নোয়াখালী প্রতিনিধি
পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে শাস্তি পাওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণে আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের পদত্যাগ পত্র আমরা হাতে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের ডিন ও শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক বলেন, ‘এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি নিয়মানুযায়ী পত্রটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এ ছাড়া পদত্যাগপত্রের চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কিত হিসেব-নিকেশ জানতে চেয়েছে। এসব হিসেব সম্পন্ন করে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। রিজেন্ট বোর্ডে এটি উত্থাপন করে অফিশিয়ালি তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক শেষ করা হবে।’
এর আগে বিভাগের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেওয়া ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৬ তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক অফিস আদেশের মাধ্যমে মুশফিকুরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব শাস্তির মধ্যে ছিল আগামী পাঁচ বছরের জন্য সহকারী অধ্যাপক থেকে তাঁকে প্রভাষক পদে পদাবনতি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অভিযোগ উঠলে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা এবং শিক্ষাছুটি ও প্রমোশন-আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করতে না পারার বিষয়টিও রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মুশফিকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, ওই ব্যাচগুলোর সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন। তবে তাঁর ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে এস এম মুশফিকুর রহমান আশিককে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মুশফিকুরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ১৮ শিক্ষার্থী। এতে মোট ১৬টি বিষয় উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ভয়ভীতি (পরীক্ষার ফলাফলের) প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর নিজস্ব অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখতে বাধ্য করা, অনলাইন পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ছাত্রীদের অশালীন প্রশ্ন করা, নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীকে দিয়ে একই ব্যাচের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ফলাফল রেজাল্ট শিটে লিপিবদ্ধ করা, শ্রেণিকক্ষে থাকার থেকে শিক্ষকদের রুমে থাকলে সিজিপিএ ভালো করা যায়-এ ধরনের কথা বলা, মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে অশালীন ও অনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়া হতো।
এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন পছন্দের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ও শ্রেণিকক্ষে সরাসরি হুমকি দেওয়া এবং অপমান, অপদস্থ, লাঞ্ছিত করা, ক্লাস টেস্ট ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে পছন্দের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করে তখনই ফলাফল দেওয়া এবং ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল মুশফিকুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে শাস্তি পাওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণে আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের পদত্যাগ পত্র আমরা হাতে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের ডিন ও শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক বলেন, ‘এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি নিয়মানুযায়ী পত্রটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এ ছাড়া পদত্যাগপত্রের চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কিত হিসেব-নিকেশ জানতে চেয়েছে। এসব হিসেব সম্পন্ন করে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। রিজেন্ট বোর্ডে এটি উত্থাপন করে অফিশিয়ালি তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক শেষ করা হবে।’
এর আগে বিভাগের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেওয়া ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৬ তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক অফিস আদেশের মাধ্যমে মুশফিকুরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব শাস্তির মধ্যে ছিল আগামী পাঁচ বছরের জন্য সহকারী অধ্যাপক থেকে তাঁকে প্রভাষক পদে পদাবনতি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অভিযোগ উঠলে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা এবং শিক্ষাছুটি ও প্রমোশন-আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করতে না পারার বিষয়টিও রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মুশফিকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, ওই ব্যাচগুলোর সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন। তবে তাঁর ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে এস এম মুশফিকুর রহমান আশিককে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মুশফিকুরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ১৮ শিক্ষার্থী। এতে মোট ১৬টি বিষয় উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ভয়ভীতি (পরীক্ষার ফলাফলের) প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর নিজস্ব অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখতে বাধ্য করা, অনলাইন পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ছাত্রীদের অশালীন প্রশ্ন করা, নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীকে দিয়ে একই ব্যাচের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ফলাফল রেজাল্ট শিটে লিপিবদ্ধ করা, শ্রেণিকক্ষে থাকার থেকে শিক্ষকদের রুমে থাকলে সিজিপিএ ভালো করা যায়-এ ধরনের কথা বলা, মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে অশালীন ও অনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়া হতো।
এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন পছন্দের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ও শ্রেণিকক্ষে সরাসরি হুমকি দেওয়া এবং অপমান, অপদস্থ, লাঞ্ছিত করা, ক্লাস টেস্ট ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে পছন্দের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করে তখনই ফলাফল দেওয়া এবং ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল মুশফিকুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান।
৬ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-৫ আ
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবান শহরের পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৯ জনকে সিসা বার পরিচালনার অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৭ ঘণ্টা আগে