ জানুয়ারি সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিজলীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।
মহাপরিদর্শক দপ্তর থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠিটি দূতাবাসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ১৩ দিনের মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজলী রায়ের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারি পরিপত্র জারি করে। দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে কারা অধিদপ্তরের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন শামসুল হুদা।
পরবর্তীকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে একটি চিঠি ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর সূত্র ধরে কারা কর্তৃপক্ষ এবং মহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ করতে থাকলেও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৩ মার্চ হাইকমিশন থেকে পাওয়া সুরক্ষা বিভাগের চিঠিটি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে এর ভিত্তিতে শেষ বিকেলে ত্বড়িত গতিতে বিজলী রায়ের মরদেহের ছাড়পত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবিকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়। বিজিবি তখন চিঠি দেয় বিএসএফকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় যে তারা মরদেহ গ্রহণ করতে সম্মত। ওই রাতেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘দেশের কোনো বন্দী মারা গেলে আমরা পরের দিনের মধ্যেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রথমে মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তরকে জানাতে হয়। ভারতীয় দূতাবাসকেও জানাতে হয়। দূতাবাস তখন ভারতে ভেরিফিকেশন করে যে ওই ব্যক্তি ভারতীয় কি না। এরপরই তারা লাশ গ্রহণে সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটা সময় লেগে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষ বিএসএফের ক্লিয়ারেন্সটা আমরা গত রাত ৮টায় পাই। এরপরই আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানাই। বিজিবি সব ব্যবস্থা করে। আজ ভোরে রামেক হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ কারাগারের সামনে আনা হয়। সেখানে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদার বড় অবদান রয়েছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এই কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন।’
সাংবাদিক শামসুল হুদা রোটারি ক্লাব অব বনানীর সদস্য। গত ৮ মার্চ সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠকে বিজলী কুমারের মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই পরিবারের সদস্যর কাছে মরদেহটি পৌঁছানোর দায়িত্ব শামসুল হুদাকেই দেন। বরাদ্দ করা হয় অর্থও। আর মরদেহটি রাজশাহী থেকে বিহার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকা পেকার্স। কফিন থেকে সবকিছুই ব্যবস্থা করেছে ঢাকা পেকার্স।
শামসুল হুদা জানান, দুপুরে তাঁরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিজলী কুমারের ভাই এসেছেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ আসার পর লাশ হস্তান্তর হবে। তিনি ভাইয়ের কাছে বিজলীর লাশ হস্তান্তর করে ফিরে আসবেন।

আটকের পর বিজলী কুমার রায় (৪০) শুধু নিজের নামটাই বলতে পেরেছিলেন। বাড়ি জানতে চাইলে বলতেন, ‘বিহার।’ আর কিছুই বলতে পারতেন না। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয়, তাঁর বাড়ি ভারতের বিহার। প্রত্যর্পণের সুবিধায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। ছয় মাসের সাজা শেষ হয়, বিজলী বাড়ি যেতে চান। বিজিবি তাঁকে সীমান্তে নিয়ে যায়, কিন্তু অভিভাবক নেই বলে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজলীর বাড়ি ফেরা হয় না। অবশেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, কিন্তু জীবিত নন লাশ হয়ে।
বিজলীর বাড়ি ফেরার গল্পটা সিনেমার মতো। গত বছর অক্টোবরে বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান।’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মেয়েটি বাক্প্রতিবন্ধী। আর বিজলী কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ শুক্রবার বিজলীর মরদেহ নিয়ে সীমান্তে যান সাংবাদিক শামসুল হুদা।
কীভাবে বিজলীর খোঁজ পাওয়া গেল, সে গল্পটি শুনিয়েছেন শামসুল হুদা। তিনি জানান, ২০২১ সালের মে মাসে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী রায়কে আটক করে। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় বিজলীর বাড়ি ভারতের বিহারে। তাই প্রত্যর্পণের সুবিধার্থে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। এখানে এমন বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। গত বছরের অক্টোবরে এই কারাগার পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার একজন জেল সুপার। তিনি শামসুল হুদার কথা জানতেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপারকে জানান, শামসুল হুদা আটকে পড়া এমন বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। তারপর ফোন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার। তিনি ১১ জন বন্দীর একটি তালিকা দেন। কাজ শুরু করেন শামসুল হুদা। এরই মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর বিজলী রায়কে নিয়ে কাজ করছিলেন শামসুল হুদা। বাড়ি ফেরার আগেই তিনি মারা গেলেন।
বিজলীকে খুঁজে পাওয়া থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পুরো ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দেন শামসুল। তাঁর বর্ণনায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিহারের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার একটি গ্রামে বিজলী রায়ের পরিবারকে খুঁজে পান। এ ব্যাপারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট সহায়তা করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বিজলী রায়ের যাবতীয় অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। বিজলীর ভাই বদ্রি রায় মাঝেমধ্যেই ফোন করে খোঁজ নিতেন। জানাতেন তাঁর ভাইয়ের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সে যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাতে থাকেন। বদ্রি রায় বেশ কয়েকবার তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি ছবি বদ্রিকে পাঠানো হয়েছিল।
তখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি বদ্রি রায় বিহার থেকে শামসুল হুদাকে ফোন করেন। জানান, বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন তাঁকে কল করেছিলেন। সেই নম্বরটি নিয়ে কল করলে শামসুল হুদা দেখেন, এটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহর নম্বর। শামসুল হুদা ভাবলেন, বিজলী রায় তো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলে ছিলেন। তাহলে রাজশাহী জেলার কেন তাঁকে ফোন করলেন? প্রশ্ন করতেই শুনলেন দুঃসংবাদ। বিজলী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। রাজশাহী আসার পর বিজলী রায় মারা গেছেন।
এরপর বিজলী রায়ের মরদেহ ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এদিকে তাঁর মরদেহ বিহারে পাঠানোর তৎপরতা শুরু করেন শামসুল হুদা। চিঠি চালাচালি চলতে থাকেন। ১৬ জানুয়ারি সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিজলীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।
মহাপরিদর্শক দপ্তর থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠিটি দূতাবাসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ১৩ দিনের মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজলী রায়ের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারি পরিপত্র জারি করে। দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে কারা অধিদপ্তরের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন শামসুল হুদা।
পরবর্তীকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে একটি চিঠি ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর সূত্র ধরে কারা কর্তৃপক্ষ এবং মহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ করতে থাকলেও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৩ মার্চ হাইকমিশন থেকে পাওয়া সুরক্ষা বিভাগের চিঠিটি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে এর ভিত্তিতে শেষ বিকেলে ত্বড়িত গতিতে বিজলী রায়ের মরদেহের ছাড়পত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবিকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়। বিজিবি তখন চিঠি দেয় বিএসএফকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় যে তারা মরদেহ গ্রহণ করতে সম্মত। ওই রাতেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘দেশের কোনো বন্দী মারা গেলে আমরা পরের দিনের মধ্যেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রথমে মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তরকে জানাতে হয়। ভারতীয় দূতাবাসকেও জানাতে হয়। দূতাবাস তখন ভারতে ভেরিফিকেশন করে যে ওই ব্যক্তি ভারতীয় কি না। এরপরই তারা লাশ গ্রহণে সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটা সময় লেগে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষ বিএসএফের ক্লিয়ারেন্সটা আমরা গত রাত ৮টায় পাই। এরপরই আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানাই। বিজিবি সব ব্যবস্থা করে। আজ ভোরে রামেক হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ কারাগারের সামনে আনা হয়। সেখানে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদার বড় অবদান রয়েছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এই কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন।’
সাংবাদিক শামসুল হুদা রোটারি ক্লাব অব বনানীর সদস্য। গত ৮ মার্চ সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠকে বিজলী কুমারের মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই পরিবারের সদস্যর কাছে মরদেহটি পৌঁছানোর দায়িত্ব শামসুল হুদাকেই দেন। বরাদ্দ করা হয় অর্থও। আর মরদেহটি রাজশাহী থেকে বিহার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকা পেকার্স। কফিন থেকে সবকিছুই ব্যবস্থা করেছে ঢাকা পেকার্স।
শামসুল হুদা জানান, দুপুরে তাঁরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিজলী কুমারের ভাই এসেছেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ আসার পর লাশ হস্তান্তর হবে। তিনি ভাইয়ের কাছে বিজলীর লাশ হস্তান্তর করে ফিরে আসবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আটকের পর বিজলী কুমার রায় (৪০) শুধু নিজের নামটাই বলতে পেরেছিলেন। বাড়ি জানতে চাইলে বলতেন, ‘বিহার।’ আর কিছুই বলতে পারতেন না। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয়, তাঁর বাড়ি ভারতের বিহার। প্রত্যর্পণের সুবিধায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। ছয় মাসের সাজা শেষ হয়, বিজলী বাড়ি যেতে চান। বিজিবি তাঁকে সীমান্তে নিয়ে যায়, কিন্তু অভিভাবক নেই বলে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজলীর বাড়ি ফেরা হয় না। অবশেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, কিন্তু জীবিত নন লাশ হয়ে।
বিজলীর বাড়ি ফেরার গল্পটা সিনেমার মতো। গত বছর অক্টোবরে বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান।’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মেয়েটি বাক্প্রতিবন্ধী। আর বিজলী কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ শুক্রবার বিজলীর মরদেহ নিয়ে সীমান্তে যান সাংবাদিক শামসুল হুদা।
কীভাবে বিজলীর খোঁজ পাওয়া গেল, সে গল্পটি শুনিয়েছেন শামসুল হুদা। তিনি জানান, ২০২১ সালের মে মাসে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী রায়কে আটক করে। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় বিজলীর বাড়ি ভারতের বিহারে। তাই প্রত্যর্পণের সুবিধার্থে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। এখানে এমন বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। গত বছরের অক্টোবরে এই কারাগার পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার একজন জেল সুপার। তিনি শামসুল হুদার কথা জানতেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপারকে জানান, শামসুল হুদা আটকে পড়া এমন বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। তারপর ফোন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার। তিনি ১১ জন বন্দীর একটি তালিকা দেন। কাজ শুরু করেন শামসুল হুদা। এরই মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর বিজলী রায়কে নিয়ে কাজ করছিলেন শামসুল হুদা। বাড়ি ফেরার আগেই তিনি মারা গেলেন।
বিজলীকে খুঁজে পাওয়া থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পুরো ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দেন শামসুল। তাঁর বর্ণনায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিহারের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার একটি গ্রামে বিজলী রায়ের পরিবারকে খুঁজে পান। এ ব্যাপারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট সহায়তা করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বিজলী রায়ের যাবতীয় অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। বিজলীর ভাই বদ্রি রায় মাঝেমধ্যেই ফোন করে খোঁজ নিতেন। জানাতেন তাঁর ভাইয়ের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সে যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাতে থাকেন। বদ্রি রায় বেশ কয়েকবার তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি ছবি বদ্রিকে পাঠানো হয়েছিল।
তখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি বদ্রি রায় বিহার থেকে শামসুল হুদাকে ফোন করেন। জানান, বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন তাঁকে কল করেছিলেন। সেই নম্বরটি নিয়ে কল করলে শামসুল হুদা দেখেন, এটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহর নম্বর। শামসুল হুদা ভাবলেন, বিজলী রায় তো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলে ছিলেন। তাহলে রাজশাহী জেলার কেন তাঁকে ফোন করলেন? প্রশ্ন করতেই শুনলেন দুঃসংবাদ। বিজলী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। রাজশাহী আসার পর বিজলী রায় মারা গেছেন।
এরপর বিজলী রায়ের মরদেহ ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এদিকে তাঁর মরদেহ বিহারে পাঠানোর তৎপরতা শুরু করেন শামসুল হুদা। চিঠি চালাচালি চলতে থাকেন। ১৬ জানুয়ারি সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিজলীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।
মহাপরিদর্শক দপ্তর থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠিটি দূতাবাসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ১৩ দিনের মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজলী রায়ের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারি পরিপত্র জারি করে। দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে কারা অধিদপ্তরের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন শামসুল হুদা।
পরবর্তীকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে একটি চিঠি ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর সূত্র ধরে কারা কর্তৃপক্ষ এবং মহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ করতে থাকলেও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৩ মার্চ হাইকমিশন থেকে পাওয়া সুরক্ষা বিভাগের চিঠিটি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে এর ভিত্তিতে শেষ বিকেলে ত্বড়িত গতিতে বিজলী রায়ের মরদেহের ছাড়পত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবিকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়। বিজিবি তখন চিঠি দেয় বিএসএফকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় যে তারা মরদেহ গ্রহণ করতে সম্মত। ওই রাতেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘দেশের কোনো বন্দী মারা গেলে আমরা পরের দিনের মধ্যেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রথমে মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তরকে জানাতে হয়। ভারতীয় দূতাবাসকেও জানাতে হয়। দূতাবাস তখন ভারতে ভেরিফিকেশন করে যে ওই ব্যক্তি ভারতীয় কি না। এরপরই তারা লাশ গ্রহণে সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটা সময় লেগে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষ বিএসএফের ক্লিয়ারেন্সটা আমরা গত রাত ৮টায় পাই। এরপরই আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানাই। বিজিবি সব ব্যবস্থা করে। আজ ভোরে রামেক হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ কারাগারের সামনে আনা হয়। সেখানে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদার বড় অবদান রয়েছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এই কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন।’
সাংবাদিক শামসুল হুদা রোটারি ক্লাব অব বনানীর সদস্য। গত ৮ মার্চ সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠকে বিজলী কুমারের মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই পরিবারের সদস্যর কাছে মরদেহটি পৌঁছানোর দায়িত্ব শামসুল হুদাকেই দেন। বরাদ্দ করা হয় অর্থও। আর মরদেহটি রাজশাহী থেকে বিহার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকা পেকার্স। কফিন থেকে সবকিছুই ব্যবস্থা করেছে ঢাকা পেকার্স।
শামসুল হুদা জানান, দুপুরে তাঁরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিজলী কুমারের ভাই এসেছেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ আসার পর লাশ হস্তান্তর হবে। তিনি ভাইয়ের কাছে বিজলীর লাশ হস্তান্তর করে ফিরে আসবেন।

আটকের পর বিজলী কুমার রায় (৪০) শুধু নিজের নামটাই বলতে পেরেছিলেন। বাড়ি জানতে চাইলে বলতেন, ‘বিহার।’ আর কিছুই বলতে পারতেন না। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয়, তাঁর বাড়ি ভারতের বিহার। প্রত্যর্পণের সুবিধায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। ছয় মাসের সাজা শেষ হয়, বিজলী বাড়ি যেতে চান। বিজিবি তাঁকে সীমান্তে নিয়ে যায়, কিন্তু অভিভাবক নেই বলে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজলীর বাড়ি ফেরা হয় না। অবশেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, কিন্তু জীবিত নন লাশ হয়ে।
বিজলীর বাড়ি ফেরার গল্পটা সিনেমার মতো। গত বছর অক্টোবরে বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান।’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মেয়েটি বাক্প্রতিবন্ধী। আর বিজলী কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ শুক্রবার বিজলীর মরদেহ নিয়ে সীমান্তে যান সাংবাদিক শামসুল হুদা।
কীভাবে বিজলীর খোঁজ পাওয়া গেল, সে গল্পটি শুনিয়েছেন শামসুল হুদা। তিনি জানান, ২০২১ সালের মে মাসে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী রায়কে আটক করে। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় বিজলীর বাড়ি ভারতের বিহারে। তাই প্রত্যর্পণের সুবিধার্থে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। এখানে এমন বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। গত বছরের অক্টোবরে এই কারাগার পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার একজন জেল সুপার। তিনি শামসুল হুদার কথা জানতেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপারকে জানান, শামসুল হুদা আটকে পড়া এমন বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। তারপর ফোন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার। তিনি ১১ জন বন্দীর একটি তালিকা দেন। কাজ শুরু করেন শামসুল হুদা। এরই মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর বিজলী রায়কে নিয়ে কাজ করছিলেন শামসুল হুদা। বাড়ি ফেরার আগেই তিনি মারা গেলেন।
বিজলীকে খুঁজে পাওয়া থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পুরো ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দেন শামসুল। তাঁর বর্ণনায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিহারের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার একটি গ্রামে বিজলী রায়ের পরিবারকে খুঁজে পান। এ ব্যাপারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট সহায়তা করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বিজলী রায়ের যাবতীয় অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। বিজলীর ভাই বদ্রি রায় মাঝেমধ্যেই ফোন করে খোঁজ নিতেন। জানাতেন তাঁর ভাইয়ের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সে যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাতে থাকেন। বদ্রি রায় বেশ কয়েকবার তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি ছবি বদ্রিকে পাঠানো হয়েছিল।
তখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি বদ্রি রায় বিহার থেকে শামসুল হুদাকে ফোন করেন। জানান, বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন তাঁকে কল করেছিলেন। সেই নম্বরটি নিয়ে কল করলে শামসুল হুদা দেখেন, এটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহর নম্বর। শামসুল হুদা ভাবলেন, বিজলী রায় তো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলে ছিলেন। তাহলে রাজশাহী জেলার কেন তাঁকে ফোন করলেন? প্রশ্ন করতেই শুনলেন দুঃসংবাদ। বিজলী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। রাজশাহী আসার পর বিজলী রায় মারা গেছেন।
এরপর বিজলী রায়ের মরদেহ ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এদিকে তাঁর মরদেহ বিহারে পাঠানোর তৎপরতা শুরু করেন শামসুল হুদা। চিঠি চালাচালি চলতে থাকেন। ১৬ জানুয়ারি সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিজলীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।
মহাপরিদর্শক দপ্তর থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠিটি দূতাবাসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ১৩ দিনের মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজলী রায়ের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারি পরিপত্র জারি করে। দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে কারা অধিদপ্তরের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন শামসুল হুদা।
পরবর্তীকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে একটি চিঠি ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর সূত্র ধরে কারা কর্তৃপক্ষ এবং মহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ করতে থাকলেও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৩ মার্চ হাইকমিশন থেকে পাওয়া সুরক্ষা বিভাগের চিঠিটি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে এর ভিত্তিতে শেষ বিকেলে ত্বড়িত গতিতে বিজলী রায়ের মরদেহের ছাড়পত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবিকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়। বিজিবি তখন চিঠি দেয় বিএসএফকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় যে তারা মরদেহ গ্রহণ করতে সম্মত। ওই রাতেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘দেশের কোনো বন্দী মারা গেলে আমরা পরের দিনের মধ্যেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রথমে মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তরকে জানাতে হয়। ভারতীয় দূতাবাসকেও জানাতে হয়। দূতাবাস তখন ভারতে ভেরিফিকেশন করে যে ওই ব্যক্তি ভারতীয় কি না। এরপরই তারা লাশ গ্রহণে সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটা সময় লেগে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষ বিএসএফের ক্লিয়ারেন্সটা আমরা গত রাত ৮টায় পাই। এরপরই আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানাই। বিজিবি সব ব্যবস্থা করে। আজ ভোরে রামেক হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ কারাগারের সামনে আনা হয়। সেখানে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদার বড় অবদান রয়েছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এই কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন।’
সাংবাদিক শামসুল হুদা রোটারি ক্লাব অব বনানীর সদস্য। গত ৮ মার্চ সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠকে বিজলী কুমারের মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই পরিবারের সদস্যর কাছে মরদেহটি পৌঁছানোর দায়িত্ব শামসুল হুদাকেই দেন। বরাদ্দ করা হয় অর্থও। আর মরদেহটি রাজশাহী থেকে বিহার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকা পেকার্স। কফিন থেকে সবকিছুই ব্যবস্থা করেছে ঢাকা পেকার্স।
শামসুল হুদা জানান, দুপুরে তাঁরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিজলী কুমারের ভাই এসেছেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ আসার পর লাশ হস্তান্তর হবে। তিনি ভাইয়ের কাছে বিজলীর লাশ হস্তান্তর করে ফিরে আসবেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান’।
১৪ মার্চ ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান’।
১৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান’।
১৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেদেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান’।
১৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে