লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে আবুল কালাম ওরফে বোমা কালামকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধুর আখড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কালামের সৎ ছেলে আল আমিনকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের শরীর ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আবুল কালাম উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের উধনপাড়া গ্রামের মৃত ইনছার মণ্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি বড়বাদকয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি এলাকায় বোমা কামাল নামে পরিচিত।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সহিদুজ্জামান সালাম (৪৭) বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী ও বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য বড়বাদকয়া গ্রামের মোছা. আরজিনা খাতুন (৩৫), সৎ ছেলে মো. আল আমিন (১৮), শ্বশুর মো. জহিম উদ্দিন (৬০), শাশুড়ি মোছা. জালেমা বেগমসহ (৫৫) অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আল আমিন বাবার নাম হারুন।
লালপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর আরজিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন আবুল কালাম। তাঁদের সংসারে মো. আবির হোসেন (৯) নামে এক সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এরই জেরে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী, তাঁর সৎ ছেলে ও স্বজনদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে কালামের মৃত্যু হয়।
কালামের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বড়বাদকয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চান। তখন তারা নিহতের স্বজনদের কিছু তথ্য দেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কালামকে না পেয়ে থানা-পুলিশকে অবগত করেন তাঁরা। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে নিহতের আগের পক্ষের ছেলে আল আমিনকে আটক করা হয়। আল আমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধুর আখড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে আবুল কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীর ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সহিদুজ্জামান সালাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে স্থানীয় সাংবাদিকের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা চেষ্টা করেন কালাম। ওই ঘটনায় তাঁকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আরও বোমা উদ্ধার করে লালপুর থানার পুলিশ। সেই থেকে তিনি এলাকায় বোকা কালাম হিসেবে পরিচিতি পান।
নাটোরের লালপুরে আবুল কালাম ওরফে বোমা কালামকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধুর আখড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কালামের সৎ ছেলে আল আমিনকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের শরীর ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আবুল কালাম উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের উধনপাড়া গ্রামের মৃত ইনছার মণ্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি বড়বাদকয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি এলাকায় বোমা কামাল নামে পরিচিত।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সহিদুজ্জামান সালাম (৪৭) বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী ও বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য বড়বাদকয়া গ্রামের মোছা. আরজিনা খাতুন (৩৫), সৎ ছেলে মো. আল আমিন (১৮), শ্বশুর মো. জহিম উদ্দিন (৬০), শাশুড়ি মোছা. জালেমা বেগমসহ (৫৫) অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আল আমিন বাবার নাম হারুন।
লালপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর আরজিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন আবুল কালাম। তাঁদের সংসারে মো. আবির হোসেন (৯) নামে এক সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এরই জেরে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী, তাঁর সৎ ছেলে ও স্বজনদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে কালামের মৃত্যু হয়।
কালামের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বড়বাদকয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চান। তখন তারা নিহতের স্বজনদের কিছু তথ্য দেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কালামকে না পেয়ে থানা-পুলিশকে অবগত করেন তাঁরা। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে নিহতের আগের পক্ষের ছেলে আল আমিনকে আটক করা হয়। আল আমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধুর আখড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে আবুল কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীর ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সহিদুজ্জামান সালাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে স্থানীয় সাংবাদিকের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা চেষ্টা করেন কালাম। ওই ঘটনায় তাঁকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আরও বোমা উদ্ধার করে লালপুর থানার পুলিশ। সেই থেকে তিনি এলাকায় বোকা কালাম হিসেবে পরিচিতি পান।
প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের ২৯টি জেলা ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি জেলা উচ্চঝুঁকিতে এবং ২৪টি মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে। কেবল গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ৮০টি মাজার বা দরগাহে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
১২ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাটি খুঁড়তে গিয়ে পিতলের কলসিভর্তি প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে একটি দোকান মেরামতের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কলসিটি পাওয়া যায়।
২৫ মিনিট আগেবরগুনার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেলায় নতুন ভর্তি হয়েছে ৪৫ জন। এর মধ্যে বরগুনা সদর হাসপাতালে ২৩ জন, বেতাগীতে ৭ জন, বামনায় ৫ জন, পাথরঘাটায় ৯ ও তালতলীতে ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে