আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে আকস্মিক ঝাঁকুনির ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কেবিন ক্রু। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার পথে ছিল উড়োজাহাজটি। দুর্ঘটনার পরপরই কেবিন ক্রু শাবামা আজমী মিথিলাকে দ্রুত রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স-রে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর বাম হাতের কনুইয়ের ওপরের হাড় ভেঙে গেছে। চিকিৎসকেরা তাঁর অঙ্গহানিরও আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়ার কারণে এ ধরনের ঝাঁকুনি স্বাভাবিক হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা বেড়েছে। শুধু বিশেষজ্ঞই নন, নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করেন এমন অনেকে বিষয়টি খেয়াল করেছেন বলেও জানিয়েছেন। আগে যেসব রুট তুলনামূলকভাবে মসৃণ ছিল, এখন সেখানেও টার্বুলেন্স বা হঠাৎ কাঁপুনির শিকার হতে হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় উড়োজাহাজের ঝাঁকুনি কেন আজকাল বেড়ে গেল।
বিমান চলাচলে টার্বুলেন্স নতুন কোনো বিষয় নয়। আকাশে বাতাস সব সময় সমানভাবে প্রবাহিত হয় না। কখনো মেঘের ভেতর দিয়ে, কখনো পাহাড়ি বায়ুপ্রবাহের কারণে কিংবা বড় কোনো বিমানের পেছনের ঘূর্ণিতে পড়ে যাত্রীবাহী বিমান হঠাৎ ঝাঁকুনি খায়। তবে ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জার্নালে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই স্বাভাবিক ঘটনাই এখন আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ায় বায়ুমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা বেড়ে গেছে। উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠে এবং ঠান্ডা বাতাস নিচে নেমে আসতে গিয়ে আকাশে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেটিই বিমানযাত্রাকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্স বা পরিষ্কার আকাশে ঝাঁকুনি। আগে ধরে নেওয়া হতো, মেঘের ভেতর বা বজ্রঝড়ের কাছে গেলে কাঁপুনি হবে, কিন্তু এখন ঝকঝকে আকাশেও বিমান হঠাৎ প্রবলভাবে কেঁপে উঠছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে গত চার দশকে ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্স প্রায় ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো জেট স্ট্রিমের পরিবর্তন। উচ্চ আকাশে যে সরু ও দ্রুত বায়ুপ্রবাহকে জেট স্ট্রিম বলা হয়, সেটির গতি ও পথ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। ফলে পাইলটরা অনেক সময় আগাম ধারণা না পেয়ে ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ছেন।
যাত্রীদের দৃষ্টিতে এই অভিজ্ঞতা আতঙ্কজনক। হঠাৎ কাঁপুনিতে বিমানের ভেতরে অনেক সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করে বলছেন, আধুনিক বিমান এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন টার্বুলেন্সে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধার ওপরও আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে অনেকে ছিটকে পড়ে আঘাত পান।
তবে ঝাঁকুনির বাড়তি প্রবণতা বিমানশিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন রুট পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কারণ, যাত্রীদের আরাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আকাশে বাড়তি অস্থিরতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আর জলবায়ু পরিবর্তনের গতি থামানো না গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝাঁকুনি আরও ঘন ঘন দেখা দেবে বলে ধারণা গবেষকদের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে আকস্মিক ঝাঁকুনির ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কেবিন ক্রু। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার পথে ছিল উড়োজাহাজটি। দুর্ঘটনার পরপরই কেবিন ক্রু শাবামা আজমী মিথিলাকে দ্রুত রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স-রে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর বাম হাতের কনুইয়ের ওপরের হাড় ভেঙে গেছে। চিকিৎসকেরা তাঁর অঙ্গহানিরও আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়ার কারণে এ ধরনের ঝাঁকুনি স্বাভাবিক হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা বেড়েছে। শুধু বিশেষজ্ঞই নন, নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করেন এমন অনেকে বিষয়টি খেয়াল করেছেন বলেও জানিয়েছেন। আগে যেসব রুট তুলনামূলকভাবে মসৃণ ছিল, এখন সেখানেও টার্বুলেন্স বা হঠাৎ কাঁপুনির শিকার হতে হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় উড়োজাহাজের ঝাঁকুনি কেন আজকাল বেড়ে গেল।
বিমান চলাচলে টার্বুলেন্স নতুন কোনো বিষয় নয়। আকাশে বাতাস সব সময় সমানভাবে প্রবাহিত হয় না। কখনো মেঘের ভেতর দিয়ে, কখনো পাহাড়ি বায়ুপ্রবাহের কারণে কিংবা বড় কোনো বিমানের পেছনের ঘূর্ণিতে পড়ে যাত্রীবাহী বিমান হঠাৎ ঝাঁকুনি খায়। তবে ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জার্নালে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই স্বাভাবিক ঘটনাই এখন আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ায় বায়ুমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা বেড়ে গেছে। উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠে এবং ঠান্ডা বাতাস নিচে নেমে আসতে গিয়ে আকাশে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেটিই বিমানযাত্রাকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্স বা পরিষ্কার আকাশে ঝাঁকুনি। আগে ধরে নেওয়া হতো, মেঘের ভেতর বা বজ্রঝড়ের কাছে গেলে কাঁপুনি হবে, কিন্তু এখন ঝকঝকে আকাশেও বিমান হঠাৎ প্রবলভাবে কেঁপে উঠছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে গত চার দশকে ক্লিয়ার-এয়ার টার্বুলেন্স প্রায় ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো জেট স্ট্রিমের পরিবর্তন। উচ্চ আকাশে যে সরু ও দ্রুত বায়ুপ্রবাহকে জেট স্ট্রিম বলা হয়, সেটির গতি ও পথ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। ফলে পাইলটরা অনেক সময় আগাম ধারণা না পেয়ে ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ছেন।
যাত্রীদের দৃষ্টিতে এই অভিজ্ঞতা আতঙ্কজনক। হঠাৎ কাঁপুনিতে বিমানের ভেতরে অনেক সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করে বলছেন, আধুনিক বিমান এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন টার্বুলেন্সে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধার ওপরও আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে অনেকে ছিটকে পড়ে আঘাত পান।
তবে ঝাঁকুনির বাড়তি প্রবণতা বিমানশিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন রুট পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কারণ, যাত্রীদের আরাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আকাশে বাড়তি অস্থিরতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আর জলবায়ু পরিবর্তনের গতি থামানো না গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝাঁকুনি আরও ঘন ঘন দেখা দেবে বলে ধারণা গবেষকদের।
চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে। এই পরিবর্তন অত্যন্ত ধীর, তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন।
২ দিন আগেচীনের পাহাড়ি অঞ্চলের গভীরে নির্মিত একটি গবেষণা কেন্দ্র হয়তো উন্মোচন করতে চলেছে মহাবিশ্বের অজানা রহস্য। বহু বছর ধরে পদার্থবিদেরা রহস্যময় ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ বা নিউট্রিনো নিয়ে বিভ্রান্ত ছিলেন। এই কণাগুলো বৈদ্যুতিকভাবে নিরপেক্ষ উপ-পারমাণবিক কণা এবং এগুলোকে বিদ্যুৎ বা চৌম্বক বল দিয়ে ধরা যায় না।
২ দিন আগেসৌর ব্যতিচার বা সান আউটেজ হলো একটি সাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা, যেখানে পৃথিবী ও একটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের মধ্যবর্তী সরলরেখায় সূর্য চলে আসে। ফলে স্যাটেলাইট সিগন্যালে সাময়িক বাধা সৃষ্টি হয়। এ সময় সূর্য থেকে আসা বিকিরণ স্যাটেলাইট অ্যানটেনা ও আর্থ স্টেশনকে (ভূ-কেন্দ্র) ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২ দিন আগেচারদিকে দ্বীপ আর সমুদ্রঘেরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ কেবল টিকে থাকছিল না, বরং তারা গভীর সমুদ্রে গিয়ে শিকার করছিল বড়সড়, দ্রুতগতির মাছ। যেমন: টুনা ও হাঙর। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগে