আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’ প্রতিলিপি ফ্রেমে বাঁধিয়ে এরদোয়ানকে উপহার দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে জিয়ানোপোলোসকে আতিথ্য দেন। বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা ও নানা ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন—তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, যোগাযোগ পরিচালক বুরহানেত্তিন দুরান এবং প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আকিফ চাগাতায় কিলিচ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, উমর (রা.)—এর দেওয়া ওই চুক্তিপত্রে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা ও তাঁদের পবিত্র উপাসনালয়, বিশেষ করে জেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হোলি সেপালকার এবং বেথলেহেমের ন্যাটিভিটি ব্যাসিলিকা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজার মানবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শহরের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও পবিত্রতাকে ধ্বংস করছে। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সহাবস্থানের ঐতিহ্য সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে।’
এরদোয়ান আরও উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু এক ভয়াবহ গণহত্যার নকশাকারী। কাতারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণ দেখিয়েছে, তাঁর শান্তির প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ইসরায়েল এখন মসজিদ ও চার্চ, কোনো কিছুকেই রেহাই দিচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর সুরক্ষায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আঙ্কারার মতে, এটিই ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের একমাত্র উপায়। শুধু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাই নয়, পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়েও সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে জিয়ানোপোলোস ও লাতিন প্যাট্রিয়ার্ক পিজ্জাবাল্লা গাজার ধ্বংসযজ্ঞ সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হোলি ফ্যামিলি চার্চে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়ানোপোলোস সপ্তম শতকে খলিফা উমর (রা.) ও প্যাট্রিয়ার্ক সোফ্রোনিওসের মধ্যে হওয়া সেই ঐতিহাসিক চুক্তির উত্তরাধিকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অটোমান আমলে সেটি ‘স্ট্যাটাস ক্যু’ বা স্থিতবাস্থায় রূপ নেয়, যা আজও জেরুজালেমের ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গির্জার ঐতিহ্য সর্বত্র রক্ষা করা জরুরি। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, ‘মুসলিম নেতারা খলিফা উমরের চুক্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে খ্রিষ্টানদের সুরক্ষা ও তাঁদের উপাসনালয় রক্ষার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশেষত হাশেমি শাসকেরা এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক পলের বাণী উদ্ধৃত করে জিয়ানোপোলোস বলেন, ‘যতটা সম্ভব, সবার সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, এই শান্তির চেতনা দিয়েই জেরুজালেমের পবিত্র ঐতিহ্য ও ‘স্ট্যাটাস কো’ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। সহযোগিতা বাড়াতে পারলেই পবিত্র স্থানগুলো ঐক্য ও আশার প্রতীক হয়ে থাকবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক চিরাগান প্রাসাদে গাজায় গণহত্যা ও পবিত্র স্থানগুলোর হুমকি নিয়ে আন্তর্জাতিক গোলটেবিল বৈঠক হয়। ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনের স্লোগান ছিল—‘গণহত্যা বন্ধ করো, দখলদারিত্ব বন্ধ করো, শুরু করো সত্যিকারের ইব্রাহিমীয় সহযোগিতা।’
ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের প্রেসিডেন্ট আব্দুল-ভাহেদ নিয়াজভ উদ্বোধনী অধিবেশন সঞ্চালনা করেন। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদ ও হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদসহ ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ মুসলিম বিশ্ব নীরব রয়েছে।
নিয়াজভ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানান এবং জেরুজালেম রক্ষায় তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতার ডাক দিয়ে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আত্মসমর্পণ চুক্তি হিসেবে আখ্যা দেন।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’ প্রতিলিপি ফ্রেমে বাঁধিয়ে এরদোয়ানকে উপহার দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে জিয়ানোপোলোসকে আতিথ্য দেন। বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা ও নানা ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন—তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, যোগাযোগ পরিচালক বুরহানেত্তিন দুরান এবং প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আকিফ চাগাতায় কিলিচ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, উমর (রা.)—এর দেওয়া ওই চুক্তিপত্রে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা ও তাঁদের পবিত্র উপাসনালয়, বিশেষ করে জেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হোলি সেপালকার এবং বেথলেহেমের ন্যাটিভিটি ব্যাসিলিকা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজার মানবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শহরের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও পবিত্রতাকে ধ্বংস করছে। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সহাবস্থানের ঐতিহ্য সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে।’
এরদোয়ান আরও উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু এক ভয়াবহ গণহত্যার নকশাকারী। কাতারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণ দেখিয়েছে, তাঁর শান্তির প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ইসরায়েল এখন মসজিদ ও চার্চ, কোনো কিছুকেই রেহাই দিচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর সুরক্ষায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আঙ্কারার মতে, এটিই ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের একমাত্র উপায়। শুধু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাই নয়, পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়েও সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে জিয়ানোপোলোস ও লাতিন প্যাট্রিয়ার্ক পিজ্জাবাল্লা গাজার ধ্বংসযজ্ঞ সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হোলি ফ্যামিলি চার্চে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়ানোপোলোস সপ্তম শতকে খলিফা উমর (রা.) ও প্যাট্রিয়ার্ক সোফ্রোনিওসের মধ্যে হওয়া সেই ঐতিহাসিক চুক্তির উত্তরাধিকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অটোমান আমলে সেটি ‘স্ট্যাটাস ক্যু’ বা স্থিতবাস্থায় রূপ নেয়, যা আজও জেরুজালেমের ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গির্জার ঐতিহ্য সর্বত্র রক্ষা করা জরুরি। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, ‘মুসলিম নেতারা খলিফা উমরের চুক্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে খ্রিষ্টানদের সুরক্ষা ও তাঁদের উপাসনালয় রক্ষার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশেষত হাশেমি শাসকেরা এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক পলের বাণী উদ্ধৃত করে জিয়ানোপোলোস বলেন, ‘যতটা সম্ভব, সবার সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, এই শান্তির চেতনা দিয়েই জেরুজালেমের পবিত্র ঐতিহ্য ও ‘স্ট্যাটাস কো’ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। সহযোগিতা বাড়াতে পারলেই পবিত্র স্থানগুলো ঐক্য ও আশার প্রতীক হয়ে থাকবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক চিরাগান প্রাসাদে গাজায় গণহত্যা ও পবিত্র স্থানগুলোর হুমকি নিয়ে আন্তর্জাতিক গোলটেবিল বৈঠক হয়। ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনের স্লোগান ছিল—‘গণহত্যা বন্ধ করো, দখলদারিত্ব বন্ধ করো, শুরু করো সত্যিকারের ইব্রাহিমীয় সহযোগিতা।’
ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের প্রেসিডেন্ট আব্দুল-ভাহেদ নিয়াজভ উদ্বোধনী অধিবেশন সঞ্চালনা করেন। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদ ও হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদসহ ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ মুসলিম বিশ্ব নীরব রয়েছে।
নিয়াজভ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানান এবং জেরুজালেম রক্ষায় তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতার ডাক দিয়ে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আত্মসমর্পণ চুক্তি হিসেবে আখ্যা দেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’ প্রতিলিপি ফ্রেমে বাঁধিয়ে এরদোয়ানকে উপহার দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে জিয়ানোপোলোসকে আতিথ্য দেন। বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা ও নানা ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন—তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, যোগাযোগ পরিচালক বুরহানেত্তিন দুরান এবং প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আকিফ চাগাতায় কিলিচ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, উমর (রা.)—এর দেওয়া ওই চুক্তিপত্রে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা ও তাঁদের পবিত্র উপাসনালয়, বিশেষ করে জেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হোলি সেপালকার এবং বেথলেহেমের ন্যাটিভিটি ব্যাসিলিকা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজার মানবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শহরের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও পবিত্রতাকে ধ্বংস করছে। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সহাবস্থানের ঐতিহ্য সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে।’
এরদোয়ান আরও উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু এক ভয়াবহ গণহত্যার নকশাকারী। কাতারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণ দেখিয়েছে, তাঁর শান্তির প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ইসরায়েল এখন মসজিদ ও চার্চ, কোনো কিছুকেই রেহাই দিচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর সুরক্ষায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আঙ্কারার মতে, এটিই ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের একমাত্র উপায়। শুধু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাই নয়, পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়েও সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে জিয়ানোপোলোস ও লাতিন প্যাট্রিয়ার্ক পিজ্জাবাল্লা গাজার ধ্বংসযজ্ঞ সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হোলি ফ্যামিলি চার্চে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়ানোপোলোস সপ্তম শতকে খলিফা উমর (রা.) ও প্যাট্রিয়ার্ক সোফ্রোনিওসের মধ্যে হওয়া সেই ঐতিহাসিক চুক্তির উত্তরাধিকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অটোমান আমলে সেটি ‘স্ট্যাটাস ক্যু’ বা স্থিতবাস্থায় রূপ নেয়, যা আজও জেরুজালেমের ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গির্জার ঐতিহ্য সর্বত্র রক্ষা করা জরুরি। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, ‘মুসলিম নেতারা খলিফা উমরের চুক্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে খ্রিষ্টানদের সুরক্ষা ও তাঁদের উপাসনালয় রক্ষার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশেষত হাশেমি শাসকেরা এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক পলের বাণী উদ্ধৃত করে জিয়ানোপোলোস বলেন, ‘যতটা সম্ভব, সবার সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, এই শান্তির চেতনা দিয়েই জেরুজালেমের পবিত্র ঐতিহ্য ও ‘স্ট্যাটাস কো’ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। সহযোগিতা বাড়াতে পারলেই পবিত্র স্থানগুলো ঐক্য ও আশার প্রতীক হয়ে থাকবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক চিরাগান প্রাসাদে গাজায় গণহত্যা ও পবিত্র স্থানগুলোর হুমকি নিয়ে আন্তর্জাতিক গোলটেবিল বৈঠক হয়। ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনের স্লোগান ছিল—‘গণহত্যা বন্ধ করো, দখলদারিত্ব বন্ধ করো, শুরু করো সত্যিকারের ইব্রাহিমীয় সহযোগিতা।’
ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের প্রেসিডেন্ট আব্দুল-ভাহেদ নিয়াজভ উদ্বোধনী অধিবেশন সঞ্চালনা করেন। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদ ও হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদসহ ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ মুসলিম বিশ্ব নীরব রয়েছে।
নিয়াজভ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানান এবং জেরুজালেম রক্ষায় তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতার ডাক দিয়ে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আত্মসমর্পণ চুক্তি হিসেবে আখ্যা দেন।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’ প্রতিলিপি ফ্রেমে বাঁধিয়ে এরদোয়ানকে উপহার দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে জিয়ানোপোলোসকে আতিথ্য দেন। বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা ও নানা ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন—তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, যোগাযোগ পরিচালক বুরহানেত্তিন দুরান এবং প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আকিফ চাগাতায় কিলিচ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, উমর (রা.)—এর দেওয়া ওই চুক্তিপত্রে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা ও তাঁদের পবিত্র উপাসনালয়, বিশেষ করে জেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হোলি সেপালকার এবং বেথলেহেমের ন্যাটিভিটি ব্যাসিলিকা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজার মানবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শহরের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও পবিত্রতাকে ধ্বংস করছে। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সহাবস্থানের ঐতিহ্য সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে।’
এরদোয়ান আরও উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু এক ভয়াবহ গণহত্যার নকশাকারী। কাতারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণ দেখিয়েছে, তাঁর শান্তির প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ইসরায়েল এখন মসজিদ ও চার্চ, কোনো কিছুকেই রেহাই দিচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর সুরক্ষায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আঙ্কারার মতে, এটিই ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের একমাত্র উপায়। শুধু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাই নয়, পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়েও সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে জিয়ানোপোলোস ও লাতিন প্যাট্রিয়ার্ক পিজ্জাবাল্লা গাজার ধ্বংসযজ্ঞ সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হোলি ফ্যামিলি চার্চে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়ানোপোলোস সপ্তম শতকে খলিফা উমর (রা.) ও প্যাট্রিয়ার্ক সোফ্রোনিওসের মধ্যে হওয়া সেই ঐতিহাসিক চুক্তির উত্তরাধিকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অটোমান আমলে সেটি ‘স্ট্যাটাস ক্যু’ বা স্থিতবাস্থায় রূপ নেয়, যা আজও জেরুজালেমের ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গির্জার ঐতিহ্য সর্বত্র রক্ষা করা জরুরি। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, ‘মুসলিম নেতারা খলিফা উমরের চুক্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে খ্রিষ্টানদের সুরক্ষা ও তাঁদের উপাসনালয় রক্ষার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশেষত হাশেমি শাসকেরা এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক পলের বাণী উদ্ধৃত করে জিয়ানোপোলোস বলেন, ‘যতটা সম্ভব, সবার সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, এই শান্তির চেতনা দিয়েই জেরুজালেমের পবিত্র ঐতিহ্য ও ‘স্ট্যাটাস কো’ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। সহযোগিতা বাড়াতে পারলেই পবিত্র স্থানগুলো ঐক্য ও আশার প্রতীক হয়ে থাকবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক চিরাগান প্রাসাদে গাজায় গণহত্যা ও পবিত্র স্থানগুলোর হুমকি নিয়ে আন্তর্জাতিক গোলটেবিল বৈঠক হয়। ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনের স্লোগান ছিল—‘গণহত্যা বন্ধ করো, দখলদারিত্ব বন্ধ করো, শুরু করো সত্যিকারের ইব্রাহিমীয় সহযোগিতা।’
ইউরোপিয়ান মুসলিম ফোরামের প্রেসিডেন্ট আব্দুল-ভাহেদ নিয়াজভ উদ্বোধনী অধিবেশন সঞ্চালনা করেন। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদ ও হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদসহ ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ মুসলিম বিশ্ব নীরব রয়েছে।
নিয়াজভ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানান এবং জেরুজালেম রক্ষায় তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতার ডাক দিয়ে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’কে আত্মসমর্পণ চুক্তি হিসেবে আখ্যা দেন।

আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার আইনপ্রণেতারা জাতীয় পতাকার রঙের স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ‘আলজেরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দেন এবং বিলটি অনুমোদন করেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তাঁরা। ইতিহাসকে আড়াল করার সব চেষ্টা রুখে দিতেই এই পদক্ষেপ।
নতুন এই আইনে আলজেরিয়ার ঔপনিবেশিক অতীত এবং এর ফলে সৃষ্ট ট্র্যাজেডির জন্য ফ্রান্সকে ‘আইনিভাবে দায়ী’ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আইনের প্রয়োগযোগ্যতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ঔপনিবেশিক স্মৃতি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিচ্ছেদ বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্ট স্পিকার ইব্রাহিম বুগালি বলেছেন, এই আইন দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে—আলজেরিয়ার জাতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার মতো নয় এবং এ নিয়ে কোনো আপস হবে না।
আইনের খসড়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের নানা অপরাধের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক পরীক্ষা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং পদ্ধতিগতভাবে সম্পদ লুণ্ঠন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফরাসি উপনিবেশের কারণে সৃষ্ট সমস্ত বস্তুগত ও নৈতিক ক্ষতির জন্য ‘পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া আলজেরীয় রাষ্ট্র ও জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।’
ফ্রান্স ১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে আলজেরিয়া শাসন করেছে। নির্যাতন, গুম, গণহত্যা, অর্থনৈতিক শোষণ এবং এদেশের আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করে রাখার মধ্য দিয়ে সেই শাসনব্যবস্থা টিকে ছিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেই গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। আলজেরিয়ার দাবি অনুযায়ী, সেই যুদ্ধে ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এর আগে আলজেরিয়ায় উপনিবেশ স্থাপনকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বারবার অস্বীকার করেছেন। ২০২৩ সালেও তিনি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষমা চাওয়া আমার কাজ নয়।’
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাস্কাল কনফাভ্রেক্স এই ভোটাভুটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে চলমান কোনো ‘রাজনৈতিক বিতর্ক’ নিয়ে তিনি কথা বলবেন না।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ঔপনিবেশিক ইতিহাস গবেষক হোসনি কিতুনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সের ওপর এই আইনের কোনো বাধ্যতামূলক প্রভাব নেই। তবে এর রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব অপরিসীম। স্মৃতির লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মোড়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই এই ভোটাভুটি হলো। মূলত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে আলজেরিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক টিকে থাকলেও বর্তমানে তাতে চরম টানাপোড়েন চলছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মরক্কোর পশ্চিম সাহারা পরিকল্পনাকে প্যারিস স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে। ১৯৭৫ সালে স্পেন ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর মরক্কো তা দখল করে নেয়, যা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে।
আলজেরিয়া পশ্চিম সাহারার সাহরাউই জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং পলিসারিও ফ্রন্টকে মদত দেয়, যারা মরক্কোর স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। গত এপ্রিলে প্যারিসে একজন আলজেরীয় কূটনীতিক ও দুই নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এই উত্তেজনা সংকটে রূপ নেয়। অথচ তার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মাখোঁ এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেবুন সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার আইনপ্রণেতারা জাতীয় পতাকার রঙের স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ‘আলজেরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দেন এবং বিলটি অনুমোদন করেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তাঁরা। ইতিহাসকে আড়াল করার সব চেষ্টা রুখে দিতেই এই পদক্ষেপ।
নতুন এই আইনে আলজেরিয়ার ঔপনিবেশিক অতীত এবং এর ফলে সৃষ্ট ট্র্যাজেডির জন্য ফ্রান্সকে ‘আইনিভাবে দায়ী’ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আইনের প্রয়োগযোগ্যতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ঔপনিবেশিক স্মৃতি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিচ্ছেদ বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্ট স্পিকার ইব্রাহিম বুগালি বলেছেন, এই আইন দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে—আলজেরিয়ার জাতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার মতো নয় এবং এ নিয়ে কোনো আপস হবে না।
আইনের খসড়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের নানা অপরাধের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক পরীক্ষা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং পদ্ধতিগতভাবে সম্পদ লুণ্ঠন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফরাসি উপনিবেশের কারণে সৃষ্ট সমস্ত বস্তুগত ও নৈতিক ক্ষতির জন্য ‘পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া আলজেরীয় রাষ্ট্র ও জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।’
ফ্রান্স ১৮৩০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে আলজেরিয়া শাসন করেছে। নির্যাতন, গুম, গণহত্যা, অর্থনৈতিক শোষণ এবং এদেশের আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করে রাখার মধ্য দিয়ে সেই শাসনব্যবস্থা টিকে ছিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেই গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। আলজেরিয়ার দাবি অনুযায়ী, সেই যুদ্ধে ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এর আগে আলজেরিয়ায় উপনিবেশ স্থাপনকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বারবার অস্বীকার করেছেন। ২০২৩ সালেও তিনি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষমা চাওয়া আমার কাজ নয়।’
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাস্কাল কনফাভ্রেক্স এই ভোটাভুটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে চলমান কোনো ‘রাজনৈতিক বিতর্ক’ নিয়ে তিনি কথা বলবেন না।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ঔপনিবেশিক ইতিহাস গবেষক হোসনি কিতুনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সের ওপর এই আইনের কোনো বাধ্যতামূলক প্রভাব নেই। তবে এর রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব অপরিসীম। স্মৃতির লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মোড়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই এই ভোটাভুটি হলো। মূলত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে আলজেরিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক টিকে থাকলেও বর্তমানে তাতে চরম টানাপোড়েন চলছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মরক্কোর পশ্চিম সাহারা পরিকল্পনাকে প্যারিস স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে। ১৯৭৫ সালে স্পেন ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর মরক্কো তা দখল করে নেয়, যা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে।
আলজেরিয়া পশ্চিম সাহারার সাহরাউই জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং পলিসারিও ফ্রন্টকে মদত দেয়, যারা মরক্কোর স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। গত এপ্রিলে প্যারিসে একজন আলজেরীয় কূটনীতিক ও দুই নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এই উত্তেজনা সংকটে রূপ নেয়। অথচ তার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মাখোঁ এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেবুন সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক পথকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
গতকাল বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সামরিক পথ এখনো খোলা আছে সত্যি, তবে হোয়াইট হাউসের লক্ষ্য অর্জনে আপাতত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।’
ভেনেজুয়েলা নিয়ে নিজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনসমক্ষে কিছুটা অস্পষ্টতার রাখলেও গোপনে তিনি নিকোলাস মাদুরোকে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে রয়টার্স খবর প্রকাশ করেছে। গত সোমবার ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো মাদুরোর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করেছে। আমাদের বিশ্বাস, জানুয়ারির শেষ নাগাদ ভেনেজুয়েলা এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, যদি না তারা আমেরিকার কাছে নতি স্বীকার করে বড় কোনো আপস করতে রাজি হয়।’
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছে। গত কয়েক মাস ধরে তাঁর প্রশাসন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা এবং মাদক বহনকারী হিসেবে অভিযুক্ত নৌকাগুলোর ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। অনেক দেশই এই আক্রমণকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রায়ই স্থলের মাদক অবকাঠামোতে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন এবং কারাকাস অভিমুখে সিআইএর গোপন তৎপরতার অনুমোদন দিয়েছেন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মার্কিন কোস্ট গার্ড ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলবোঝাই দুটি ট্যাংকার জব্দ করেছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তার এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন রয়টার্স খবর দিয়েছে যে, কোস্ট গার্ড ‘বেলা-১’ নামে একটি খালি ও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ জব্দের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর অপেক্ষায় রয়েছে। গত রোববার তারা প্রথম এটি আটকের চেষ্টা করেছিল।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাডা বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা কোনো হুমকি নয়। আসল হুমকি হলো মার্কিন সরকার।’
এদিকে পেন্টাগন ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজারের বেশি সৈন্যের এক বিশাল সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরি, ১১টি যুদ্ধজাহাজ এবং এক ডজনের বেশি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। এই সম্পদের অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সহায়ক হলেও যুদ্ধবিমানের মতো কিছু সরঞ্জাম এই কাজের জন্য খুব একটা উপযুক্ত নয়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা মাদুরোকে সম্পদহীন করার জন্য ‘সর্বোচ্চ সীমা’ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তা কার্যকর করবে। চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় আসা-যাওয়া করা সব নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত তেল ট্যাংকারের ওপর ‘অবরোধ’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তার মুখে এখন ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দের ব্যবহার ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল সংকটের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি সংঘাত এড়াতে এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। কেনেডির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট ম্যাকনামারা ২০০২ সালে বলেছিলেন, ‘আমরা একে কোয়ারেন্টিন বলেছিলাম; কারণ ‘ব্লকেড’ বা অবরোধ একটি যুদ্ধের শব্দ।’
বুধবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই অবরোধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের শক্তি প্রয়োগকে ‘অবৈধ সশস্ত্র আগ্রাসন’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক পথকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
গতকাল বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সামরিক পথ এখনো খোলা আছে সত্যি, তবে হোয়াইট হাউসের লক্ষ্য অর্জনে আপাতত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।’
ভেনেজুয়েলা নিয়ে নিজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনসমক্ষে কিছুটা অস্পষ্টতার রাখলেও গোপনে তিনি নিকোলাস মাদুরোকে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে রয়টার্স খবর প্রকাশ করেছে। গত সোমবার ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো মাদুরোর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করেছে। আমাদের বিশ্বাস, জানুয়ারির শেষ নাগাদ ভেনেজুয়েলা এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, যদি না তারা আমেরিকার কাছে নতি স্বীকার করে বড় কোনো আপস করতে রাজি হয়।’
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছে। গত কয়েক মাস ধরে তাঁর প্রশাসন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা এবং মাদক বহনকারী হিসেবে অভিযুক্ত নৌকাগুলোর ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। অনেক দেশই এই আক্রমণকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
এ ছাড়া, ট্রাম্প প্রায়ই স্থলের মাদক অবকাঠামোতে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন এবং কারাকাস অভিমুখে সিআইএর গোপন তৎপরতার অনুমোদন দিয়েছেন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মার্কিন কোস্ট গার্ড ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলবোঝাই দুটি ট্যাংকার জব্দ করেছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তার এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন রয়টার্স খবর দিয়েছে যে, কোস্ট গার্ড ‘বেলা-১’ নামে একটি খালি ও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ জব্দের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর অপেক্ষায় রয়েছে। গত রোববার তারা প্রথম এটি আটকের চেষ্টা করেছিল।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাডা বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা কোনো হুমকি নয়। আসল হুমকি হলো মার্কিন সরকার।’
এদিকে পেন্টাগন ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজারের বেশি সৈন্যের এক বিশাল সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরি, ১১টি যুদ্ধজাহাজ এবং এক ডজনের বেশি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। এই সম্পদের অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সহায়ক হলেও যুদ্ধবিমানের মতো কিছু সরঞ্জাম এই কাজের জন্য খুব একটা উপযুক্ত নয়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা মাদুরোকে সম্পদহীন করার জন্য ‘সর্বোচ্চ সীমা’ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তা কার্যকর করবে। চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় আসা-যাওয়া করা সব নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত তেল ট্যাংকারের ওপর ‘অবরোধ’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তার মুখে এখন ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দের ব্যবহার ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল সংকটের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি সংঘাত এড়াতে এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। কেনেডির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট ম্যাকনামারা ২০০২ সালে বলেছিলেন, ‘আমরা একে কোয়ারেন্টিন বলেছিলাম; কারণ ‘ব্লকেড’ বা অবরোধ একটি যুদ্ধের শব্দ।’
বুধবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই অবরোধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের শক্তি প্রয়োগকে ‘অবৈধ সশস্ত্র আগ্রাসন’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ডিভাইডার টপকে বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে একটি লরি ডিভাইডার পার হয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, লরিটি বাসের তেলের ট্যাংকে আঘাত করেছিল, যার ফলে জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। কয়েকজন যাত্রী কোনোমতে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেও এখন পর্যন্ত আটজন যাত্রী এবং ট্রাকচালকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’
সেই ভয়াবহ মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে আদিত্য নামের এক যাত্রী বলেন, ‘চারপাশে শুধু মানুষের আর্তনাদ। দুর্ঘটনার পর আমি পড়ে গিয়েছিলাম এবং দেখি চারদিকে আগুন। দরজা খোলা যাচ্ছিল না। আমরা জানালার কাচ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করি...মানুষ একে অপরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তা কঠিন হয়ে পড়ে।’
এই দুর্ঘটনার জেরে তুমকুর রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গোকর্ণগামী এক নারী পর্যটক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি বাসে আগুন লেগেছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আমরা আটকে আছি, যা পরিষ্কার হতে আরও ঘণ্টা দু-এক সময় লাগতে পারে।’
এর আগে নভেম্বরেও তেলেঙ্গানাতেও একই ধরনের এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হায়দরাবাদ-বিজাপুর মহাসড়কে পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন নিগমের সেই বাসটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। ট্রাকের ওপর থাকা পাথর বাসের ভেতরে পড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী চাপা পড়ে মারা যান।

ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ডিভাইডার টপকে বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে একটি লরি ডিভাইডার পার হয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, লরিটি বাসের তেলের ট্যাংকে আঘাত করেছিল, যার ফলে জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। কয়েকজন যাত্রী কোনোমতে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেও এখন পর্যন্ত আটজন যাত্রী এবং ট্রাকচালকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’
সেই ভয়াবহ মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে আদিত্য নামের এক যাত্রী বলেন, ‘চারপাশে শুধু মানুষের আর্তনাদ। দুর্ঘটনার পর আমি পড়ে গিয়েছিলাম এবং দেখি চারদিকে আগুন। দরজা খোলা যাচ্ছিল না। আমরা জানালার কাচ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করি...মানুষ একে অপরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তা কঠিন হয়ে পড়ে।’
এই দুর্ঘটনার জেরে তুমকুর রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গোকর্ণগামী এক নারী পর্যটক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি বাসে আগুন লেগেছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আমরা আটকে আছি, যা পরিষ্কার হতে আরও ঘণ্টা দু-এক সময় লাগতে পারে।’
এর আগে নভেম্বরেও তেলেঙ্গানাতেও একই ধরনের এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হায়দরাবাদ-বিজাপুর মহাসড়কে পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন নিগমের সেই বাসটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। ট্রাকের ওপর থাকা পাথর বাসের ভেতরে পড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী চাপা পড়ে মারা যান।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগে
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে গত রোববার এক বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স পাদরি থিওফিলোস জিয়ানোপোলোস। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক ৬৩৮ সালে জেরুজালেম দখলের পর খ্রিষ্টানদের দেওয়া ‘চুক্তিপত্রের’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস করেছে। এই আইনে দেশটির ওপর ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আলজেরীয় আইনপ্রণেতারা এই আইন পাস করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আগামী অন্তত দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর ‘কোয়ারেন্টিন’ বা অবরোধ আরোপের দিকেই প্রায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বর্তমানে কারাকাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সামরিক শক্তির চেয়ে অর্থনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন ধরে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিমোগা যাচ্ছিল।
২ ঘণ্টা আগে