ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করায় ময়মনসিংহ জেলা উত্তর কৃষক দলের সদস্যসচিব শাহ মোহাম্মদ আলীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় কৃষক দল প্রেরিত এক চিঠিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে তাঁকে বহিষ্কারাদেশের কথা জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফুলপুর পৌর শহরে সাইফুল ইসলাম (৩৭) নামে এক কৃষক ধান বিক্রি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের চক ঢাকির কান্দা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলীর ছেলে। ওই ঘটনায় ২০ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন কৃষক দল নেতা শাহ মোহাম্মদ আলী।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলাটিতে বিএনপির তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়।
এদিকে আজ শনিবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শাহ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘আমাকে বাশার আকন্দ (জেলা উত্তর কৃষক দলের আহ্বায়ক) বলেছিলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে মামলাটি হচ্ছে। আবেদনের কাগজ রেডি করে আমার কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তখন মামলায় কাদের আসামি দেওয়া হয়েছে তাও পড়তে পারিনি।
মামলার কাগজ আদালতে জমা হওয়ার পর আমি দেখতে পাই, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকে প্রতিহিংসামূলক আসামি করা হয়েছে।’
শাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাশার আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি দলীয় কোনো বিষয় না। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এ পরিস্থিতিতে আমি বিপাকে পড়ে যাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে শত্রুতা কিনতে চাই না। তাই ২৫ আগস্ট মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এটি প্রত্যাহার করেন।’
কৃষক দলের এ নেতা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ কোনো দিন করিনি। তারপরও আমাকে কোন ধরনের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পদ ফেরত চাই। মামলা যেহেতু দলীয় নয়, বাশার আকন্দের সিদ্ধান্তে তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলো কীভাবে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা উত্তর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল বাশার আকন্দ বলেন, ‘দলের সঙ্গে বেইমানি করার কারণে তাঁকে (মোহাম্মদ আলী) বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলা আমি রেডি করে দিইনি। যেহেতু দলীয়ভাবে মামলা করা হয়, দল রেডি করে দিয়েছে।’
তবে জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘কৃষক দল নেতার মামলাটি দলীয় কোন সিদ্ধান্তে হয়নি। বাশার আকন্দের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে মামলাটি হয়। মামলায় বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়। এসবের কারণে বাশার আকন্দেরও বহিষ্কার হওয়া উচিত।’ এর আগেও বাশার আকন্দ দীর্ঘদিন দল থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন বলে যোগ করেন এই নেতা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করায় ময়মনসিংহ জেলা উত্তর কৃষক দলের সদস্যসচিব শাহ মোহাম্মদ আলীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় কৃষক দল প্রেরিত এক চিঠিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে তাঁকে বহিষ্কারাদেশের কথা জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফুলপুর পৌর শহরে সাইফুল ইসলাম (৩৭) নামে এক কৃষক ধান বিক্রি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের চক ঢাকির কান্দা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলীর ছেলে। ওই ঘটনায় ২০ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন কৃষক দল নেতা শাহ মোহাম্মদ আলী।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলাটিতে বিএনপির তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়।
এদিকে আজ শনিবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শাহ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘আমাকে বাশার আকন্দ (জেলা উত্তর কৃষক দলের আহ্বায়ক) বলেছিলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে মামলাটি হচ্ছে। আবেদনের কাগজ রেডি করে আমার কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তখন মামলায় কাদের আসামি দেওয়া হয়েছে তাও পড়তে পারিনি।
মামলার কাগজ আদালতে জমা হওয়ার পর আমি দেখতে পাই, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকে প্রতিহিংসামূলক আসামি করা হয়েছে।’
শাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাশার আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি দলীয় কোনো বিষয় না। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এ পরিস্থিতিতে আমি বিপাকে পড়ে যাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে শত্রুতা কিনতে চাই না। তাই ২৫ আগস্ট মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এটি প্রত্যাহার করেন।’
কৃষক দলের এ নেতা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ কোনো দিন করিনি। তারপরও আমাকে কোন ধরনের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পদ ফেরত চাই। মামলা যেহেতু দলীয় নয়, বাশার আকন্দের সিদ্ধান্তে তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলো কীভাবে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা উত্তর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল বাশার আকন্দ বলেন, ‘দলের সঙ্গে বেইমানি করার কারণে তাঁকে (মোহাম্মদ আলী) বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলা আমি রেডি করে দিইনি। যেহেতু দলীয়ভাবে মামলা করা হয়, দল রেডি করে দিয়েছে।’
তবে জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘কৃষক দল নেতার মামলাটি দলীয় কোন সিদ্ধান্তে হয়নি। বাশার আকন্দের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে মামলাটি হয়। মামলায় বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়। এসবের কারণে বাশার আকন্দেরও বহিষ্কার হওয়া উচিত।’ এর আগেও বাশার আকন্দ দীর্ঘদিন দল থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন বলে যোগ করেন এই নেতা।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
২ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে