ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে অপেক্ষায় থেকে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী। দীর্ঘ সময়ে তাঁর দেখা না পেয়ে কেউ কেউ ফিরেও গেছেন। সম্প্রতি সরেজমিনে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।
অভিযোগ রয়েছে, এটি শুধু এক দিনের চিত্র নয়, সরকারি দপ্তর ফাঁকা রেখে প্রায়ই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম অর্থের বিনিময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুর চিকিৎসা করাতে চলে যান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহাবুবুল আলম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আরেকটা ষাঁড় কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে গরুটা ঠিকমতো খাবার খাচ্ছে না। শরীরের বিভিন্ন অংশে একধরনের ফোসকা বের হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে বেশ কয়েক দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু হাসপাতালে এসে জিজ্ঞেস করলে বলা হয়, উনি নাকি ফিল্ডে গেছেন। কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেও ওনার দেখা পাচ্ছি না।’
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের খামারি বায়তুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ১০-১৫টি গরু মারাও গেছে। আমারও দুটি গরু এ রোগে আক্রান্ত। এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লোকজনকে খবর দিয়ে পাওয়া যায় না। পরে বাধ্য হয়ে নিজেই প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে আসি। এসে দেখি, বড় ডাক্তার নাই। পরে ওনার কক্ষে ঢুকে দেখি, অনেকে বড় ডাক্তারের কক্ষে বসে ঘুমাচ্ছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) সকালে এসে অফিসে খাতায় স্বাক্ষর করে হাবিবুল্লাহ নামের এক পল্লি চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে বের হয়ে যান। হাবিবুল্লাহর মোটরসাইকেলে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। ২-৩ হাজার টাকার বিনিময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারসহ পশুর চিকিৎসা করাতে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হাবিবুল্লাহ ঘটনা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, ‘২-৩ হাজার নয়, স্যার (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসের প্রয়োজনে প্রায় সময়ই ফিল্ডে যেতে হয়। তবে যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে তা অপ্রাসঙ্গিক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘অফিস সময়ে বাইরে প্রাইভেট চিকিৎসা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমারী খাতুন বলেন, অনেক সময় মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ থাকে, যে কারণে অফিস ছেড়ে বাইরে যেতে হয়। তবে অফিস চলাকালীন টাকার বিনিময়ে বাইরে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে অপেক্ষায় থেকে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী। দীর্ঘ সময়ে তাঁর দেখা না পেয়ে কেউ কেউ ফিরেও গেছেন। সম্প্রতি সরেজমিনে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।
অভিযোগ রয়েছে, এটি শুধু এক দিনের চিত্র নয়, সরকারি দপ্তর ফাঁকা রেখে প্রায়ই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম অর্থের বিনিময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুর চিকিৎসা করাতে চলে যান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহাবুবুল আলম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আরেকটা ষাঁড় কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে গরুটা ঠিকমতো খাবার খাচ্ছে না। শরীরের বিভিন্ন অংশে একধরনের ফোসকা বের হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে বেশ কয়েক দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু হাসপাতালে এসে জিজ্ঞেস করলে বলা হয়, উনি নাকি ফিল্ডে গেছেন। কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেও ওনার দেখা পাচ্ছি না।’
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের খামারি বায়তুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ১০-১৫টি গরু মারাও গেছে। আমারও দুটি গরু এ রোগে আক্রান্ত। এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লোকজনকে খবর দিয়ে পাওয়া যায় না। পরে বাধ্য হয়ে নিজেই প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে আসি। এসে দেখি, বড় ডাক্তার নাই। পরে ওনার কক্ষে ঢুকে দেখি, অনেকে বড় ডাক্তারের কক্ষে বসে ঘুমাচ্ছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) সকালে এসে অফিসে খাতায় স্বাক্ষর করে হাবিবুল্লাহ নামের এক পল্লি চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে বের হয়ে যান। হাবিবুল্লাহর মোটরসাইকেলে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। ২-৩ হাজার টাকার বিনিময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারসহ পশুর চিকিৎসা করাতে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হাবিবুল্লাহ ঘটনা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, ‘২-৩ হাজার নয়, স্যার (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসের প্রয়োজনে প্রায় সময়ই ফিল্ডে যেতে হয়। তবে যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে তা অপ্রাসঙ্গিক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘অফিস সময়ে বাইরে প্রাইভেট চিকিৎসা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমারী খাতুন বলেন, অনেক সময় মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ থাকে, যে কারণে অফিস ছেড়ে বাইরে যেতে হয়। তবে অফিস চলাকালীন টাকার বিনিময়ে বাইরে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা।
৪ মিনিট আগে২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
২৩ মিনিট আগেরাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে২০২২ সালে ছয় বছর পর চালু হওয়া অপারেশন থিয়েটারও আবার বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে সেবা বন্ধ। এমন সংকটে উপজেলার মানুষ বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনুমোদিত-অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা মিলছে টাকার বিনিময়ে।
১ ঘণ্টা আগে