সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

করোনাকালে খাদ্যসংকটে পড়ে সরকারি সহায়তা নম্বর ৩৩৩-এ কল দিয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এই একটি ফোনকল যে জীবনে এমন ঝড় বয়ে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তিনি। ত্রাণ চেয়ে উল্টো জরিমানা গুনতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনার এক বছর পরও সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সেই ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে। সমাজে ছোট হয়েছেন, সেই সঙ্গে অবিশ্বাস থেকে দূরত্ব বেড়েছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে।
আজ শনিবার সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ি এলাকায় গিয়ে কথা হয় ফরিদ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাড়ির প্রবেশপথে সরু গলি পেরিয়ে অসমাপ্ত চারতলা ভবনের ছাদে টিনশেডের দুটি কক্ষ। এখানেই বসবাস করে ফরিদ উদ্দিনের পরিবার। এই বাড়ির অন্যান্য ফ্লোরে ফরিদ উদ্দিনের ভাই-বোনদের অংশ রয়েছে।
স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে। বাড়ির ছাদে কিছু কবুতর পালন করে সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা তাঁদের। মোটকথা ফরিদের পরিবার সমাজে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফরিদ উদ্দিনকে ওই সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি রয়েছেন পুরোনো কর্মস্থলে—হোসিয়ারি কারখানায় কাটিংয়ের কাজ করেন এখনো। স্ট্রোক করার পর থেকে ভারী কাজ করতে পারেন না। প্রতি মাসে তাঁর রোজগার ১২ হাজার টাকা। উত্তরাধিকারসূত্রে চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বলে বাড়িভাড়ার খরচ থেকে বেঁচে গেছেন।
আলাপকালে ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৫০) হাসিমুখে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ভালো রাখছে। খেয়েপরে বেঁচে আছি। উনি (ফরিদ উদ্দিন) হোসিয়ারিতে কাজ করে। যা বেতন পায় তাতে চালায় আল্লাহ। মেয়েটা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়তাছে। ওর একটা চাকরি হইলে ভালো হইত। মানুষের কাছে হাত পাইতা কিছু নিব না। যা আল্লাহ খাওয়ায় পরায় ওতেই সন্তুষ্ট।’
সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় উল্টো জরিমানা দেওয়ার পর কোনো সহায়তা এসেছিল জানতে চাইলে উম্মে কুলসুম বলেন, ‘ঢাকা থেকে এক ছাত্রনেতা (গোলাম রাব্বানী) আইসা সহায়তা করল। আর খন্দকার কাউন্সিলরের লোকজনও কিছু চাল-ডাল দিসিলো। সব মিলায়া তিন মাসের খাবার হইসিল আমাদের। এরপর আর কেউ আমাগো সহায়তা করে নাই। কিন্তু এই ঘটনার পর আমার আত্মীয়স্বজনেরা মনে করছে আমাগো লাখ লাখ টাকা দিয়া গেছে মাইনষে। এসব নিয়া সম্পর্ক খারাপ হইসে। অথচ আমরা জরিমানার টাকা ছাড়া আর তেমন কিছুই পাই নাই। তার ওপর সমাজের লোকলজ্জা তো আছেই।’
এমন ঘটনায় কোনো আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে কি না, জানতে চাইতেই চোখ ভিজে আসে উম্মে কুলসুমের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কারও প্রতি ক্ষোভ নাই। কপালে ছিল তাই হইসে। তয় আগে যদি জানতাম ফোন দিলে এত কিছু হইব, তাইলে সরকারের কাছে হাত পাততাম না। একটা ফোনে কত কিছু ঘইটা গেল।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চান ফরিদ উদ্দিন। খাদ্যসহায়তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান তৎকালীন ইউএনও আরিফা জহুরা। কিন্তু চারতলা বাড়ি দেখে ফরিদ উদ্দিনকে অবস্থাপন্ন ভেবে উল্টো জরিমানা করেন। ফোন করে হয়রানি করার দায়ে শাস্তি হিসেবে দুই দিনের মধ্যে ১০০ গরিব লোককে খাদ্য সহায়তার নির্দেশ দেন। ইউএনওর এমন নির্দেশে ফরিদ সেই রাতেই দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২২ মে স্ত্রীর স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে এবং ধারদেনা করে ৬৫ হাজার টাকার ত্রাণসহায়তা তুলে দেন ইউএনওর হাতে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদ উদ্দিনকে ত্রাণের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ উল্লেখ করা হয় ইউএনও আরিফা জহুরাকে। তবে ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আর্থিকভাবে সহায়তা করে।

করোনাকালে খাদ্যসংকটে পড়ে সরকারি সহায়তা নম্বর ৩৩৩-এ কল দিয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এই একটি ফোনকল যে জীবনে এমন ঝড় বয়ে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তিনি। ত্রাণ চেয়ে উল্টো জরিমানা গুনতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনার এক বছর পরও সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সেই ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে। সমাজে ছোট হয়েছেন, সেই সঙ্গে অবিশ্বাস থেকে দূরত্ব বেড়েছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে।
আজ শনিবার সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ি এলাকায় গিয়ে কথা হয় ফরিদ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাড়ির প্রবেশপথে সরু গলি পেরিয়ে অসমাপ্ত চারতলা ভবনের ছাদে টিনশেডের দুটি কক্ষ। এখানেই বসবাস করে ফরিদ উদ্দিনের পরিবার। এই বাড়ির অন্যান্য ফ্লোরে ফরিদ উদ্দিনের ভাই-বোনদের অংশ রয়েছে।
স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে। বাড়ির ছাদে কিছু কবুতর পালন করে সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা তাঁদের। মোটকথা ফরিদের পরিবার সমাজে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফরিদ উদ্দিনকে ওই সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি রয়েছেন পুরোনো কর্মস্থলে—হোসিয়ারি কারখানায় কাটিংয়ের কাজ করেন এখনো। স্ট্রোক করার পর থেকে ভারী কাজ করতে পারেন না। প্রতি মাসে তাঁর রোজগার ১২ হাজার টাকা। উত্তরাধিকারসূত্রে চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বলে বাড়িভাড়ার খরচ থেকে বেঁচে গেছেন।
আলাপকালে ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৫০) হাসিমুখে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ভালো রাখছে। খেয়েপরে বেঁচে আছি। উনি (ফরিদ উদ্দিন) হোসিয়ারিতে কাজ করে। যা বেতন পায় তাতে চালায় আল্লাহ। মেয়েটা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়তাছে। ওর একটা চাকরি হইলে ভালো হইত। মানুষের কাছে হাত পাইতা কিছু নিব না। যা আল্লাহ খাওয়ায় পরায় ওতেই সন্তুষ্ট।’
সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় উল্টো জরিমানা দেওয়ার পর কোনো সহায়তা এসেছিল জানতে চাইলে উম্মে কুলসুম বলেন, ‘ঢাকা থেকে এক ছাত্রনেতা (গোলাম রাব্বানী) আইসা সহায়তা করল। আর খন্দকার কাউন্সিলরের লোকজনও কিছু চাল-ডাল দিসিলো। সব মিলায়া তিন মাসের খাবার হইসিল আমাদের। এরপর আর কেউ আমাগো সহায়তা করে নাই। কিন্তু এই ঘটনার পর আমার আত্মীয়স্বজনেরা মনে করছে আমাগো লাখ লাখ টাকা দিয়া গেছে মাইনষে। এসব নিয়া সম্পর্ক খারাপ হইসে। অথচ আমরা জরিমানার টাকা ছাড়া আর তেমন কিছুই পাই নাই। তার ওপর সমাজের লোকলজ্জা তো আছেই।’
এমন ঘটনায় কোনো আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে কি না, জানতে চাইতেই চোখ ভিজে আসে উম্মে কুলসুমের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কারও প্রতি ক্ষোভ নাই। কপালে ছিল তাই হইসে। তয় আগে যদি জানতাম ফোন দিলে এত কিছু হইব, তাইলে সরকারের কাছে হাত পাততাম না। একটা ফোনে কত কিছু ঘইটা গেল।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চান ফরিদ উদ্দিন। খাদ্যসহায়তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান তৎকালীন ইউএনও আরিফা জহুরা। কিন্তু চারতলা বাড়ি দেখে ফরিদ উদ্দিনকে অবস্থাপন্ন ভেবে উল্টো জরিমানা করেন। ফোন করে হয়রানি করার দায়ে শাস্তি হিসেবে দুই দিনের মধ্যে ১০০ গরিব লোককে খাদ্য সহায়তার নির্দেশ দেন। ইউএনওর এমন নির্দেশে ফরিদ সেই রাতেই দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২২ মে স্ত্রীর স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে এবং ধারদেনা করে ৬৫ হাজার টাকার ত্রাণসহায়তা তুলে দেন ইউএনওর হাতে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদ উদ্দিনকে ত্রাণের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ উল্লেখ করা হয় ইউএনও আরিফা জহুরাকে। তবে ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আর্থিকভাবে সহায়তা করে।
সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

করোনাকালে খাদ্যসংকটে পড়ে সরকারি সহায়তা নম্বর ৩৩৩-এ কল দিয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এই একটি ফোনকল যে জীবনে এমন ঝড় বয়ে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তিনি। ত্রাণ চেয়ে উল্টো জরিমানা গুনতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনার এক বছর পরও সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সেই ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে। সমাজে ছোট হয়েছেন, সেই সঙ্গে অবিশ্বাস থেকে দূরত্ব বেড়েছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে।
আজ শনিবার সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ি এলাকায় গিয়ে কথা হয় ফরিদ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাড়ির প্রবেশপথে সরু গলি পেরিয়ে অসমাপ্ত চারতলা ভবনের ছাদে টিনশেডের দুটি কক্ষ। এখানেই বসবাস করে ফরিদ উদ্দিনের পরিবার। এই বাড়ির অন্যান্য ফ্লোরে ফরিদ উদ্দিনের ভাই-বোনদের অংশ রয়েছে।
স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে। বাড়ির ছাদে কিছু কবুতর পালন করে সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা তাঁদের। মোটকথা ফরিদের পরিবার সমাজে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফরিদ উদ্দিনকে ওই সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি রয়েছেন পুরোনো কর্মস্থলে—হোসিয়ারি কারখানায় কাটিংয়ের কাজ করেন এখনো। স্ট্রোক করার পর থেকে ভারী কাজ করতে পারেন না। প্রতি মাসে তাঁর রোজগার ১২ হাজার টাকা। উত্তরাধিকারসূত্রে চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বলে বাড়িভাড়ার খরচ থেকে বেঁচে গেছেন।
আলাপকালে ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৫০) হাসিমুখে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ভালো রাখছে। খেয়েপরে বেঁচে আছি। উনি (ফরিদ উদ্দিন) হোসিয়ারিতে কাজ করে। যা বেতন পায় তাতে চালায় আল্লাহ। মেয়েটা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়তাছে। ওর একটা চাকরি হইলে ভালো হইত। মানুষের কাছে হাত পাইতা কিছু নিব না। যা আল্লাহ খাওয়ায় পরায় ওতেই সন্তুষ্ট।’
সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় উল্টো জরিমানা দেওয়ার পর কোনো সহায়তা এসেছিল জানতে চাইলে উম্মে কুলসুম বলেন, ‘ঢাকা থেকে এক ছাত্রনেতা (গোলাম রাব্বানী) আইসা সহায়তা করল। আর খন্দকার কাউন্সিলরের লোকজনও কিছু চাল-ডাল দিসিলো। সব মিলায়া তিন মাসের খাবার হইসিল আমাদের। এরপর আর কেউ আমাগো সহায়তা করে নাই। কিন্তু এই ঘটনার পর আমার আত্মীয়স্বজনেরা মনে করছে আমাগো লাখ লাখ টাকা দিয়া গেছে মাইনষে। এসব নিয়া সম্পর্ক খারাপ হইসে। অথচ আমরা জরিমানার টাকা ছাড়া আর তেমন কিছুই পাই নাই। তার ওপর সমাজের লোকলজ্জা তো আছেই।’
এমন ঘটনায় কোনো আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে কি না, জানতে চাইতেই চোখ ভিজে আসে উম্মে কুলসুমের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কারও প্রতি ক্ষোভ নাই। কপালে ছিল তাই হইসে। তয় আগে যদি জানতাম ফোন দিলে এত কিছু হইব, তাইলে সরকারের কাছে হাত পাততাম না। একটা ফোনে কত কিছু ঘইটা গেল।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চান ফরিদ উদ্দিন। খাদ্যসহায়তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান তৎকালীন ইউএনও আরিফা জহুরা। কিন্তু চারতলা বাড়ি দেখে ফরিদ উদ্দিনকে অবস্থাপন্ন ভেবে উল্টো জরিমানা করেন। ফোন করে হয়রানি করার দায়ে শাস্তি হিসেবে দুই দিনের মধ্যে ১০০ গরিব লোককে খাদ্য সহায়তার নির্দেশ দেন। ইউএনওর এমন নির্দেশে ফরিদ সেই রাতেই দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২২ মে স্ত্রীর স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে এবং ধারদেনা করে ৬৫ হাজার টাকার ত্রাণসহায়তা তুলে দেন ইউএনওর হাতে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদ উদ্দিনকে ত্রাণের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ উল্লেখ করা হয় ইউএনও আরিফা জহুরাকে। তবে ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আর্থিকভাবে সহায়তা করে।

করোনাকালে খাদ্যসংকটে পড়ে সরকারি সহায়তা নম্বর ৩৩৩-এ কল দিয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এই একটি ফোনকল যে জীবনে এমন ঝড় বয়ে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তিনি। ত্রাণ চেয়ে উল্টো জরিমানা গুনতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনার এক বছর পরও সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সেই ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে। সমাজে ছোট হয়েছেন, সেই সঙ্গে অবিশ্বাস থেকে দূরত্ব বেড়েছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে।
আজ শনিবার সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ি এলাকায় গিয়ে কথা হয় ফরিদ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাড়ির প্রবেশপথে সরু গলি পেরিয়ে অসমাপ্ত চারতলা ভবনের ছাদে টিনশেডের দুটি কক্ষ। এখানেই বসবাস করে ফরিদ উদ্দিনের পরিবার। এই বাড়ির অন্যান্য ফ্লোরে ফরিদ উদ্দিনের ভাই-বোনদের অংশ রয়েছে।
স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে। বাড়ির ছাদে কিছু কবুতর পালন করে সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা তাঁদের। মোটকথা ফরিদের পরিবার সমাজে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফরিদ উদ্দিনকে ওই সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি রয়েছেন পুরোনো কর্মস্থলে—হোসিয়ারি কারখানায় কাটিংয়ের কাজ করেন এখনো। স্ট্রোক করার পর থেকে ভারী কাজ করতে পারেন না। প্রতি মাসে তাঁর রোজগার ১২ হাজার টাকা। উত্তরাধিকারসূত্রে চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বলে বাড়িভাড়ার খরচ থেকে বেঁচে গেছেন।
আলাপকালে ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৫০) হাসিমুখে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ভালো রাখছে। খেয়েপরে বেঁচে আছি। উনি (ফরিদ উদ্দিন) হোসিয়ারিতে কাজ করে। যা বেতন পায় তাতে চালায় আল্লাহ। মেয়েটা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়তাছে। ওর একটা চাকরি হইলে ভালো হইত। মানুষের কাছে হাত পাইতা কিছু নিব না। যা আল্লাহ খাওয়ায় পরায় ওতেই সন্তুষ্ট।’
সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় উল্টো জরিমানা দেওয়ার পর কোনো সহায়তা এসেছিল জানতে চাইলে উম্মে কুলসুম বলেন, ‘ঢাকা থেকে এক ছাত্রনেতা (গোলাম রাব্বানী) আইসা সহায়তা করল। আর খন্দকার কাউন্সিলরের লোকজনও কিছু চাল-ডাল দিসিলো। সব মিলায়া তিন মাসের খাবার হইসিল আমাদের। এরপর আর কেউ আমাগো সহায়তা করে নাই। কিন্তু এই ঘটনার পর আমার আত্মীয়স্বজনেরা মনে করছে আমাগো লাখ লাখ টাকা দিয়া গেছে মাইনষে। এসব নিয়া সম্পর্ক খারাপ হইসে। অথচ আমরা জরিমানার টাকা ছাড়া আর তেমন কিছুই পাই নাই। তার ওপর সমাজের লোকলজ্জা তো আছেই।’
এমন ঘটনায় কোনো আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে কি না, জানতে চাইতেই চোখ ভিজে আসে উম্মে কুলসুমের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কারও প্রতি ক্ষোভ নাই। কপালে ছিল তাই হইসে। তয় আগে যদি জানতাম ফোন দিলে এত কিছু হইব, তাইলে সরকারের কাছে হাত পাততাম না। একটা ফোনে কত কিছু ঘইটা গেল।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চান ফরিদ উদ্দিন। খাদ্যসহায়তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান তৎকালীন ইউএনও আরিফা জহুরা। কিন্তু চারতলা বাড়ি দেখে ফরিদ উদ্দিনকে অবস্থাপন্ন ভেবে উল্টো জরিমানা করেন। ফোন করে হয়রানি করার দায়ে শাস্তি হিসেবে দুই দিনের মধ্যে ১০০ গরিব লোককে খাদ্য সহায়তার নির্দেশ দেন। ইউএনওর এমন নির্দেশে ফরিদ সেই রাতেই দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২২ মে স্ত্রীর স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে এবং ধারদেনা করে ৬৫ হাজার টাকার ত্রাণসহায়তা তুলে দেন ইউএনওর হাতে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদ উদ্দিনকে ত্রাণের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ উল্লেখ করা হয় ইউএনও আরিফা জহুরাকে। তবে ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আর্থিকভাবে সহায়তা করে।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩৯ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে।
২৮ মে ২০২২
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে।
২৮ মে ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে।
২৮ মে ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩৯ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি পরিবার। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ফরিদ উদ্দিন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড় মেয়ে সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। ছেলের নামে তিন মাস অন্তর ২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি ভাতা আসে।
২৮ মে ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩৯ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
১ ঘণ্টা আগে