পাবনা প্রতিনিধি
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পাবনায় ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ রাব্বিউল ইসলাম সিমান্ত স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শেখ রকি, গয়েশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন খান, চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক মামুন হোসেন, আতাইকুলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আশিক খান, ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রাকিবুল হাসান, বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।
এদিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য শোক প্রকাশ করা নিয়ে সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পড়ে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ রকি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তিনি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘প্রিয় ভাঁড়ারা ইউনিয়নবাসী। আমি মুসলমান হয়ে একজন মুসলমান মারা যাওয়াতে যদি ইন্না লিল্লাহ বলতে না পারি, ওই সংগঠন আমার দরকার নেই। আমি নিজ ইচ্ছায় আজ থেকে ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
যোগাযোগ করা হলে সদ্য বহিষ্কৃত রাকিবুল হাসান শেখ রকি বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পরে শোক জানিয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুকে পোস্ট দেই। শুধু তাই নয়, আমরা যে চারজন একসঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি, ওরাও সাঈদী সাহেবের জন্য শোক জানিয়ে পোস্ট দেয়। এসব পোস্ট নিয়ে আপত্তিকর অবস্থা দেখা দিলে ওদের তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর নেতা-কর্মীরা বলতে লাগল, আমাকেও নাকি বহিষ্কার করা হবে। চিন্তা করলাম, বহিষ্কার করলে কেমন হয়, এর আগে নিজে থেকে পদত্যাগ করি। এ জন্য আমি ভেবেচিন্তে বহিষ্কারের ২১ ঘণ্টা আগে পদত্যাগ করেছি।’
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। তাঁকে নিয়ে ছাত্রলীগের নামধারী কিছু নেতা-কর্মী শোক জানিয়ে পোস্ট দেন। এতে তাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্রলীগ এমন নীতি-আদর্শহীন কাজ কোনোভাবেই করতে পারে না। মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরামর্শেই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সময়ে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে অবগত করা হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হবে। এ জেলায় আরও কোনো নেত-কর্মী যদি পোস্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের নলেজে এলে এমন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পাবনায় ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ রাব্বিউল ইসলাম সিমান্ত স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শেখ রকি, গয়েশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন খান, চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক মামুন হোসেন, আতাইকুলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আশিক খান, ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রাকিবুল হাসান, বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।
এদিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য শোক প্রকাশ করা নিয়ে সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পড়ে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ রকি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তিনি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘প্রিয় ভাঁড়ারা ইউনিয়নবাসী। আমি মুসলমান হয়ে একজন মুসলমান মারা যাওয়াতে যদি ইন্না লিল্লাহ বলতে না পারি, ওই সংগঠন আমার দরকার নেই। আমি নিজ ইচ্ছায় আজ থেকে ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
যোগাযোগ করা হলে সদ্য বহিষ্কৃত রাকিবুল হাসান শেখ রকি বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পরে শোক জানিয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুকে পোস্ট দেই। শুধু তাই নয়, আমরা যে চারজন একসঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি, ওরাও সাঈদী সাহেবের জন্য শোক জানিয়ে পোস্ট দেয়। এসব পোস্ট নিয়ে আপত্তিকর অবস্থা দেখা দিলে ওদের তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর নেতা-কর্মীরা বলতে লাগল, আমাকেও নাকি বহিষ্কার করা হবে। চিন্তা করলাম, বহিষ্কার করলে কেমন হয়, এর আগে নিজে থেকে পদত্যাগ করি। এ জন্য আমি ভেবেচিন্তে বহিষ্কারের ২১ ঘণ্টা আগে পদত্যাগ করেছি।’
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। তাঁকে নিয়ে ছাত্রলীগের নামধারী কিছু নেতা-কর্মী শোক জানিয়ে পোস্ট দেন। এতে তাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্রলীগ এমন নীতি-আদর্শহীন কাজ কোনোভাবেই করতে পারে না। মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরামর্শেই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সময়ে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে অবগত করা হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হবে। এ জেলায় আরও কোনো নেত-কর্মী যদি পোস্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের নলেজে এলে এমন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৩ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
৪ ঘণ্টা আগে