Ajker Patrika

বগুড়া জেলা কারাগারের ড্রেনে পড়ে ছিল কারারক্ষীর লাশ 

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৪৯
বগুড়া জেলা কারাগারের ড্রেনে পড়ে ছিল কারারক্ষীর লাশ 

বগুড়া জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে ড্রেনে পড়ে থাকা এক কারারক্ষীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর মাথার পেছন থেকে রক্ত ঝরছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। 

কারারক্ষী একরামুল হক দুই বছর ধরে বগুড়া জেলা কারাগারে কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার কান্তা গ্রামের মৃত রহীম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। 

বগুড়া জেলা কারাগারে কর্মরত কারারক্ষী ও একরামুল হকের শ্যালক রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কারাগারের ২ নম্বর গেটে একরামুল হকের ডিউটি ছিল। রাত ১টার দিকে কারাগারের ব্যারাক থেকে একরামুল হক ডিউটি পোস্টে যায়। এরপর আর ব্যারাকে ফিরে আসেননি। 

কারারক্ষী মামুন বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে ২ নম্বর গেটে আমার ডিউটি থাকলেও অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি। এ কারণে ডিউটি পোস্টে একরামুল হকের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।’

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, রাত ৩টায় কারারক্ষী মামুনের সঙ্গে ২ নম্বর গেটে একরামুলের ডিউটি বদলি হতো। মামুন ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর সঙ্গে একরামুলের দেখা হয়নি। ভোর ৬টার দিকে অন্য একজন ডিউটিতে যান। 

এদিকে আজ সকালে ব্যারাকের সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখেন একরামুল নেই। তাঁর মোবাইল ফোন বিছানায় ছিল। এরপর সকাল ১০টা থেকে একরামুলকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে ২ নম্বর গেটে ডিউটি পোস্টসংলগ্ন গভীর ড্রেনে কারারক্ষী মামুনই লাশের সন্ধান পায়। 

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একরামুলের মৃত্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, নিহত একরামুলের মাথার পেছনে বাম পাশে ছোট একটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সেখান থেকে রক্ত ঝরছিল। লাশ গভীর ড্রেনের পানিতে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। 

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত