Ajker Patrika

সরেজমিনে জামালপুর: তিন আসনে স্বতন্ত্রের ঢেউ বেসামাল নৌকা

উবায়দুল্লাহ বাদল ও জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর থেকে
সরেজমিনে জামালপুর: তিন আসনে স্বতন্ত্রের ঢেউ বেসামাল নৌকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের তিনটিতেই (জামালপুর-২, ৪ ও ৫) চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কোন্দলের কারণে এসব আসনে দলের পদধারী অনেক নেতা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ফলে নির্বাচনের মাঠে সুবিধা করতে পারছে না নৌকা। অনেকে বলছেন, স্বতন্ত্রের ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে নৌকা।

তবে নৌকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে।
নৌকার প্রার্থী বেকায়দায় থাকা তিন আসনের একটি জামালপুর-৫ (সদর)। আসনটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে এবার নির্বাচন করছেন রাজনীতিতে নতুন মুখ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, এনপিপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং স্বতন্ত্র সাত প্রার্থী থাকলেও আসনটিতে আবুল কালাম আজাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রেজনু জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এই ব্যবসায়ী নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়ে পাননি।

তখন থেকেই তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শহরে তাঁর রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। এ ছাড়া এবার তাঁর সঙ্গে আছেন সদ্য বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল (প্লাবন), পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুর হোসেন আবহানী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মনু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা প্রমুখ।

এর বাইরেও নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেক প্রার্থীর ঈগলের প্রতি সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেকে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর কারণ হলো, এত দিন সদর আসনের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। সদরের মানুষ সদরের লোকদের এমপি বানাতে চায়।

যে কারণে কোন্দল
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুরো নাটাই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর-৩ আসনের এমপি মির্জা আজমের হাতে। এক বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগের দেড় যুগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীকে সহসভাপতি করা হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্রকে করা হয় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মূলত এরপরই শুরু হয় জেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল।

এবারের নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চেয়েছিলেন বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য এ প্রযুক্তি সম্পাদক সালেহীন রেজা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নৌকা তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের হাতে, যাঁর জন্মস্থান জামালপুর শহর হলেও আদি নিবাস মেলান্দহে। নির্বাচনের প্রচারে এটিই ইস্যু বানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু।

এদিকে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে মির্জা আজমের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো মারুফা আক্তার পপিকে বহিষ্কার করা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমারকে নৌকার প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন সদরের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থী ও নৌকার প্রধান সমন্বয়ক—দুজনই মেলান্দহের লোক। জামালপুর সদরের নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই ভোটের মাধ্যমে এবার জবাব দেবে সদরবাসী।

আবুল কালাম আজাদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী  সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে তাঁর দাবি। ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন চারজন প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমাদের সঙ্গে আছেন। এ ছাড়া সদরের বাইরের প্রার্থী—এমন ইস্যু সৃষ্টি করে আমাদের কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে। তারপরও নৌকাই জিতবে ইনশা আল্লাহ। 

জামালপুর-২ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এবারও নৌকার প্রার্থী। ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম শাহীনুজ্জামান (কাঁচি প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের দুই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. জিয়াউল হক (ঈগল প্রতীক) ও মো. শাহাজাহান আলী মণ্ডল (ট্রাক প্রতীক)। তবে মো. জিয়াউল হক শাহিনুজ্জামানকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শাহজাহান আলী মণ্ডলও অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয়। ফলে এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকার সঙ্গে কাঁচির। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচির হয়ে কাজ করছেন। ফলে এই আসনে এমপি পদে নতুন মুখ এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখানে জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের অবস্থানও শক্ত বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের ২ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন মুখ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান হেলালকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে তিনি। এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ। এই আসনে নৌকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের ট্রাক প্রতীকের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।

সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে প্রশাসন

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’

প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা, বয়কট মুক্তিযোদ্ধাদের

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।

আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত