ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল স্রোতের কারণে ভেঙে গেছে একটি লোহার সেতু। ওই অবস্থায় যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ১৫টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, টানা বর্ষণে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণেই আজ বুধবার ভোরের দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দক্ষিণ চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের পানিতে ভেঙে পড়ে আছে লোহার সেতুটি। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সড়কের দুপাশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় উচাখিলার উজানচর, মরিচারচর, চরআলগী, টানপাড়া, টান মলামারি, মাইজপাড়া ও হাশের আলগীসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জ, উচাখিলা, রাজিবপুর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় হয়ে ত্রিশাল, কালীবাজার ও ময়মনসিংহে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে।
চর আলগী গ্রামের মো. স্বপন মিয়া (৪৪) বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি মানুষ এবং ৪০০–৫০০ অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। আমরা উচাখিলা ও ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। তাই এই রাস্তা ও সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমার খুব খারাপ অবস্থায় আছি। আশপাশের ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সেতু যেন দ্রুত মেরামত করে দেয়।’
স্থানীয় ফজলুল হক (৬০) বলেন, ‘প্রবল স্রোতে সেতুর নিচে দুপাশ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। সেতুটি দীর্ঘ পুরোনো। সেতু ভেঙে পড়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছেন।’
মাথায় পাট নিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে যেতে চেয়েছিলেন মরিচার গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন। বিক্রি করে সেই আয় দিয়ে সংসারের জন্য করবেন বাজার-সদাই। কিন্তু ভেঙে পড়া সেতুর সামনে এসে থেমে যান। ভারী কণ্ঠে বলেন, ‘পাট বিক্রি করতে না পারলে খাব কি? বাজারে কীভাবে যাব?’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন করে সেতুটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, দুর্ভোগ নিরসনে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যেহেতু সেতুটি সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে, তাই তাদের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ীভাবে মেরামতের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল স্রোতের কারণে ভেঙে গেছে একটি লোহার সেতু। ওই অবস্থায় যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ১৫টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, টানা বর্ষণে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণেই আজ বুধবার ভোরের দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দক্ষিণ চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের পানিতে ভেঙে পড়ে আছে লোহার সেতুটি। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সড়কের দুপাশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় উচাখিলার উজানচর, মরিচারচর, চরআলগী, টানপাড়া, টান মলামারি, মাইজপাড়া ও হাশের আলগীসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জ, উচাখিলা, রাজিবপুর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় হয়ে ত্রিশাল, কালীবাজার ও ময়মনসিংহে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে।
চর আলগী গ্রামের মো. স্বপন মিয়া (৪৪) বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি মানুষ এবং ৪০০–৫০০ অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। আমরা উচাখিলা ও ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। তাই এই রাস্তা ও সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমার খুব খারাপ অবস্থায় আছি। আশপাশের ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সেতু যেন দ্রুত মেরামত করে দেয়।’
স্থানীয় ফজলুল হক (৬০) বলেন, ‘প্রবল স্রোতে সেতুর নিচে দুপাশ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। সেতুটি দীর্ঘ পুরোনো। সেতু ভেঙে পড়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছেন।’
মাথায় পাট নিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে যেতে চেয়েছিলেন মরিচার গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন। বিক্রি করে সেই আয় দিয়ে সংসারের জন্য করবেন বাজার-সদাই। কিন্তু ভেঙে পড়া সেতুর সামনে এসে থেমে যান। ভারী কণ্ঠে বলেন, ‘পাট বিক্রি করতে না পারলে খাব কি? বাজারে কীভাবে যাব?’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন করে সেতুটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, দুর্ভোগ নিরসনে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যেহেতু সেতুটি সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে, তাই তাদের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ীভাবে মেরামতের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে