হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৪২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়।
৩০ আগস্ট ২০২৩
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৪২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়।
৩০ আগস্ট ২০২৩
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়।
৩০ আগস্ট ২০২৩
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৪২ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়।
৩০ আগস্ট ২০২৩
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৪২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে